আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং সাহিত্যে কিছু কথা রুপকার্থে ব্যবহার করা হয়। দুই ক্ষেত্রেই এতে বাক্যের মান বৃদ্ধি হয়। কিন্তু কথাগুলো যদি আক্ষরিক অর্থে ধরি তাহলে কেমন দাঁড়াবে, আসুন তার কয়েকটা দেখার চেষ্টা করি--
১.যমে মানুষে টানাটানি
[ভাবুন তো, এখানে যম হল কালো আলখেল্লা পরা বিশালদেহী একজন। সে অসুস্থ মানুষের একপাশ ধরে টানছে আর রোগীর শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ডাক্তারেরা অন্য পাশ ধরে। এক বিশাল tugs of war চলছে। কেমন লাগবে!!!]
২. মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া
[এখানেও ধরুন, মৃত্যু হল কালো আলখেল্লাধারী। সে রোগীর এক হাত ধরে পাঞ্জা লড়ালড়ি করছে!!!]
৩. মাথার তার ছিড়া
[কল্পনা করুন, একজনের মাথায় ঘিলুর পরিবর্তে ঢাকার কোন বিদ্যুতের খুটির মত অজস্র তারের এক প্যাঁচানো জঞ্জাল রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটা তারের কালো রাবার কোটিং ছিড়ে গিয়ে ভিতর থেকে কয়েকটা তামার চিকন তার উকি দিচ্ছে। চোখ বন্ধ করে ভেবে ফেলুন। মাথার তার ছিড়া বলে কথা।]
৪. মাথার স্ক্রু ঢিলা
[এবার ভাবুন, কারও মাথা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বা গ্রামিনফোন-বাংলালিংকের টাওয়ারের মত লোহার মোটা পাত দিয়ে তৈরি। সেগুলোরে ধরে রাখছে লোহার অজস্র বোল্ট ওরফে স্ক্রু। যেন তারা মাথার এই লৌহ নিউরাল নেটওয়ার্ক এর সিন্যাপ্স বা জোড় পয়েন্ট। এবার কল্পনার চোখে দেখুন, কয়েকটা স্ক্রু ঢিলা হয়ে বেরিয়ে আছে, যেন যে কোন মুহুর্তে খসে পড়বে। ব্যাপারটা বেশ ক্রিপি!!! ]
৫. কথাটা মাথার দশহাত উপর দিয়ে গেল
[এবার আরও বেশি কল্পনার সাহায্য নিতে হবে। কথাকে কম্পন না ভেবে ভাবুন কোন মিসাইলের মত। সেটা ক্রমাগত আগুন নিঃসরণ করতে করতে বক্তার মুখ থেকে বেরিয়ে শ্রোতার মাথার ১০ হাত উপর দিয়ে হাইপারসনিক বেগে বেরিয়ে গেল চোখের পলকে। আর শ্রোতা বোকার মত ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে রইল ক্রম অপসৃয়মান অগ্নিপুচ্ছধারী কথার দিকে। আহ, বড্ড প্যাথেটিক!!!]
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫