১) মানসিক রোগীদের হাসপাতাল
--------------------------------------
মানসিক রোগীদের হাসপাতাল।
জুমনের ঘরে ঢুকলো নার্স। জুমন খাটের ওপর শুয়ে হাত দুটো সামনে বাড়িয়ে গুনগুন শব্দ করছে।
“জুমন, কী হচ্ছে এসব?”
জুমন বললো, “আমি গাড়ি চালাচ্ছি, চট্টগ্রাম যাবো।”
পরদিন রাতে নার্স দেখলো, জুমন বসে বসে ঝিমোচ্ছে। “জুমন, কী হচ্ছে এসব?”
“মাত্র পৌঁছালাম চট্টগ্রামে, বিরক্ত কোরো না।” হেঁকে বললো জুমন।
এবার পাশের ঘরে সুমনের ঘরে গেলো নার্স। দেখলো, সেখানে সুমন বিছানায় শুয়ে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করছে।
“সুমন, কী হচ্ছে এসব?” প্রশ্ন করলো নার্স।
“জ্বালাতন কোরো না। দেখতে পাও না, জুমনের বউয়ের সাথে প্রেম করছি? ঐ শালা তো গেছে চট্টগ্রাম!”
২) ম্যাজিশিয়ান
------------------
একজন স্ট্রীট ম্যাজিশিয়ান ম্যাজিক দেখাচ্ছেন কোন এক আবাসিক এলাকার এক রাস্তার উপরে। সবাই সাগ্রহে তাকে ঘিরে আছে। মূল আকর্ষণ হচ্ছে নাকি তার ম্যাজিক স্পেল আউড়ানোর সাথে সাথে কোথাও নাকি কিছু দাঁড়িয়ে যাবে আর সবাই মিলে যদি ফুঁ দেয় তবে তা বসে পড়বে।
প্রথম বারঃ হ্রিঙ্গা ত্রিঙ্গা ছট্টে... সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাচ্চাটির পকেট থেকে পেন্সিলটি উঠে দাঁড়িয়ে গেলো। সবাই মিলে একযোগে ফুঁ... বসে পড়লো পেন্সিলটি তার জায়গায়।
দ্বিতীয় বারঃ ম্যাজিশিয়ানের মন্ত্র... মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ভদ্রমহিলার মাথা থেকে তার হেয়ার পিনটি উঠে দাঁড়ালো। সবাই আবারও ফুঁ... বসে পড়লো হেয়ার পিন।
শেষ বারঃ মন্ত্র পড়া শেষ... সবাই ফুঁ দেবার অপেক্ষায়... কিন্তু কেউ বুঝতে পারছে না কোথায় কি দাঁড়ালো!
আকস্মিক ভাবেই পাশের এক বাড়ীর দরজা খুলে একজন ৮৫ বছরের বৃদ্ধ বেরিয়ে এসে হাঁক ছাড়লেন, "এই পাজির দল, নচ্ছারগুলো, খবর্দার বলে দিচ্ছি, কেউ কিন্তু ফুঁ দিবি না হতচ্ছাড়ারা...!!"
৩) মিস্টার অন্ড মিসেস রবিনসন ক্রুসো
---------------------------------------------
মিস্টার অন্ড মিসেস রবিনসন ক্রুসো জাহাজডুবি হয়ে কয়েক বছর ধরে একটা দ্বীপে আটকা পড়ে আছে।
একদিন ভোরে তারা দেখতে পেলো, সৈকতে এক সুদর্শন যুবক অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, গায়ে নাবিকের পোশাক। সুস্থ হয়ে উঠে যুবক জানালো, তারও জাহাজডুবি হয়েছে। ওদিকে মিসেস ক্রুসো প্রথম দর্শনেই এই যুবকের প্রেমে পড়ে গেছে। কয়েকদিন পর সুযোগ বুঝে ঐ যুবককে প্রেম নিবেদন করলো সে।
কিন্তু রবিনসন আশেপাশে যতক্ষণ আছে, কোন কিছু করবার সুযোগ তাদের নেই।
এর কিছুদিন পর নাবিক যুবক রবিনসনকে পরামর্শ দিলো, সৈকতে একটা ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হোক। সে আর ক্রুসো ওতে চড়ে পাহারা দেবে, জাহাজ দেখতে পেলে পতাকা দিয়ে সংকেত দেবে। ক্রুসোর বেশ মনে ধরলো বুদ্ধিটা। বাঁশ দিয়ে একটা উঁচু ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করলো তারা।
পরদিন প্রথমে পাহারা দেয়ার পালা নাবিকের। সে টাওয়ারে চড়লো, নিচে ক্রুসো আর তার বউ গেরস্থালি কাজ করতে লাগলো। কিছুক্ষণ পরই যুবক চেঁচিয়ে উঠলো, ‘ছি, ক্রুসো ভাই! দিনে দুপুরেই ভাবীর ওপর এভাবে চড়াও হয়েছেন। ছি ছি ছি।’ ক্রুসো নারকেল কুড়োচ্ছিলো, সে বিব্রত হয়ে ওপরে তাকিয়ে বললো, ‘কী যে বলো, আমি কোথায়, আর ও কোথায়!’
যুবক চোখ কচলে বললো, ‘ওহহো, দুঃখিত, আমার যেন মনে হলো … সরি ভাই।’ কিন্তু ঘন্টাখানেক পর আবার চেঁচিয়ে উঠলো সে, ‘না, এবার আর কোন ভুল নেই। কী ভাই, একটু অন্ধকার হতে দিন না! এভাবে জঙলিদের মতো সক্কলের সামনে … ছি ছি ছি।’
ক্রুসো আগুন ধরাচ্ছিলো, সে চটেমটে বললো, ‘চোখের মাথা খেয়েছো নাকি ছোকরা, কী দেখতে কী দেখছো!’
যুবক খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে মাথা নেড়ে লজ্জিতভাবে হাসলো। ‘ইয়ে, দুঃখিত, কিন্তু মনে হলো পষ্ট দেখলাম …।’
কিছুক্ষণ বাদে যুবকের পাহারা দেয়ার পালা শেষ হলো, এবার ক্রুসো চড়লো টাওয়ারে। কিছুক্ষণ টাওয়ারে পায়চারি করে ক্রুসোর চোখ পড়লো নিচে। সে খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে আপনমনে বললো, ‘আরে, কী তামশা, ওপর থেকে দেখলে তো মনে হয়, সত্যি সত্যি নিচে ওরা ওসব কিছু করছে!’
৪) বাচ্চা ডেনজারাস
------------------------
একদিন এক বাসার গৃহকর্তা আর তার বৌ গলা ফাটিয়ে চেঁচিয়ে ঝগড়া করছে। একপর্যায়ে লোকটা তার বউকে বলল Whore আর শুনে মহিলা লোকটাকে বলল Pimp।
তাদের ছোট ছেলে ছিল একটা, সে শুনে বাপ মাকে বলল, 'Whore আর Pimp মানে কি?' বাবা মা বলল, 'এটা কিছু না ভদ্রমহোদয় আর ভদ্রমহোদয়া, আইমিন লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যান'
২দিন পরে এক রাতে ভালবাসার একপর্যায়ে মহিলা লোকটাকে বলে বসল 'ফিল মাই বুবস' আর লোকটা ৫ মিট পরে বলল 'ফিল মাই ডিকি' ছেলেটা এবারও ঘন্টা খানেক পরে বাবা মাকে জিজ্ঞেস করল 'বুবস আর ডিকি মানে কি?' উত্তর এল 'হ্যাট আর কোট!'
তার পরেরদিন লোকটা শেভ করতে যেয়ে গাল কেটে ফেলে বলে বসল 'শিট'! ছেলে জানতে চাইল মানে কি, বাবা বলল 'এটা শেভিং ক্রিমের ব্যান্ড নেম!' আরেকদিন ছেলের মা টার্কি রেডি করতে যেয়ে কি একটা ভুল করে ফেলে বলল 'Fuck!' ছেলে জানতে চাইলে বলল 'এটার মানে টার্কি রেডি করা!'
বাচ্চাদের সাথে মিথ্যা বলার সমস্যাটা টের পাওয়া গেল মাসখানেক পরে। একদিন বাসায় এক মহিলা তার হাসবেন্ডকে নিয়ে যখন এসে ছেলেটার কাছে জানতে চাইল তার বাবা মা কোথায়, ছেলেটা উত্তর দিল,
"ডিয়ার Whore আর Pimp, আপনারাপ্লিজ আপনাদের বুবস আর ডিকি এই হ্যাঙ্গারে রাখুন। আমার বাবা মুখ থেকে শিটধুয়ে ধুয়ে পরিস্কার করছে আর মা উপরতলায় একটা টার্কি-কে খুবই দ্রুততার সাথে Fuck করছে!"
৫) Not long enough
----------------------------
স্ত্রী স্বামীকে ই-মেইল খোলা শেখাচ্ছিলো। এক পর্যায়ে পাসওয়ার্ড সেট করার জায়গায় স্ত্রী বলে দিলো এখানে পাসওয়ার্ড সেট করো।স্ত্রীর সাথে মজা করার জন্য স্বামী স্ত্রীকে দেখিয়ে দেখিয়ে আস্তে আস্তে টাইপ করলো-
P... E...N....I....S
কম্পিউটার উত্তর দিলো, Password denied.... Not long enough..
৬) সানবাথ
---------------
মারিয়ানা ঠিক করলো এবারের ছুটিটা সে হোটেলের ছাদে সানবাথ করেই কাটাবে। প্রথমদিন সে বিকিনি পরে ছাদে শুয়ে রইলো। সে খেয়াল করলো সারাদিনে কেউ ছাদে এলো না। তাই পরেরদিন সে গায়ে অবশিষ্ট কাপড়টুকুও রাখলো না যাতে পুরো শরীরে সূর্যের তাপ লাগে।
কিছুক্ষণ পর সে ছাদের সিঁড়িতে কারো পায়ের শব্দ শুনে উপুড় হয়ে শুলো আর নিচের দিকে একটা তয়লা টেনে নিলো। একটু পর ম্যানেজারের মুখ দেখা গেলো।
- ম্যাডাম, আপনি সান বাথ করেন আপত্তি নেই, কিন্তু দয়া করে গতকাল যতটুকু কাপড় পরেছিলেন, পরে নিন। ম্যানেজার বললো।
- কেন? ছাদে তো কেউ আসছে না। পাশের বিল্ডিংগুলোও সব নিচু। তাহলে সমস্যা কি?
- আসলে ম্যাডাম, আমাদের এই ছাদটি কাচের তৈরী। আর আপনি ছাদের কাঁচের অংশটুকুতে শুয়ে আছেন।
৭) মনটা খুবই নোঙরা
-------------------------
মানসিক রোগীর রোরশাখ ইঙ্কব্লট টেস্ট নিচ্ছেন মনোচিকিৎসক। হিজিবিজি কিছু কালির ছোপ রোগীকে দেখানো হয় এ টেস্টে।
প্রথম কার্ডটা এগিয়ে দিলেন তিনি। ‘বলুন তো এটা কিসের ছবি?’
‘একটা ছেলে একটা মেয়েকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছে।’
দ্বিতীয় ছবিটা এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। ‘এটা কিসের ছবি বলুন তো?’
‘ঐ ছেলেটা এবার মেয়েটার জামাকাপড় খুলে ফেলছে, আর মেয়েটা চেঁচাচ্ছে হাঁ করে।’
আরেকটা ছবি এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। ‘এটা কিসের ছবি বলুন তো?’
‘ছেলেটা মেয়েটার চুল টেনে ধরে ঘাড়ে কামড় দিচ্ছে, আর মেয়েটা খিখি করে হাসছে।’
ডাক্তার আর পারলেন না। ‘দেখুন, রিয়াদ সাহেব, আপনার রোগ খুব জটিল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আপনার মনটা খুবই নোঙরা, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।’
রিয়াদ সাহেব চটে আগুন। ‘নিজে যত রাজ্যের নোঙরা ছবি এগিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, আর বলছেন আমার মন নোঙরা?’
৮) ছাতি
-----------
যুবতী ছাতি মিস্ত্রির নিকট ভাঙ্গা ছাতি নিয়ে গেল
মিস্ত্রী, “ উপরের কাপড় খুলতে হবে,আর নীচে ডান্ডা লাগাতে হবে”
যুবতী, “ যা ইচ্ছা করো,কিন্তু পানি যেন ভিতরে না পড়ে”
৯) মেয়েদের টি শার্ট
------------------------
মেয়েদের টি শার্ট এ সবচেয়ে মজার জিনিস কি লিখা থাকতে পারে
"excuse me --- আমার ফেইস উপরে "
১০) বাংলা স্যার
--------------------
বাংলা স্যার ক্লাসে পডাচ্ছে, স্যারের পেন্টের চেন খুলা সেটা দেখে ক্লাসে মেয়েরা হাসা-হাসি করতাছে স্যার না বুঝে,
স্যার: বেশি হাসা-হাসি করলে বাহিরে বের কইরা খারা কইরা রাখুম
মেয়ে: হা …।হা…।
বিঃ দ্রঃ সব কয়টা জোক্স-ই সংগ্রহীত, কারো কমন পরলে ও পরতে পারে ।
~ আরো ১০০ কড়কড়া জোক্স পরতে চাইলে নিচের লিঙ্কে ক্লিকান ~
Click This Link
Click This Link