সাবেক প্রেসিডেন্ট, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর বেলায় নিয়মের ভঙ্গ হয়েছে। সেনানিবাসের কবরস্থানের নীতিমালা অনুযায়ী আরাফাত রহমান কোকো একটি কবর সামরিক কবরস্থানে পান। কিন্তু সেটা তাকে দেওয়া হয়নি।
বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে একজন সেনা কর্মকর্তার সন্তানরা কবর পাবেন। কোকোর বেলায়ও সেই নিয়ম অনুযায়ী তার মা বেগম খালেদা জিয়া ছেলেকে সেখানেই সমাহিত করার ইচ্ছে পোষণ করেন। সেই হিসাবে তাদের পক্ষ থেকে আবেদনও করা হয়। মঙ্গলবার শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তার জন্য সামরিক কবরস্থানে একটি কবরের অনুমতি মেলেনি। তা না মেলায় ও সেখানে কবর না পেয়ে পরে বেগম খালেদা জিয়াকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়। পরে কোকোর মরদেহ বনানী সিটি কর্পোরেশনের কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। এই প্রথম এই ধরনের নিয়মের ব্যতয় হলো বলে সংশ্লিস্ট একটি সূত্র জানায়।
এই ব্যাপারে সূত্র জানায়, নিয়ম রয়েছে সামরিক বাহিনীতে একজন কর্মকর্তা চাকরিরত থাকেন কিংবা অবসর প্রাপ্ত হন তিনি নিজ, তার স্ত্রী, ছেলে/ মেয়ে, বাবা/ মা, শ্বশুড়/শ্বাশড়ী সবাই কবর পাবেন। সেই অনুযায়ী নিয়ম মানলে জিয়াউর রহমানের ছেলে হিসাবে তারও সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। কেন হলো না এই ব্যাপারে জানতে চাইলে একাধিক সূত্রই বলেছে, নিয়ম অনুযায়ী পাওয়ার সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত মেলেনি এটা দু:খজনক। তবে ওই সব সূত্র বেশি কিছু বলতে চাননি।
একটি সূত্র আভাস দিয়ে বলেছেন, সামরিক বাহিনী নিয়মের ভঙ্গ করে না। কিন্তু একটি বিশেষ কারণে এই ক্ষেত্রে তার কববের অনুমতি দেওয়া অধিকার তাদের ছিল না। এর কারণ জানতে চাইলে সূত্র জানায়, এই ব্যাপারে কোন কথা বলা যাবে না। নিষেধ আছে।
এদিকে সেনানিবাসের নীতিমালা অনুযায়ী দেখা যায়, সেখানে সব বিষয় স্পষ্ট করেই বলা আছে। নিয়মের কোনটি কোকোর বেলায় বাঁধা নয়। সেখানে বলা আছে, সেনানিবাসের কবরস্থানের নীতিমালা, বরাতঃ
ক। সেনাসদর, কিউএমজি শাখা (এমএন্ডকিউ পরিদপ্তর) পত্র নং-৩৯০ ১/৪/ঢাকা/জ-৭/এমকিউ-২ তারিখ ২৩ জুলাই ২০০৩।
১। সাধারণ : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রায় সকল সেনানিবাস/গ্যারিসন করবস্থানের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করা আছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত/অবসরপ্রাপ্ত, সামরিক/বেসামরিক সকল পদবীর সদস্যগণ এবং তাদের পরিবারবের্গর মধ্যে কেউ মৃত্যু বরণ করলে আর্থ-সামাজিক এবং ধর্মীয় কারণ সেনানিবাস কবরস্থানেই মৃত ব্যক্তিকে সমাহিত করার ইচ্ছা পোষণ করেন। কিন্তু কবরস্থানের জন্য প্রাপ্ত নির্ধারিত জমির পরিমাণ খুবই সীমিত। এই সীমিত স্থানে যদি কবর পাকা করার ব্যবস্থা চালু করা হয় তবে অদূর ভবিষ্যতে কবরস্থান সমূহ স্থানাভাবের কারণে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিবে। কবরস্থান সমূহের জমির প্রাপ্যতা/সীমাবদ্ধতা এবং নানাবিধ কথা বিবেচনা করতঃ ২৪ জুলাই ২০০৭ তারিখে অনুষ্ঠিত পিএসও’এস সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধন/সংযোজন পূর্বক চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো। এই নীতিমালা বরাত ক’ এর নীতিমালাকে প্রতিস্থাপন করবে।
সেনানিবাস কবরস্থানে সমাহিত হওয়ার প্রাধিকার সম্পর্কে বলা হয়, ২। সেনানিবাস কবরস্থানে সমাহিত হওয়ার প্রাধিকার : নিম্নে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গকে কর্মরত (Posted) স্টেশনের সেনানিবাস কবরস্থানে সমাহিত করা যাবে :
ক। সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত/অবসরপ্রাপ্ত অফিসার/জেসিও/ওআর এবং তাদের পরিবার পরিজন (অর্থাৎ নিজ, স্ত্রী, ছেলে/মেয়ে, পিতা/মাতা ও শশুর/শাশুড়ী)।
খ। প্রতিরক্ষা খাত হতে বেতন প্রাপ্ত কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী ও তাদের পরিবার পরিজন (অর্থাৎ নিজ, স্ত্রী, ছেলে/মেয়ে, পিতা/মাতা, শশুর/শাশুড়ী)। তবে প্রতিরক্ষা খাত হতে বেতন প্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী অন্য কোন বিভাগ/মন্ত্রণালয় বদলী হয়ে গেলে বা অন্য কোন বিভাগ/মন্ত্রণালয় হতে অবসর গ্রহণ করলে তারা প্রাধিকারভুক্ত হবেন না। এখন হতে প্রতিরক্ষা খাত হতে বেতন প্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী কমপক্ষে ২৫ বৎসর চাকুরী করে অন্য কোন বিভাগ/মন্ত্রণাল বদলী হয়ে গেলে বা অন্য বিভাগ/মন্ত্রণালয় হতে অবসর গ্রহণ করলে তারা সেনানিবাস কবরস্থানে সমাহিত হওয়ার প্রাধিকারভুক্ত হবেন। (প্রাধিকারঃ সেনাসদর, কিউএমজি শাখা, এমএন্ডকিউ পরিদপ্তর, ঢাকা সেনানিবাস পত্র নং-৩৯০ ১/আর/ইউ/এমকিউ-২ তারিখ ৩০ জুন ২০১০)।
গ। সামরিক ভুমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং তাদের পরিবার পরিজন (অর্থাৎ নিজ,স্ত্রী, ছেলে/মেয়ে/পিতা/মাতা,শশুর/শাশুড়ী)
অনুমতির ব্যাপারে বলা হয়েছে, ৩। সেনানিবাসের কবরস্থানে সমাহিত করার অনুমতি :
সেনানিবাসের করবস্থানে সমাহিত করার জন্য নিুেবর্ণিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবেঃ
ক। সমাহিত করার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যবর্গকে সংশ্লিষ্ট ষ্টেশন, সদর দপ্তর হতে ক্রোড়পত্র প্রদত্ত ছক অনুযায়ী অনুচ্ছেদ ১০ এ অনুমতি গ্রহণ করত: সংশ্লিস্ট সিইও’র নিকট প্রেরণ করতে হবে।
খ। প্রতিরক্ষা খাত হতে বেতন প্রাপ্ত বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে সংশ্লিষ্ট সিইও’র নিকট হতে ক্রোড়পত্র ক এর প্রদত্ত ছক অনুযায়ী অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।
স্টেশনের বাইরে হলে করনীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, ৪। চাকুরীরত স্টেশন ব্যতিত অন্য কোন স্টেশনে সমাহিত করণ :
সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত/অবসারপ্রাপ্ত অফিসার/জেসিও/অন্যান্য পদবীর সৈনিকবৃন্দ তাদের নিজ স্ত্রী, ছেলে/মেয়ে, ব্যতিত আত্মীয় স্বজনকে (অর্থাৎ পিতা/মাতা, শশুড়/শাশুড়ী)। চাকুরীরত স্টেশন ব্যতিত অন্য কোন স্টেশনে সমাহিত করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এরিয়া কমান্ডার এব ঢাকা স্টেশনের জন্য কিউএমজি মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে সমাহিত করা যাবে।
পুন:ব্যবহার করণ প্রসঙ্গে বলা হয়, ৫। কবরস্থান পূণঃব্যবহার করণ (অফিসার) :
সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত/অবসরপ্রাপ্ত কোন অফিসার যদি একই কবরের জায়গা তার পরিবার পরিজনের জন্য (অর্থাৎ নিজ, স্ত্রী, ছেলে/মেয়ে, পিতা/মাতা, শশুর, শাশুড়ীর) জন্য পুনরায় ব্যবহার করতে চান তাহলে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা অনুযায়ী তা করা যাবে।
৬। কবর পাকা করণ :
যে সমস্ত কবর ইতিমধ্যে পাকা করা হয়েছে সে সমস্ত ছাড়া এখন হতে আর কোন কবর পাকা করা যাবে না।
৭। কবরস্থানের জায়গা সংরক্ষিত করণ :
সেনানিবাস কবরস্থান সমাহিত করার জন্য কোন জায়গা সংরক্ষিত (Reserve) রখা যাবে না।
৮। কবরস্থান পুনঃব্যবহার করণ :
কবরস্থান সমূহে প্রাপ্ত জায়গা ব্যবহারের পর শেষ হইয়া গেলে পুরাতন কবরের স্থানে পুণরায় সারিবদ্ধ করে নতুন ভাবে ব্যবহার করতে হবে।
৯। স্মৃতিফলক স্থাপন/নির্মাণ :
আগ্রহী ব্যক্তিগণ তাদের মৃত পরিবার পরিজনের কবরে অস্থায়ী স্মৃতিফলক স্থাপণ/নির্মাণ করতে পারবেন, যা আয়তন র্২র্ ীর্১-র্৬র্ হবে। উক্ত কবর পুণরায় ব্যবহারের সময় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক স্থাপিত ফলক অপসারণ করা হবে।
১০। কবরস্থান রক্ষণাবেক্ষণ ও চিহ্নিত করণ :
সংশ্লিষ্ট ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তত্ত্বাবধানে সেনানিবাসের কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণ/চিহ্নিত করণ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অ্যাক্ট ১৯২৪ এর রুল ১২৬ এবং ১৪৬ মোতাবেক সম্পন্ন করতে হবে। ইহা ছাড়াও ক্যান্টমেন্ট বোর্ড কর্তৃক সমাহিত ব্যক্তির যাবতীয় তথ্যাদি ক্রোড়পত্র খ’তে দেখানো ছক অনুযায়ী একটি রেজিষ্টারে ও কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে হবে।
১১। ফুলের বাগান/সৌন্দর্য বর্ধন :
সংশ্লিষ্ট ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তত্ত্বাবধানে ও নিয়ন্ত্রণে কবর স্থানের খালি জায়গা সমূহ ফুলের বাগান করে সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে।
১২। সমাহিত করণ ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থাদি :
বা আ অ নং ১৪৮/৮৯ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট স্টেশন সদর দপ্তর কর্তৃক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
১৩/ এরিয়া সদর দপ্তর কর্তৃক নীতিমালা প্রনয়ণ। এ পত্রে বর্নিত নীতিমালার আলোকে সকল এরিয়া সদর দপ্তর নিজ নিজ এলাকায় কবরস্থান সমূহের জন্য বাস্তবায়িত নীতিমালা প্রনয়ণ করত: তাহা কার্যকরী করতে। প্রণীত নীতিমালার একটি অবগতি কপি অত্র পরিদপ্তরে প্রেরণ করবে।
সবেেশষে বলা হয়, ১৪/ উপসংহার। বর্তমান বাস্তবতা ও ভূমি স্বল্পতা /অপ্রতুলতার বিষয়টি বিবেচনার রেখে এই নীতিমালা প্রনয়ণ করা হলো। ভবিষ্যতে পরিবর্তনশীল বাস্তবতার প্রয়োজনে এই নীতিমালা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, ও বিয়োজন করা যাবে। কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষা এবং উহার সুষ্ঠ রক্ষনাবেক্ষণ’এর জন্য সংশ্লিষ্ঠ সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
কোকোর জন্য নীতিমালাটি অনসুরণ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে সূত্র জানায়, এটা কেন হয়নি এটা সবাই বুঝতে পারছেন। এনিয়ে বলতে চাই না।
একটি সূত্র জানান, ২০১৩ সালে এই সংক্রান্ত যে নীতিমালা করা হয় সেখানে যাদের কথা বলা হয়েছে তারা সবাই পাবেন। এখনও পর্যন্ত ওই নিয়মের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই ব্যাপারে কোন আদেশ মঙ্গলবারও ইস্যু হয়নি। তাই এই ক্ষেত্রে কোন নিয়মের কোন বাধা নেই।
সূত্র জানায়, আমরা যতখানি জানি যে নিয়ম ছিল তা বহাল আছে। সেখানে কোন পরিবর্তন না হওয়ায় তিনি সামরিক কবরস্থানে সমাহিত হতে পারতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।
তার বেলায় নিয়মের ব্যতয়ের মধ্য দিয়ে একজন সেনা কর্মকর্তার সন্তান বঞ্চিত হলো কিনা এই ব্যাপারে সূত্র জানায়, নিয়ম বিবেচনা করলে তাই।
আজকে যে কবর না দিয়ে নিময়ের ব্যতয় হলো সেটা কি সংশোধনের কোন সুযোগ আছে, এই ব্যাপারে সূত্র জানায়, কবর স্থানান্তরের নিয়ম রয়েছে। সেটা চাইলে হতেই পারে। তবে কবে কখন সেটা বলতে পারবো না। পুন:ব্যবহারের কথা বলা হলেও অন্য জায়গা থেকে স্থানান্তরের ব্যাপারে কিছু বলা নেই।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্তও সিদ্ধান্ত ছিল কোকোর লাশ সামরিক কবরস্থানেই দাফন করার। কোকোর মৃত্যুর পর দাফন করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগলেও সোমবার তা চূড়ান্ত হয়ে যায়। এবং গণমাধ্যমের কাছেও প্রকাশ করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, বনানীর সামরিক কবরস্থানে তারা নিয়ম মাফিক আবেদন করেছেন। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে। তিনি আরো দাবি করেন, উনি একজন সাবেক সেনা প্রধান ও মেজর জেনারেলের ছেলে এই কারণে বনানী সেনা কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দাফন পাবেন। এটা তার প্রাপ্য। এছাড়াও আরো বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তাকে সেখানে দাফন করতে সব আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষ করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, সেখানে কোকোর দাফনের অনুমতি পাব। তার দাফন সেখানেই হবে। কিন্তু তার কথা একদিন পরই সত্যি হলো না।
বিএনপির চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গিয়ে ২০ দলীয় জোটের নেতা কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম সাংবাদিকদের বলেন, সামরিক কবরস্থানে কোকোর দাফনের অনুমতি মেলেনি। দাফন কোথায় হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমতি হয়নি এটি বলতে পারব। বেশি কিছু বলতে পারব না।
এদিকে সূত্র জানায়, সেখানে অনুমতি না পাওয়ার পর বনানী সিটি কর্পোরেশন কবরস্থানের খাদেমকে আরাফাত রহমান কোকোর দাফনের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলা হয়। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আরাফাত রহমানের দাফন সামরিক কবরস্থানে হচ্ছে না। আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। এখানে কবরের জায়গা বাছাই করা হচ্ছে। ওই নির্দেশনা কার কাছ থেকে এসেছে এই ব্যাপারে তারা কোন কিছুই প্রকাশ করতে চাননি। শেষ পর্যন্ত তার মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
‘জনাব আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে দেশবাসী শোকাহত এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তিনবারের দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুই সন্তানকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান সন্তান। কারণ তাদের বাবা প্রেসিডেন্ট মা প্রধানমন্ত্রী। এমন কোনো সন্তান আর পৃথিবীতে জন্ম নেয় নাই।’
তথ্যসূত্র দেখতে এইখানে ক্লিক করুন।