চারদিকে কি যে হচ্ছে? মাঝে মাঝে মনে হয় সব কিছু বুঝতেছি, মাঝে মাঝে মনে হয় কিচ্ছু বুঝিনা! এই বুঝা না বুঝার মাঝখানে আটকে গেছে আম জনতা। তবে পরিষ্কার ভাবে এটা অন্তত বলা যায় যে বাংলাদেশ এখন একটা দুঃসময় পার করছে। এই দুঃসময় কাটানোর নায়ক কারা হবেন, এটাই এখন দেখার বিষয়। খল নায়কদের নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। বিরোধী দলের মতে খল নায়িকা শেখ হাসিনা। তাদের মতটা ফেলে দেওয়ার মত না কারন বর্তমানে সরকারে আছেন শেখ হাসিনা। এই সময় ভালো কিছু হলে তারা যেমন সাধুবাদ পাবে তেমনি মন্দের দায়বারও তাদের উপর বর্তায়। কিন্তু আ'লীগের সামনে পেছনে আছে কারা। একটু খেয়াল করলে দেখব যে আলীগের মন্ত্রিপরিষদ থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারক বেশীর ভাগই বামদের দখলে। এ কারনে যারা জন্ম থেকে আ'লীগ করেন তারা অখুশি এবং মনে মনে ক্ষুদ্ধ।
বামদের দখলে তো সমস্যা কি?
সমস্যা বামরা আ'লীগের জন্য কিছুই করছে না। তারা আদর্শচ্যুত। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল থেকে তারা সুবিধা নিয়ে থাকে। আর মহাজোট সরকার তাদের সুবিধা বহুগুনে বাড়িয়েছে। এই সুবিধা নিয়ে তারা আ'লীগেরই ক্ষতি করছেন বলে মনে করছেন প্রবীন আ'লীগ নেতারা। আ'লীগ নেতাদের টকশো, পত্রিকার কলাম থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়।
বর্তমানে বলা হয়ে থাকে শেখ হাসিনা বামদের কথায় উঠা বসা করেন। সেটা কতটুকু সত্য তা অবশ্য আমরা জানি না। কিন্তু ঘটনা যখন রটে তার কিছুতো বটে।
যার বা যাদের সিদ্ধান্তেই শেখ হাসিনা বর্তমান চালাচ্ছেন ভুল ভাবে চালাচ্ছেন। তার এই ভুলের খেসারত একদিন তাকে দিতে হবে। তিনি সর্বদিকে ভুল করছেন। বিরোধী দলের সাথে ভুল ব্যবহার করছেন, পুলিশের ভুল ব্যবহার করছেন, গণমাধ্যমের ভুল ব্যবহার করছেন, অর্থনীতির ভুল ব্যবহার করছেন, সমাজতন্ত্রের ভুল ব্যবহার করছেন। এত ভুলের মাশুল দিতে তারে অবস্থা কিযে হবে সেটা সময় বলে দিবে।
শেষ কথা বর্তমানে দেশের দুঃসময় এবং সাথে সাথে আ'লীগেরও দুঃসময়। আর এটা বামদের ষড়যন্ত্রের ফসল। বিএনপির যে দুঃসময় সেটা সাময়িক। বামদের সঙ্গ ত্যাগ না করলে আ'লীগের দুঃসময় কাটবে না এবং কঠিন মূল্য দিতে হবে।
তাই মহান নেতা নেলসন মেন্ডেলার পথ অনুসরন করাই বর্তমানে শ্রেয়। তা হল - বাইরের শত্রুর সাথে যুদ্ধ শেষ হয়, কিন্তু ঘরের যুদ্ধ চলে অনন্তকাল। বুঝতে হবে যে, ম্যান্ডেলার সাদা-কালোদের মতো আমাদেরকেও সবাইকে নিয়েই এদেশে বসবাস করতে হবে। ম্যান্ডেলার ফর্মুলা অনুযায়ী সব দলকে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে, কারণ এরা অন্য দেশে যাচ্ছে না। একই ভাবে শিবসেনা, বিজেপি, কংগ্রেস, হিন্দু মহাসভাকে নিয়েই ভারতের রাজনীতি। (১৯৯১ সালে মেন্ডেলা পশ্চিমে এসে পশ্চিমাদের সহায়তা ব্যাপক লবির মাধ্যমে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখে বর্ণবিদ্বেষীদের পতন ঘটিয়েছিলেন। এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই সাদা-কালোদের সম্মানজনক সহাবস্থান তৈরী করে দেশ গঠনে অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত রেখে জাতিকে অনিবার্য গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচিয়ে দিলেন ম্যান্ডেলা। বর্তমানে বাংলাদেশে ম্যান্ডেলার ফর্মুলার বিকল্প নেই)।