The 500 Most Influential Muslims দ্য ৫০০ মোষ্ট ইন্ফ্লুয়েন্সিয়াল মুসলিমস হল বিশ্বের সর্বাধিক প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম ব্যক্তিত্বের একটি তালিকার নাম। বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমগণের পর্যায়ক্রম নির্ধারণ করা ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম প্রকাশিত এ তালিকাটি ৫০০ জন মুসলিম The Muslim 500 নামেও পরিচিত।আম্মানে অবস্থিত দ্যা রয়েল ইসলামিক ষ্ট্র্যাটেজিক ষ্টাডিজ সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠান এ তালিকা তৈরী করে।মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল সেন্টার ফর মুসলিম- ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারষ্ট্যান্ডিং নামক প্রতিষ্টানের সহযোগিতায় তালিকাটি প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
১। আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ
আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ ছিলেন সৌদি আরবের বাদশাহ ও খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বপালন করেছেন। তার সৎভাই বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ মারা যাওয়ার পর ২০০৫ সালের ১ আগস্ট তিনি ক্ষমতায় বসেন।প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর অধিকাংশ সময় আবদুল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দায়িত্বপালন করেছেন। ১৯৬১ সালে তিনি মক্কার মেয়র হন যা ছিল তার প্রথম জনসম্পর্কিত অফিস। পরের বছর তাকে সৌদি আরবিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়। বাদশাহ হওয়ার সময়ও তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ক্রাউন যুবরাজ ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৫ সালে ফাহাদ স্ট্রোকে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে যুবরাজ আবদুল্লাহ কার্যত সৌদি আরব শাসন করছিলেন।তার শাসনামলে আবদুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং উভয় পক্ষের কাছ থেকে বিলিওন ডলারের বেশি মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনেন। তিনি মিউনিসিপল কাউন্সিলে মহিলাদের ভোট দেয়া ও অলিম্পিকে অংশ নেয়ার অধিকার প্রদান করেন। আরব বসন্তের সময় রাষ্ট্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তিনি সক্ষম হন। ২০১৩ সালের নভেম্বরে বিবিসির রিপোর্টে দাবি করা হয় যে দীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে সৌদি আরব পাকিস্তানের কাছ থেকে পরমাণু অস্ত্র সংগ্রহ করতে সক্ষম।আবদুল্লাহর জীবদ্দশায় দুইজন উত্তরাধিকারীর মৃত্যু ঘটেছে। প্রথম জন সুলতান বিন আবদুল আজিজ ২০১১ সালের অক্টোবরে মারা যাওয়ার পর রক্ষণশীল অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী নায়েফ বিন আবদুল আজিজকে উত্তরাধিকারী ঘোষণা করা হয়। নায়েফ ২০১২ সালের জুনে মারা যান। এরপর আবদুল্লাহ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সালমান বিন আবদুল আজিজকে উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। বিভিন্ন রিপোর্ট মোতাবেক আবদুল্লাহ সবমিলিয়ে ৩০ বার বিয়ে করেছেন এবং তার ৩৫ জনের বেশি সন্তান রয়েছে।বাদশাহর ব্যক্তিগত সম্পদ ছিল প্রায় ১৮ বিলিওন মার্কিন ডলার যা তাকে সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রপ্রধান করে তোলে।তিনি নিয়োমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিন সপ্তাহ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় 23 জানুয়ারি 2015 সালে 90 বছর বয়সে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। অতপর সৎ-ভাই সালমান তার স্থলাভিসিক্ত হয়ে সৌদি বাদশা নিযুক্ত হন।
২। আহমেদ আল তাইয়েব
৩।আলি খামেনেই
হুসেইন আলি খামেনেই ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ায় তিনি দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি।খামেনেই ১৯৮১-এর জুন মাসে একটি হত্যাচেষ্টার শিকার হন, তিনি সেখান থেকে বেঁচে গেলেও ডান হাতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন।অন্যান্য রাষ্ট্রনায়কদের চেয়ে খামেনেইর সাহিত্য অণুরাগ একটু বেশিই বলা চলে। খামেনেই খুবই শুদ্ধ ভাষায় আরবি বলতে পারেন এবং তার মাতৃভাষা হচ্ছে ফার্সি। তিনি ফার্সিতে একধিক আরবি বই অণুবাদ করেছেন, এর মধ্যে বিখ্যাত মিশরীয় ইসলামিক চিন্তাবিদ সাইয়াদ কুতুবের কাজও রয়েছে। তিনি তার বাবার মাতৃভাষা আজারবাইজানি ভাষাতেও মোটামুটি শুদ্ধভাবে কথা বলতে পারেন এবং কিছুটা ইংরেজি বুঝেন।
৪।জর্দানের বাদশাহ অব্দুল্লাহ হাসেমী
৫।মরোক্কর বাদশাহ মোহাম্মদ
৬। তুর্কীর প্রধানমন্ত্রী তাইয়েব এরদোগান
৭। আয়াতুল্লাহ সায়্যিদ আল হোসাইন সিসতানী (ইরাক ) । ইরাকের হাওজা, নজফ অঞ্চলের মারযা’
৮। কাব্বুস বিন সাঈদ আল সাঈদ । ওমানের সোলতান
৯।মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান । আবুধাবীর যুবরাজ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
১০। আমির হাজ্জ্বি মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব । পাকিস্তানের তবলীগ জমাতের নেতা
সূত্রঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯