পাপের হিসাব
জলিল মিয়ার বউ কলি তার সোহাগ ভালোবাসা থেকে জলিল মিয়াকে বঞ্চিত করেছে।
তাই জলিল মিয়ার বউয়ের ছোট বোন পলি সেও নাকি তার স্বামী সোহাগ থেকে বঞ্চিত
হয়েছে। কলিমমিয়ার চাচাতো ভাই ছলিম মিয়া কোটি কোটি টাকার মালিক ছিল,গাড়ি,বাড়ির কিছুই অভাব ছিলো না তার ! কিন্ত অকাল মিত্যু বরণ করলো স্টিক করে ।এত টাকা পয়সা, বাড়ি, গাড়ি,
নাম জজস থাকা সত্বেও ছলিমমিয়া মিত্যুর দশ বারো বছর আগে হতে মিত্যু পযন্ত শ্ত্রী,কে নিয়ে
সুখী হতে পারেননি,শ্ত্রী,কে নিয়ে এ অসুখীই তাকে মিত্যুর কুলে পৌঁছে দিলো ।এখন কলিম মিয়ারও একই অবস্থা কলিম মিয়াও তার শ্ত্রী,কে নিয়ে সুখী নন।আসলে জলিল মিয়া,কলিম মিয়া,আর ছলিমমিয়া এরা তিনজন চাচাতো ভাই।এরা তিন জন একই বংশের লোক।
অবশেষে কলিমমিয়া বুঝতে পারছেন তারা তাদের বাপ চাচার সঞ্চয় করা পাপের লাভ লোকসানের হিসাব বয়ে বেরাচ্ছেন।তাদের বাপচাচারা সকলে তিনটি চারটি করে বিয়ে করেছিলেন ।এটাই ছিলো তাদের বড় পাপ।আর সে পাপের হিসাব বহণ করছেন তাদের সন্তান জলিল,কলিম,ছলিমমিয়ারা ।
সত্য বড়ই নির্মম।
আজিজ মিয়া তিনি একজন পুলিশ অফিসার । তিনি কখনো ছোট অংকের ঘুষ খেতেন না !
তিনি কোন অপরাধীকে ধরে ছেড়ে দিলে তাতে তিনি মোটা অংকের ঘুষ খেতেন ।আর কোন অপরাধী
তাকে মোটা অংকের অর্থ দিতে না পারলে তার অপরাধের মাত্রা যত ছোটই হোক না কেন তাকে যত বড় অপরাধী করা সম্ভব হতো তত বড় অপরাধী বানিয়ে সে রকম শাস্তির ব্যবস্থা করে ফেলতেন।এমনও দেখা গেছে অনেক নিরঅপরাধ মানুষ তার এই রেশারেশি ও জুলুমের কারনে যাবতজীবন ও মিত্যু দণ্ড পেয়েছেন।আজিজ মিয়ার চার সন্তান, বড়ছেলেটি জন্ম অন্ধ,ছোটটি রাত কানা,মেজটি বোবা,আর একেবারে ছোট অর্থাত চার নম্বরে একটি মেয়ে হয়েছে সেও জন্ম পঙ্গু ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২০