২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়া The Gifted মুভিটি ফিলিপাইনের। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ক্রিস মারটিনেস। পরিচালক বরাবরই রোম্যান্টিক- কমেডি ঘরনার ছবি পরিচালনা করে থাকেন। এটিও তার ব্যতিক্রম নয়। ১২১ মিনিট ব্যাপ্তি ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যানি কুরটিস, ক্রিস্টিন রেইস এবং শ্যাম মিলবাই।
ছবির কাহিনী আবর্তিত হয় মার্কো ইউজোন (শ্যাম মিলবাই) নামের এক লেখকের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানকে ঘিরে, যেখানে লেখক তার বইয়ের কাহিনী সবাইকে শোনায় যেটাকে লেখক সত্যি গল্প বলে দাবী করে। বইয়ের গল্পে দেখা যায় এক স্কুলে নিকোল (অ্যানি কুরটিস) এবং আইকা (ক্রিস্টিন রেইস) ভর্তি হয়। নিকোল যেমন মোটা, আইকাও তেমন কুৎসিত কদাকার দেখতে। নতুন স্কুলের কেউ তাদের দেখতে পারে না, হাসি তামাশা করে। কিন্তু তবুও তারা তুমুল মেধাবী, এমনকি শিক্ষকদেরও হার মানিয়ে ফেলে তারা তাদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। কিভাবে কিভাবে যেন নিকোল আর আইকা ভালো বন্ধু হয়ে যায়। এদিকে সব সময় পরীক্ষায় আইকা প্রথম হয় আর নিকোল দ্বিতীয় হয়। দ্বিতীয় হওয়া নিয়ে নিকোলের কোনদিন কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণীর শেষ পরীক্ষায় নিকোলের মা তাকে ফুসলাতে থাকে প্রথম হওয়া নিয়ে। আর তাই মায়ের কথা শুনে আইকার প্রতি এক হিংসা তৈরি হয় তার মনে। এদিকে আইকা ক্লাসের নতুন হার্টথ্রব ছাত্র মার্কের প্রেমে পড়ে। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে এটাকে টোপ হিসেবে নেয় নিকোল। মার্ক যেহেতু লেখাপড়ায় একদম ভালো না সেহেতু মার্ককে শর্ত দেয় নিকোল যে স্কুলের সব হোমওয়ার্ক এবং অ্যাসাইনমেনট করে দিবে মার্ককে, বিনিময়ে আইকার সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করতে হবে। কিন্তু পরীক্ষা শেষে দেখা যায় নিকোল এবং আইকা সমান মার্ক পেয়ে প্রথম হয়। এদিকে স্কুল জীবন শেষে মার্কও আইকাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু আইকা ঠিকই ভালবেসে ছিল মার্ককে। নিকোলের কূটবুদ্ধির কথা জানতে পেরে আইকা তার সাথে তুমুল ঝগড়ার এক পর্যায়ে বন্ধুত্ব নষ্ট করে ফেলে। পরবর্তীতে আইকা গনিতে এবং নিকোল নিউরো সায়েন্সে পড়ালেখা করে দেশের বাইরে। এরপর ফিলিপাইনে ফিরে আসার আগে দুজনেই প্ল্যাস্টিক সার্জারি করে নিজেদের সুন্দর বানিয়ে ফেলে। দুজনেই মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এদিকে স্কুলের রিইউনিয়নের মিটিঙে দেখা হয় দুজনের। ঘটনা মোড় নেয় অন্য দিকে। বলে রাখা ভালো ছবির শেষে অন্য রকম এক চমক আছে, যা একটুও আঁচ করতে পারবে না দর্শক।
মজার এই ছবিতে সবার অভিনয় ভালো লেগেছে। সেই সাথে ছবির রূপসজ্জাকর বিশেষ প্রশংসার দাবীদার। আইকা এবং নিকোলকে এত নিখুঁত করে নাক মোটা কুৎসিত বানিয়েছে যে তাদের প্ল্যাস্টিক সার্জারির পরের চেহারার সাথে মিলানোই যাবে না।
হাস্য রসে ভরা ছবিটি ২০১৪ সালে ফিলিপাইন স্টার এ্যাওয়ার্ডে সেরা ছবি এবং নিকোল চরিত্রের জন্য সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পান অ্যানি কুরটিস।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৮