somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাকশালী বউয়ের আচঁলে সুশীল জাফর ইকবালের গনতন্ত্র বনাম গনতন্ত্রের মানস কন্যা; স্যালুট আড়িয়াল বিলের বিদ্রোহী জনতাকে

২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতবছরের এই দিনটির কথা কথা কতজনের মনে আছে এই প্রশ্নটি করাটা বোকামী হবে । ইসুৎ নির্ভর গনতান্ত্রিক এই দেশে ইসুৎর অভাব নেই।মানুষের সুস্থভাবে বেচেঁ থাকার জন্য মৌলিক যে চাহিদাগুলো দরকার সে চাহিদাগুলোর অভাব মানুষ প্রতিনিয়ত একইরকম সমস্যার সম্মুখীন হয় বলে এই ইসুৎগুলো সব সময় মনে রাখতে পারে।কিন্তু রাজনৈতিক ইসুৎগুলো পাল্টাচ্ছে তাই আমজনতা মনে রাখতে পারেনা।কয়েকদিন পরপরই নতুন নতুন ইসুৎ নিয়ে রাজনৈতিক অংঙ্গন উত্তপ্ত হয়।কখনো খালেদাজিয়ার বাড়িতে পর্নোম্যাগাজিনের ইসুৎতো কখনো খালেদার বাড়ি কেড়ে নেওয়ার ইসুৎ;কখনো যুদ্ধাপরাধীদের অনুষ্টানে মুক্তিযোদ্ধাকে লাথি মারার ইসুৎতো কখনো কোন যুদ্ধাপরাধীর দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই ঘোষনা;কখনো আমার নেত্রী জীবনে কখনো কোনদিন মিথ্যা বলেনি এমন ডায়লগ দিয়ে জিল্লুর রহমানের তৈলুর রহমান হয়ে যাওয়াতো কখনো ভারত বিরোধী আগ্রাসনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এদেশীয় ভারতের দালালদের হাতে নিহত বাবুর খুনীদের তৈলুর রহমান কৃত্বক ক্ষমা করা;নোবেল জয়ী ইউনুস ইসুৎ থেকে হাসিনা লারমার নোবেল না পাওয়ার যন্ত্রনায় কাতর পা চাঠা চামচাদের আহাজারি;শেয়ার বাজার কেলেংকারী কিংবা কয়েকদিন পরপর অতীত রেকর্ড ভেংগে শেয়ার বাজার ধসের নতুন রের্কড ইত্যাদি ইত্যাদি টাইপের হাজার হাজার ইসুৎ পাবলিকের মনে না রাখতে পারাটাই স্বাভাবিক।কয়েকদিন পর পর একেকটি ইসুৎ নিয়ে রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করে আর আমরা আমজনতা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্ছার মত লাফালাফি করি।আমরা যেহেতু আমাদের বিবেক হাসিনা-খালেদার আচঁলে ,নিজামী এরশাদদের পকেটে রেখেছি তাই ছাগলের তিননম্বর বাচ্ছার মত লাপালাপি করাটাই স্বাভাবিক।

আজ ২৭.৪.২০১১।গতবছরের এই দিনটিতে চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দিয়েছে বাকশালী চেতনায় বিশ্বাসী শেখ হাসিনা সরকার।বাকশালী চেতনায় বিশ্বাসী সরকার এই নিয়ে অনিয়ম এ সোচ্চার হল আর বিরোধীদল যারা একুশে টিভি বন্ধ করে দিয়েছিল তারা আবার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সোচ্ছার হল। আমজনতাও দুই ভাগ হয়ে গিয়ে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্ছার মত লাপাতে লাগল।বিএনপিপন্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার চিৎকার দেখে চ্যানেল ওয়ান বন্ধের খুশিকে তালি দিতে দিতে নিজেদের পাচাঁ লাল করে ফেলা আওয়ামীপন্থীরা একুশে টিভি বন্ধ করে দেওয়ার সময় বিএনপিপন্থীদের এমন চিৎকার না করার তীব্র ধিক্কার জানালো।একটি অন্যায়কে আরেকটি অন্যায় দিয়ে আড়াল করার মানসিকতা যে আমাদের নগ্ন রাজনৈতিক মানসিকতার বাস্তবতা তা নিয়ে কারো দ্বিমত থাকলে থাকতে পারে কিন্তু আমার বিন্দু মাত্র দ্বিমত নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে আলোকিত চরিত্রের জন্য নায়ক হয়ে থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণকারী বাকশালী খলনায়কও।মুজিব যে বাকশালী একনায়কতন্ত্র সৃষ্টি করে গিয়েছেন এখন তা বাকশালী গনতন্ত্র হয়ে গেছে।যে যায় ক্ষমতায় সেই প্রতিপক্ষ মিডিয়াকে টার্গেট করে ।ক্ষতিগ্রস্থ হয় যারা গ্রীষ্ম,বর্ষা,শীত উপেক্ষা করে দেশের অবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা করে ।এটা ঠিক অস্বীকার করার উপায় নেই যে মিডিয়া রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা প্রভাবিত।কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কি মিডিয়ার কোন অবদান নেই?প্রাকৃতিক দূযোর্গ কিংবা সীমন্ত শকুনদের চিত্র;পুলিশ -রেবের নির্যাতনের চিত্র কিংবা প্রবাসীদের নির্যাতিত,প্রতারিত হওয়ার চিত্র সব আমরা মিডিয়ার মধ্য দিয়েই জানতে পারি।মিডিয়া সবাইরো উপকার করে।রাজনীতিবিদ থেকে আমজনতা সবাইরি উপকার করে ।

২..
মিডিয়ার শক্তি কি ছোট্র একটি উদাহরণ।জাফর ইকবালকে কয়জন চিনত?কিন্তু জাফর ইকবাল আজ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে যায়গা করে নিয়েছে একমাত্র মিডিয়ার কল্যানেই। যে জাফর ইকবাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে তরুনপ্রজম্মকে গনতন্ত্রের মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঠিক ব্যবহার করতে ভোটের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের ভোট না দেওয়ার আহবান জানায় সে জাফর ইকবাল জানিয়ে দিলেন উনাকে নিয়ে বিরোধী পক্ষ যে প্রচারণা করে সেটা ১০০ভাগ সত্য।আমজনতার বিবেক যেমন হাসিনা-খালেদার আচঁল কিংবা নিজামী এরশাদের পকেট থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি তেমনি তরুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমের দীক্ষা দেওয়া উনার বিবেক ও হাসিনার আচঁল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।উনার বউয়ের বাকশালী মনোভাবের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কোন সাংবাদিক দেখতে চাই না। গত সিন্ডিকেট বৈঠকেও আমি একই কথা বলেছি সাথে শাবিপ্রবি-তে সাংবাদিক না দেখার পক্ষেই সুর মেলাননি শুধু অভিযোগ এসেছে সাংবাদিককে চড় দেখানো এবং চাকরি খাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন জাফর ইকবাল।আওয়ামী মিডিয়া শক্তিশালী হওয়ায় এই ব্যাপারটি ধামাচাপাই পড়ে গেছে ।বিএনপিপন্থী কোন শিক্ষক এই কাজ করলে আওয়ামী মিডিয়া এটাকে প্রধান শিরোনাম থেকে সম্পাদকীয় পর্যন্ত লেখা হয়ে যেত।
জাফর ইকবালদের সাংবাদিকতা বিরোধীতার আড়ালে সাংবাদিক না দেখার আন্দোলনের সঠিক প্রচার না হওয়াটাও কি হলুদ সাংবাদিকতা নয়?জাফর প্রেমীরা এখন বলবে না সব অপপ্রচার কেউ কেউ আবার সেইদিন ক্যাম্পাসে ছিলাম ইত্যাদি ইত্যাদি কাহিনীও ফাঁদতে দেরী হবেনা।কারণ,আমরা একবার যাকে আদর্শ মানি সে অন্যায় করতেই পারেনা এটা প্রমাণে হাজারটা যুক্তি কিংবা মিথ্যাচার করতেও দ্বিধাবোধ করিনা।চকচক করলে সোনা হয়না এই প্রবাদটি আমরা বিশ্বাস করলেও বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ করতে পারিনি আজো।যারা এই পোস্টে চিৎকার করবেন তাদের কাছে প্রশ্ন থাকল, বিএনপির আমলে টিফাইমুখ ইসুৎতে জাফর ইকবালের ঘুম হারাম হয়ে যায় কিন্তু আওয়ামী আমলে জাফর ইকবাল টিফাইমুখ ইসুৎতে জাফর ইকবালের ঘুম হারায়না কেন?মৌলবাদীদের কারণে আমাদের সংস্কৃতি হুমকির মুখে ইত্যাদি ইত্যাদিতে বেশ সোচ্চার জাফর ইকবালের নিচের ভিডিওটি কোন সংস্কৃতির গুনগান?


কেউ যদি যুক্তি হিসেবে বলেন এটা উনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।সব মানুষেরই অধিকার আছে এভাবে নাচার। তাহলে বলব কয়েকটা প্রেম করাও এরশাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার।তাহলে এরশাদকে কেন লুচ্চা বলেন?
একজন গাফফার চৌধুরী আর একজন জাফর ইকবালের মধ্যে অমিল হচ্ছে একজন সরাসরি নিজের চামচাগিরি এতদিন ধরে মিডিয়ায় প্রকাশ করে আসছেন আরেকজন কৌশলে করে আসছে বছরের বছর গনতন্ত্রের মত প্রকাশের লেবাসে মুখ লুকিয়ে ।

৩..

আমার প্রায় সবগুলো লেখাতেই হতাশা দিয়ে শেষ হয় কিংবা ক্ষোভের প্রকাশ দিয়ে।কিন্তু আজ শেষটুকু লিখতে আমার বেশ ভাল লাগছে।কারণ,সংবাদপত্রের শত শত মন খারাপ করার পাশাপাশি যে খবরটি আমাকে ভাল লাগার আবেশ দিয়েছে সে খবরটি হচ্ছে আড়িয়াল বিল নিয়ে প্রকাশিত একটি খবর ।পত্রিকার পাতায় খুন,ছাত্রলীগের কামড়া-কামড়ির ছবি দেখার বিরক্তি দুর করে দিয়েছে নিচের ছবিটি।

গতবছর ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বঙ্গবন্ধু সিটি তৈরির জন্য আড়িয়ল বিলকে স্থান নির্ধারণ করে। পরে স্থানীয় জনতার ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভের মুখে বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছিল সরকারকে।প্রতিবাদী মানুষগুলো নিজেদের রক্ত দিয়ে যে জমি রক্ষা করেছিল সে জমিতে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।আড়িয়াল বিলের মানুষগুলোর প্রতিবাদী মানুষগুলোর কাছ থেকে কি আমাদের কিছুই শেখার নেই?

ইদানিং ব্লগে বেশ ভয়ের উপরে থাকি তাই ব্যাকআপের জন্য কিছু খুজঁছিলাম।সে সুযোগটি একজন ব্লগার করে দিয়েছেন ফ্রি ব্যাক্তিগত ব্লগ খুলে দিয়ে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:২১
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×