১। এক বয়স্ক ভদ্রলোক উকিলের কাছে এসেছেন ডিভোর্স নিতে। উকিল বললেন,
- কতদিন ধরে সংসার করছেন?
- তিরিশ বছর।
- কেন ডিভোর্স নিতে চান?
- কারণ আমার স্ত্রী রেগে গেলে আমার দিকে জিনিসপত্র ছুঁড়ে মারে।
- সংসারে এসব হয়। জীবন আর ক'দিনের? তারচেয়ে এতদিন যখন সহ্য করেছেন, বাকী জীবনটাও করুন।
- আর সহ্য করতে পারছি না।
- কেন?
- আগে জিনিস ছুঁড়লে আমার গায়ে লাগতো না। তিরিশ বছর ধরে প্র্যাক্টিস করার কারণে এখন নিশানা মিস হয়না। প্রত্যেকটা জিনিস আমার গায়ে লাগে।
(মর্যাল অব দ্য স্টোরি : দীর্ঘদিন ধরে কোন কাজ (ভালো বা মন্দ/ভোট সুষ্ঠু বা কারচুপি) করলে দক্ষতা বাড়ে।)
২। এক বড় নেতার জামাই পরকীয়া করে মেয়ের কাছে ধরা পড়েছেন। মেয়ে আর কিছুতেই সে স্বামীর ঘর করবেনা। তালাক নেবে। নেতা পড়লো বিপদে। মেয়ের ঘর ভাঙ্গলে বদনাম হবে। সামনে ইলেকশন। তিনি জামাইকে ডেকে বললেন, "যে কাজ গোপন করতে পারনা, বৌয়ের কাছে ধরা খাও, সে কাজ কর কেন?"
(মর্যাল অব দ্য স্টোরি : চুরিবিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড় ধরা। হোক সে পরকীয়া বা ভোট কারচুপি।)
৩। এক বয়স্ক ভোটারকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন,
- ভোটের অবস্থা কেমন দেখলেন?
- আগের চেয়ে ভালো। আগে দু' একটা কেন্দ্রে কারচুপি হতো। এখন প্রায় সব কেন্দ্রে কারচুপি হচ্ছে। আগে গোপনে কারচুপি হতো। এখন প্রকাশ্যে হচ্ছে।
- নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কেমন বলে আপনার মনে হয়?
- খুবই ভালো মনে হয়। আগে দু'একটা কারচুপির তদন্ত করতো। এখন কোন কারচুপিরই কোন তদন্ত করেনা।
- নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করতে কি করা উচিত?
- ভোট কারচুপির কোন অভিযোগ বা প্রমাণ যাতে কেউ দিতে না পারে, সেজন্য টিভি ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, এসব যাতে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে, সেজন্য আইন করা উচিত। আর যেসব প্রার্থী বা ভোটার ভোটকেন্দ্রে ঢুকে সিলমারা ব্যালট ধরে ফেলে, তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া উচিত।
(মর্যাল অব দ্য স্টোরি : যেভাবেই নির্বাচিত হোন না কেন, সকল বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানো উচিত। কারণ নির্বাচনে কারচুপি ঠেকানোর দায় নির্বাচন কমিশনের, প্রার্থীর নয় এবং বৈধ বা অবৈধ যেভাবেই জন্ম হোক না কেন, বাচ্চা (বিজয়ী) আসলে বাচ্চাই !!!)
৪। কৃষ্ণের বাঁশীর সুর শুনে গ্রামের সব মেয়ে কৃষ্ণের প্রেমে দিওয়ানী। কৃষ্ণ যাতে বাঁশী বাজাতে না পারে, সেজন্য এক মেয়ের বাবা যে লোক বাঁশি বানায়, তার বাঁশঝাড়ের সব বাঁশ কিনে নিলেন। তার ধারণা, "না থাকবে বাঁশ, না বাজবে বাঁশী।"
(মর্যাল অব দ্য স্টোরি : মানুষ ভোট দেয় মার্কা দেখে, প্রার্থী দেখে নয়। তাই প্রার্থীদের অকারণ প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করা উচিত। আর ভোট না পেয়েও যেহেতু নির্বাচিত হওয়া যায়, সেহেতু নির্বাচন ব্যবস্থাটাই তুলে দেয়া যায়। তাহলে না থাকবে ভোট, না থাকবে কারচুপি (না র্যাহেগা বাঁস, না বাজেগি বাঁসুরী) !!!
পুণশ্চ : আমি বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছি না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯