" পায়ের নীচে থাকা টেবিল বা টুলটা সরিয়ে দিতেই পুরো দেহের ভারটা পড়বে গলার উপর....সাথে যোগ হল অভিকর্ষজ ত্বরণ,নাইন পয়েন্ট এইট এম এস ইনভার্স টু।পৃথিবী তোমাকে নীচে দিকে টানবে,কিন্তু গলায় দড়িটা তোমার উপরে ধরে রাখবে।
ঘাড়ের দিকে স্পাইনাল কর্ড নামের একটা জিনিশ আছে.....পৃথিবীর টান আর দড়ির টানাটানির মধ্যে পড়ে স্পাইনাল কর্ড ভেঙে যায়।পুরো শরীরের ভারের দশমিক এক অংশ ঐ কর্ডের উপর পড়ার সাথে সাথেই কর্ডটা ভেঙে যাবে।ফাঁসিতে মৃত্যু প্রধানত এই স্পাইনাল কর্ড ভাঙার মাধ্যমেই হয়।
ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার ব্যাপারটাও একই.....লাফ দেওয়ার পর প্রতিটা সেকেন্ডে তোমার বেগ বাড়বে।প্রচণ্ড গতিতে শক্ত মাটিতে একটা সময় আছড়ে পড়বে তুমি।মাথার খুলিটা অনেক নরম।প্রচণ্ড গতিতে এটা মাটিতে ধাক্কা খেলেই ফেটে যাবে।ভেতরের মগজ গুলো বের হয়ে আসবে।
অনেক উপায় আছে মারা যাওয়ার....গলায় দড়ি,ছাদ থেকে লাফ,শাহ আমানত ব্রিজ থেকে কর্ণফুলীতে ঝাপ।প্রতিটা উপায়ে তুমি ভিন্ন ভাবে মারা যাবে....তবে একটা জিনিশ একই থাকবে।তুমি প্রচণ্ড যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে মারা যাবে।নিজেকে হত্যা করা পৃথিবীর মহাপাপগুলোর মধ্যে একটি।আর পাপী দের মৃত্যুর সময় জাহান্নামের অনুভূতির অনেকটা-ই দিয়ে দেওয়া হয়.....পায়ের নীচে টুল সরানোর একটু পরেই তুমি স্পষ্টত ভাবে একজনকে দেখতে পাবে....মালাকুল মউত হযরত আজরাইল আলাইহিসালাম...ব্যক্তি বিশেষে যিনি ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিয়ে জান কবজ করতে আসেন।
পরহেজগার ব্যক্তির কাছে যেমন তিনি আসেন সুন্দর রূপ নিয়ে,যেভাবে তিনি পরহেজগার বান্দার জান কবজ করেন তাঁকে যথাসম্ভব কম কষ্ট দিয়ে.....ঠিক তেমনি ভাবেই গুনাহগার ব্যক্তির কাছে আসেন ভয়ংকর রূপ নিয়ে,জান কবজের সময় দেন অবর্ণনীয় কষ্ট।
আচ্ছা,আত্মহত্যায় মারা গেলে.....এরপর?
তোমার কবরটা জাহান্নামের সাথে যুক্ত করে দেওয়া হবে...মাকড়শা ভয় পাও?তেলাপোকা?গরমে বেসিন দিয়ে সবুজ সবুজ কাঁটাওয়ালা বিষাক্ত জোঁকগুলো উঠতে দেখেই মেরে ফেলেছো না?
ওয়েল....সেসব গুলো তোমার কবরে দেওয়া হবে....লোমশ পা নিয়ে মাকড়শা তোমার শরীরের উপর হাঁটবে....জোঁকগুলো দংশন করবে অবিরত।
কি ভাবো?উঠে চলে আসবে?পারবে না ড্যুড!সাড়ে তিন হাত নিচ থেকে উঠে আসার কোন উপায় নেই....শাস্তিগুলো তুমিই নিজের জন্য নির্ধারণ করেছিলে।সামান্য কয়েকটা পয়েন্ট,একটা সাব্জেক্টে মিস...কিংবা কেউ চলে যাওয়ার পর হুট করেই ঝুলে পড়লে,খেয়ে নিলে হারপিক বা স্যাভলন।
ঝোঁকের মাথায় আসলে হাতে দড়িটা নিবে....লাগাবে....ঝুলবে...টুল সরাবে।তবে এরপরই ঝোঁক কাটবে।তুমি বুঝে যাবে,কি ভুলটা তুমি করেছো.....তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেক।*
অতএব,সময় থাকতে বুঝো...ট্রাস্ট মি,,
গেলো ১১ তুমি তারিখ গোল্ডেন মিস করলে কষ্টটা এরপরের মাসের এগারো তারিখেই অনেক কমে যাবে।পৃথিবীর কোন যন্ত্রণা দীর্ঘস্থায়ী না.....অনেক মানুষ অনেক বড় বড় কষ্ট নিয়ে হাসিমুখে বেঁচে আছে।কোন অঙ্গ হারিয়ে,প্যারালাইজড হয়েও দিনের পর দিন অনেকে বেঁচে আছে।আজ রাতে যখন তুমি খেয়ে দেয়ে গোল্ডেনের চিন্তায় এপাশ ওপাশ করছো,ঠিক তখন কোন জায়গায় কেউ এপাশ ওপাশ করছে ক্ষুধার জ্বালায়।সৃষ্টিকর্তা তোমাকে অনেক ভালো রেখেছে ড্যুড!তুমি চোখ দিয়ে আমার স্ট্যাটাস দেখছো...হাত দিয়ে লাইক দিচ্ছো....পেট ভরে খেতে পারছো।
ডেম কেয়ার মনোভাব নিয়ে আত্মহত্যা করার চেয়ে সেই একই ডেম কেয়ার মনোভাবের পয়েন্ট ওয়ান পার্সেন্ট কাজে লাগিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে কষ্ট সহ্য করে বেঁচে যাও।আগামীকাল দিনটা তোমার হবে না বলেই যে পরের দিনগুলোও তোমার হবে না,এটা কে বললো?
সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখো ড্যুড.....নিজের উপর বিশ্বাস রাখো!যে কলেজ তোমাকে ভর্তি করাবে না কম মার্ক্সের অজুহাতে,সেই কলেজই আবার এক সময় তাদের বার্ষিকীতে একটা শুভেচ্ছা বাণী পেতে সেই তোমারই দ্বারস্থ হবে....
নো গ্যারান্টি ম্যান!একচুয়েলিই নো গ্যারান্টি!
(*চিহ্নিত অংশটির কনসেপ্ট সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ২:২৩