এক:
ঘড়ির কাটা ঠিকি ঠিকি
এস্ট্রো লাইট মেন্টালিটি
নষ্ট হবার যোগ আছে।
মনে অসুখ কিসে যে সুখ
পাগলে কি কইতাছে?
পাগলের কি বলার আছে?
যার বলার তারই আছে;
কেউ বুঝুক আর নাইবা বুঝুক
যার যা মানায় তারই সাজে।
রাহু থেকে বাঁচতে গেলে
নষ্ট ভ্রষ্ট করতে হলে;
পশু ছেড়ে মানুষ হরে
সামাল দেরে নিজকে নিজে।
সাধনের পথ অনেক ভারী
নেক সুরুতের ফাঁদে পড়ি;
পথ হারাসনে ওরে পাগল!
মীযান শাহ যা চাইতাছে।
দুই:
মানুষ তো আর দুধে ধোয়া না
পাগল! তুমি চিনবে কি ভাবে?
ভালোর ভালো মন্দের মন্দো
পৃথিবীটা গড়া যে ভাবে।
মানুষের ভালো আছে
আছে সাথে মন্দ;
এই নিয়ে চিরদিনই
লাগে কতো দ্বন্ধ।
যদি তুমি ভাল হও
দাও ছেড়ে মন্দ;
থাকবে না পৃথিবীতে
আর কোন দ্বন্ধ।
দ্বান্দিক পৃথিবীতে
আসে যদি ছন্দ;
মানুষের মাঝে পাবে
গোলাপের গন্ধ।
সোজা পথে পাবে খুঁজে
মুক্তির তত্ত্ব;
আজ থেকে হয়ে যাও
সত্যের ভক্ত।
তিন:
দৌড়ের উপরে তাই থাকবি রে
সেই হিসাবটাই মিলাইতাছি;
ভাবছো যেনো বনের বাউল
মহল্লাতে নতুন আইছি।
ভুয়ামী আর করিস না রে
ধরা খাইলে জাবিন নাই রে,
শীতল জীবন যাপন কৈ রে?
সেই কথাটাই কইতে আছি।
একে আল্লাহ শাহানশাহে
মানব জনম শূণ্য রূহে;
পূরণ যে হয় যোগ বলেতে
সেই হিসাবটাই মিলাইতাছি।
চার:
বিপদে পড়লে আল্লাহ! আল্লাহ!
বিপদ গেলে সবই ভুলে, হায়!
ভালোর চেয়ে মন্দের পাল্লা
ভারী হয়ে যায়।
ঝড়-বৃষ্টি যাই থাকুক,
বিপদ-আপদ নাইবা থাকুক;
আশেক খুঁজে শুধু মাশুক
বাঁধা কি সে পায়?
আল্লাহর খাটি আশেক হলে
রাছূল স. পাকের পথটি ধরে ;
তোমার-আমার চলতে হবে
ভবের জমানায়।
পাঁচ:
মইরো কিন্তু মাইরো না ভাই
মনসুর হেল্লাজ যার প্রমাণ,
বিশ্ব মাঝে আল্লাহ মহান
সত্য ভবে তাঁরই দান ।
মানুষের আর কি ক্ষমতা!
প্রভুর প্রতি কি মমতা?
সেই মানুষই করলো সাধন
আইনাল হকে অনির্বাণ।
মানুষ কি আর বুঝতে পারে
প্রভুরে কি ধরতে পারে?
ধরার মতো ধরতে চাইলে
কুরআন-হাদীস দেখ প্রমান।
* উপরোক্ত সবগুলি গানই ১৯৯১ থেকে ৯৫ এর ভেতরে লেখা।
বর্তমানে যা "অপ্রত্যাশিত কাব্যিক" এর অন্তর্ভুক্ত।
লেখাগুলি তৎকালীন চিন্তা-ভাবনার উপর ভিত্তি করে লেখা।
ধন্যবাদান্তে: হাকীম আল-মীযান।
রি এডিট:২৭/০৪/২০১৬।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৪