প্রখ্যাত আমেরিকান ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং কল্পবিজ্ঞানের লেখক ফিলিপ কে ডিক এর প্রিকগনেশন তত্ত্বের উপর ১৯৫৬ সালে লেখা কল্পবিজ্ঞানের ছোটগল্প দ্যা মাইনরিটি রিপোর্ট এর উপর ভিত্তি করে ২০০২ সালে টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরী ফক্স এবং ড্রিম ওয়ার্কস এর ব্যানারে স্টিভেন স্পিলবার্গ নির্মাণ করেন সায়েন্সফিকশন মুভি মাইনরিটি রিপোর্ট যার মূল চরিত্র জন এন্ডারটন রুপে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ প্রধান খল চরিত্র ডিরেক্টর ল্যামার রুপে ম্যাক্স ভন স্যাডো ও অন্যান্য চরিত্রে কলিন ফ্যারেল (ড্যানি) , সামান্থা মর্টন (অ্যাগাথা), নেল ম্যাকডোনা (ফ্ল্যাচার) এবং ক্যাথরিন মরিস (লারা) মুভিটির সংগীত পরিচালনায় ছিলেন প্রখ্যত আমেরিকান মিউজিক কম্পোজার জন উইলিয়ামস
কাহিনী সংক্ষেপঃ
২০৫৪ সালের ওয়াশিংটন ডিসি ৬ বচর ধরে একটি সম্পূর্ণ হত্যা মুক্ত শহর। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এর অধীনে প্রিকগনেশন বা নিকট ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা রয়েছে এমন তিনজন স্বেচ্ছাসেবীর মস্তিষ্ক ব্যবহার করে প্রি-ক্রাইম ডিভিশন নামে একটি স্পেশালাইজড ডিভিশন নিকট ভবিষতে ঘটতে যাওয়া হত্যাবলী প্রতিরোধ করে শহরকে হত্যামুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। ডিরেক্টর ল্যামার এই প্রি-ক্রাইম ডিভিশনের সর্বময় কর্তা এবং ক্যাপ্টেন জন এন্ডারটন (টম ক্রুজ) প্রি-ক্রাইম ডিভিশনের পুলিশ বিভাগের প্রধান। একদিন প্রি-কগদের মাধ্যমে তথ্য আসে এখন থেকে ঠিক ৩৬ ঘন্টা পর এই জন এন্ডারটনের হাতেই লিও ক্রো নামে একজন খুন হবে। পালিয়ে যায় জন। শহরের সর্বত্র ছড়ানো স্বয়ংক্রিয় রেটিনা স্ক্যান সিস্টেম থেকে নিজেকে আড়াল করতে বদলে ফেলে তার আসল চোখ। চোখ বদলিয়ে জন আবার ফিরে আসে শহরে এবং অপহরণ করে প্রধান প্রিকগ অ্যাগাথা কে এদিকে প্রি-ক্রাইম ডিভিশন হন্যে হয়ে ধরার চেষ্টা করছে জন এন্ডারটনকে , , , , , , , , , , , , , , ,
কাহিনী বর্ণনা এখানেই শেষ করলাম। আশারাখি বাকীটুকু আগ্রহী দর্শকগণ মুভিটা দেখে জেনে নেবেন। তার থেকে আমরা দেখে নেই মুভিটিতে দেখানো ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিসমুহ সাথে ২০৫৪ সালের ওয়াশিংটন ডিসি শহরের স্থাপত্যশৈলী এবং কিছু মুভি ক্লিপ
এই মুভিতে প্রযুক্তির ব্যবহার দেখাতে গিয়ে স্পিলবার্গ বলেন, আমি মুভিটিতে এমন সব প্রযুক্তির ব্যবহার দেখাতে চেয়েছিলাম যেগুলোর কিছুদিনের মধ্যে সত্যিকারের প্রয়োগ দেখা যাবে। এমন একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হবে না। এমন একটি সংবাদপত্র যার একটি কপিই পাঠকের হাতে নিয়মিত খবর আপডেট করবে। সারা শহরের রেটিনা স্ক্যানিং সিস্টেম আমাদের গতিবিধির উপর নজর রাখবে বিজ্ঞাপন সমুহ আমাদের চারিদিকে থাকবে এবং আমাদের সাথে কথা বলবে।
মাল্টি টাচ ইন্টারফেস
রেটিনা স্ক্যানার
স্পাইডার রোবট
ইনফ্রারেড রে ব্যবহার করে গরম দেহ সনাক্তকরনের মাধ্যমে রেটিনা স্ক্যান করে অপরাধী ধরার মাকরশা সদৃশ যন্ত্র
বিজ্ঞাপন
ই-পেপার
জেট প্যাক
কিছু ছবিঃ
সবশেষে মুভিটিতে ব্যবহৃত লেক্সাস ২০৫৪ মডেলের কনসেপ্ট কার একটি ভিডিও
ডিসক্লেইমার-১ সিনেমাখোরদের মুভি রিভিউ পড়ে পড়ে ইহা তাহাদের অনুকরণের একটি চেষ্টা মাত্র।
ডিসক্লেইমার-২ দ্রুততার সহিত লেখা, ভুল ভ্রান্তি মার্জনীয়
রেটিং এবং ডাউনলোড লিংকের ব্যাপারে সিনেমাখোরদের সাহায্য চাচ্ছি। এব্যাপারে আমার কোন ধারণা নাই।
মুভি ডাউনলোড লিংক ৭২০পিক্সেল, ৯০০এম,বি এর টরেন্ট। (কৃতজ্ঞতা- রাশান শাহরিয়ান নিপুন)
** তথ্যসুত্র ইন্টারনেটএবং নিউজ পেপার
**সকল লিংক উইকিপিডিয়া
উৎসর্গ- সিনেমাখোর গ্রুপ এর সকল সদস্যকে
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:৩২