১৭.
যৌনতার গন্ধমাখা
রাতে লজ্জাহীন নগ্ন
চাঁদের আলো
পেতেছি কামার্ত
পেয়ালা মরুতে আরেকটু
জল ঢালো

১৮.
কোন এক শিউলি
প্রভাতে বকুল ছুঁয়েছিল
বুক
চুল ডুবিয়ে গাঁদাফুলে
লুটে নিলে কিশোরের
সুখ বাকিটুকু পড়ুন

১২.
তোমার বুনো প্রণয়ে
বেনো চুম্বনে লুণ্ঠিত
কিশোর হৃদয়
ফিরিয়ে দাও

১৩.
আলসেমীর পিঁড়ি পেতে
আগলে রাখো এক উঠান
রোদ
উকুনের মতো ধরো
উড়ে যাওয়া অতীতের
ফুল

১৪.
নিরীহ বিরহেরা মাতাল
হলে পদতলে আকাশ
নাচে
মদের গৌরব গিলে
বিলাসী বরফ

১৫.
আমি তোমার ভোরের দোয়েল
তুমি আমার ব্লু হোয়েল

১৬.
ছুঁ'তে গালের টোল
বাজলো পিঠে ঢোল
বাকিটুকু পড়ুন

গাত্রবর্ণ যখন আজন্মপাপ
শিক্ষিত ফরহেজগার পরিবারের
খাবার টেবিলও তখন মূর্তমান
আতঙ্ক

বেড়ানো কিংবা দাওয়াতে না
যেতে পারার ক্ষতগুলোর
গভীরতা বাড়ায়
'ভাইয়া দেখতে কার মত?'

শেষ আশ্রয়ের দিকে চেয়ে
জেনে নেই নোয়াখালীর
পণ্য আমি


বাকিটুকু পড়ুন

সাঁঝবাতি জ্বেলে ঠাকুর
ঘরে আরতী, গোয়ালে
বাছুরযুদ্ধ
পাশের বাড়িতে অসমাপ্ত
আযান আর্তনাদ আর
আগুন

উঠানের কোনে জমছে
আতঙ্ক, ঠাকুর ঘরে ধর্ষিত
পূজারী, জায়নামাজে রক্তস্রোত

রক্তজবার পাশে ঝুলে থাকা ষোড়শীর
স্তন, দিঘীর জলে নীভে যাওয়া শিশুদের
প্রাণ, লাশের গন্ধময় মৃত্যুমাখা
জনপদে অট্টহাসিতে মুছেগেছে
মানবতা বাকিটুকু পড়ুন

অন্তত একটি দিন হোক ক্লান্তিহীন
পাতে উঠুক স্বজনের প্রীতির পরশ
আনন্দে দুখগুলো হয়ে যাক লীন
মন হোক প্রেমময় সুখের সারস

মেলে ডানা ধরো গীত
আজ ঈদ আজ ঈদ বাকিটুকু পড়ুন

৯.
নিরবে ঝরে যাক জল
কমে যাক বুকে রাখা ভার
গতরে ঘামে না পুষিলে
রেখে যাবো পাঁজরের হাড়

১০.
দিন শেষে ঘরে ফিরলেই টের পাই
তোমাকে ছাড়া কিছুই চাওয়ার নাই

১১.
তোমায় ভালোবাসি বলেই
শত আদিম আহ্বান উপেক্ষিত
মোহে নেশায় অন্তরালে
অটুট সে প্রেম, অবিকৃত বাকিটুকু পড়ুন

৪.
দুপুরে টায়ার খেলে
রোদ খেয়ে
ঘেমে উঠা বালকের মতো
একটা দুপুর যদি আমার হতো

৫.
আমার পথের বাঁকে বাঁকে
বারমুডা ত্রিভূজ
তোমার হাত ধরে পেয়েছি
সবুজ পৃথিবীর খোঁজ

৬.
কেন চাও আদিম বেদনার ভাগ
ওটা আমার ছিল, আমারই থাক

৭.
মন একবার বেদখল হলে
আমৃত্যু দখলে নেওয়া যায় না।

৮.
তোমার সব চেয়ে বিশ্রী গালিটাও
অমৃত অমৃত লাগে
এত ভালো কেউ বাসেনি আগে বাকিটুকু পড়ুন

১.
মিটে গেলে সব
পারিবারিক কোলাহল
আমাকে ভেবে তুমি
ফেলোনা চোখের জল

২.
ভেজা শেষে পাখা মেলে
গান গায় ঘরমুখী কাক
অনাবাদি বৃষ্টিরা
ভালো থাক, বেঁচে থাক

৩.
মাঝে মাঝে মনে হয়
আমি পরের চেয়েও পর
চুমু পেতে গাল পাতলেই
বসিয়ে দিবে চড়
বাকিটুকু পড়ুন

বিষাদ মেঘ আরো নীলাভ হয়ে
গাছের মাথা ছুঁয়ে আছে যেন
স্থির দৃষ্টি পলক ফেললেই
ভাসিয়ে দিবে বুক
শুধু জমানো প্রীতিটুকু টিকিয়ে
রাখতে আর কত খরা সয়ে যাবে
কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা

শেষ শ্রাবণে নৌকা ভর্তি ফলের
বিনিময়ে পাওয়া চৈত্রের খরা
শরত হেমন্ত শীতে ভিজে নাই মোটে
তার উপর ফাল্গুনে নানা বনে যাওয়ায়
চৈত্র চেখে নিলো শেষ জলটুকু

অতিথ না খেয়ে আসলে কী হত!
ভাষার... বাকিটুকু পড়ুন

জনম গেল তোমাগো চাওয়া
মিটাইতে, তারপরও মিঠাই
দিয়া তোমরার হাত ভরাইয়া
একখান মিডা কতা পাইনাই
কোনো দিন

আজ মরিয়া বুঝলাম কত
বালা আমি ছিলাম। তয়
বালা অইয়া তোমারে
বুকে জড়াইবার না পাইরা
মরিয়াও শান্তি পাইতাছিনা বাকিটুকু পড়ুন

হাসি মুখে যত কঠিন
যাতনা দিয়েছো মোরে
ধার দেনা সব শোধিব
এবার দ্বিগুণ হারে বাকিটুকু পড়ুন

স্মৃতি শৈশবের ডানায় # আলী প্রাণ
প্রকাশক # চর্চা গ্রন্থ প্রকাশ
ধরন # কবিতা
প্রচ্ছদ # নির্ঝর নৈ:শব্দ্

পাওয়া যাবে চর্চা গ্রন্থ প্রকাশের স্টল-সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে এবং লিটলম্যাগ চত্বরে।

Rokomari Link

খুব সহজেই ভুলে থাকা যেত
এমন দিনতো সবারই গিয়েছে
শৈশবের সেই কাঁচাপ্রেম ভেবে
বালিশ ভিজিয়ে কে আর কেঁদেছে

কথা বলি সোনা, রাগ করোনা
ধরতে চেয়েছি প্রেয়শীর হাত
যখন বুঝিনি তখন কত
হাতে হাত রেখেই কেটে যেত রাত

এখন পরশে মরু সাহারা জাগে
বুকে তপ্ত লাভা লাভা লাগে
শ্বাস বুঝি গেলো, ধমনী থেমেছে
দৃষ্টি অশুভ বাজে পুড়ে গেছে বাকিটুকু পড়ুন

১।
তোমাকে রেখেছি দেহে
আত্মা করে
আছো মরমে পাইনি
বাহু ডোরে

২।
জেগে ঘুমালে জাগানোর সাধ্য কার ।

৩।
ফলের ভেতর বিষ বেড়েেছে
বেচেদে সব বোতল ভরে
মোড়কটাকেই দেখবে সবাই
ভাববে না কি তার ভিতরে

৪.
হুহু করে উঠছে বেড়ে
মালিক বাড়ির দশতলাটা
বায়ুর তোডে় যাচ্ছে ক্ষয়ে
শ্রমিক বাড়ির দোচালাটা বাকিটুকু পড়ুন