গত ২৩সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সামুতে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম কিভাবে ফেসবুক টাইমলাইন ফিচার সক্রিয় করতে হয়। ফেসবুক নিয়ে মানুষ দের যথেষ্ট আগ্রহের কারনে আপনাদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম । আজ আপনাদের জন্য কিছু ক্রিয়েটিভ ফেসবুক প্রোফাইল শেয়ার করলাম। কাভার ফটো আর প্রোফাইল ফটো দিয়ে ক্রিয়েটিভ কিছু করলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন
দৃষ্টিভ্রম হচ্ছে???
অসাধারণ ক্রিয়েটিভ পাবলিক !!! দেখে মনে হচ্ছে ২০৩৯ সালে তিনি অবশ্যই চাঁদে পা দিবেন
নিজেকে নিজেই ভয় দেখাচ্ছে কাভার ফটো এর পজিশনিং টা ভালো হইছে।
একসাথে কতগুলো প্রোফাইল পিকচার দিয়েছে!!! পারবেন এতগুলো দিতে?
আরে ফেসবুক টাইমলাইনে গুগল+ আসলো কেমনে !!!
ছবিগুলোর ম্যাচিং পারফেক্ট হইছে
একজন আর্ট ডিরেক্টর এর ফেসবুক প্রোফাইল এমন হবে না তো কেমন হবে!!!
কাভার ফটোটাই যেন একটি টাইমলাইন
Chaxelos Creatve Labs "THE TIMELINE" ভাবজজজ
ঠ্যালা ঠ্যালি লাইগা গেছে ছবির মধ্যে
একটি গ্রাফিক্স প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতার প্রোফাইল।
চিন্তা কম করেন, বোকামি বেশী করেন
কে বলছে পুরান ফেসবুকে ব্যাক করা যায় না? ক্রিয়েটিভরা কিন্তু ফেসবুক টাইমলাইন সক্রিয় করেই পুরানো ফেসবুকে ব্যাক করছে
খাইছে শিকার চলতেছে !!!
ওরে জব্বর হইছে এক্ষান
আপনাদের সুন্দর/ক্রিয়েটিভ প্রোফাইলের ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
একটি বল্টু মিয়া প্রোডাকশন।
এই প্রোডাকশনের আরও কিছু পোস্ট যা আপনাদের ভালো লাগতে পারেঃ
১. একটি ফেসবুক HQ ছবি ব্লগ (২য় পর্ব)
২.চাঁদের কিছু দুর্লভ ছবি যা আপনি আগে কখনও দেখেননি
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে কিছু লিখব। যদিও পোস্টের শিরোনামের সাথে এখনকার কথার কোন মিল নেই। তারপরও লিখছি। আমি এই পোস্টের প্রথমে উল্লেখ করেছি যে ফেসবুক টাইমলাইন নিয়ে একটি পোস্ট গত ২৩শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দিয়েছিলাম। পোস্টটির লাস্ট আপডেট হল পোস্টটি মোট ২৪০০ বারের বেশী ফেসবুকে শেয়ার হয়েছে এবং প্রায় ১১০০০বার পড়া হয়েছে। আপনারা যারা আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন তারা হয়ত খেয়াল করবেন আমি সবসময় সামুর সার্ভারে ছবি আপলোড না করে ফটোবাকেট নামক একটি ওয়েবসাইটে আপলোড করি নিজের সুবিধার জন্য। আমি খুব অবাক হই যখন ফটোবাকেট আমার সকল ছবির লিঙ্ক অকেজো করে দেয় ব্যান্ডউইডথ এর বেশী ব্যাবহারের কারনে। অবাক হই এই কারনে যে, প্রতিমাসে আমি প্রায় ১০গিগা ব্যান্ডউইদথ পাই আমার ফ্রি একাউন্টের জন্য। গাণিতিক হিসেবে আমার ছবিগুলো যদি মাসে ২লক্ষের অধিক দেখা হয় তাহলে ১০গিগা ব্যান্ডউইডথ শেষ হয়। অথচ আমার পোস্টটি তখন মাত্র ৪০০০বার দেখা হয়েছে। আমি ফটোবাকেটের একাউন্টের স্ট্যাটাস চেক করে দেখি ঐ পোস্টের প্রায় প্রত্যেকটি ছবি ১৮০০০-১৯০০০বার দেখা হয়েছে। সাধারণ হিসেবে আমার ব্লগ পোস্ট যেই কয়বার পড়া হবে ঠিক ততবার একটি ছবি লোড হয় এবং সেই সাথে একটি ছবি একবার দেখা হয়েছে বলে গণ্য করা হয়। ঐ পোস্টে আমার প্রায় ৮টি ছবি ছিল। অর্থাৎ একবার কেউ পোস্টটি পড়লে ৮টি ছবি লোড হয় সে হিসেবে ফটোবাকেট একাউন্টে আমার এ্যালবাম ৮বার ছবি দেখা হয়েছে কাউন্ট করে। কিন্তু যেখানে পোস্টটি মাত্র ৪০০০ বার পড়া হয়েছে সেখানে আমার একাউন্ট দেখায় একেকটা ছবি ১৮-১৯ হাজার বার দেখা হয়েছে অথচ হবার কথা ঠিক ৪০০০বার। আমার মাথা পুরো নষ্ট হয়ে যায় কারন ব্যান্ডউইদ শেষ হওয়ায় ওরা সব ছবির লিংক দিজেবল করে দেয় ফলে আমার ব্লগের প্রায় ৯০%ছবি গায়েব হয়ে যায়। খটকা লাগায় আমি গুগলে সার্চ দিয়ে এক অদ্ভুত জিনিস খুজে পাই! আমার ছবিগুলোর লিঙ্ক আরও অনেক ব্লগে ইউজ করা হয়েছে। ফলে সেই ব্লগগুলোর হিট আর আমার সামু ব্লগের হিট এক হয়ে তা ১৮হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। খারাপ লাগল যখন দেখি Marufur Rahman Opu নামের এক ছেলে আমার পোস্ট হুবহু কপি-পেস্ট করে নিজের নামে টেকটিউন ডট কম, সুখবর২৪ডট কম, টার্নার পেইজ ডট কম নামে ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছে। যিনি সুখবর২৪ ডট কম এবং টার্নার পেইজ ডট কম এর এডমিন/প্রতিষ্ঠাতা। যেহেতু আমি নিজে ঐ পোস্টটি লিখেছি তাই আমি ভালো করেই জানি টাইমলাইন সক্রিয় করতে গিয়ে কার কোথায় সমস্যা হতে পারে। তাই আমি সেভাবে সবার সমস্যা সমাধান করতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু এই দিক দিয়ে Marufur Rahman Opu সাহেব পুরো ধরা খেয়ে গেছে। তাকে সমস্যার কথা বললে সে কোন কমেন্টই করে নাই। কারন তিনি তো জানেন না সমস্যার সমাধান কি? আর জানবেই বা কেমন করে পোস্ট তো তার লিখা না! আমি টেকটিউন এডমিনকে মেইল করলে কয়েক মিনিটের মধ্য টেকটিউনের এডমিন তার ওয়েব থেকে পোস্টটি মুছে দেয়। এজন্য টেকটিউনের এডমিন কে ধন্যবাদ জানাই
টার্নার পেইজ ডট কম এ Marufur Rahman Opu এর কপি-পেস্ট করা পোস্টের লিঙ্ক
পোস্টের শেষে তার প্রোফাইলে দেয়া মেইল এড্রেসে আমি মেইল করেছিলাম পোস্টটি মুছে দেবার জন্য। কিন্তু সে আমাকে হতাশ করায় আপনাদের সামনে পুরো ব্যপারটি উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেই।
এবার আসুন সামুরই আরেক ব্লগার এর কাজ দেখি! টাইমলাইন নিয়ে লিখাটি দেখে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ আমার সাথে যোগাযোগ করে। গত শুক্রবার তাদের প্রজন্ম ডট কমে আমার লিখা ছাপা হয়। এবার আমি বিশাল ধাক্কা খাই যখন নিচের কমেন্টটা দেখিঃ
ভদ্রলোকের সাথে কথা বলে বুঝলাম আমি সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র ব্লগার যে নিজের লিখা পোস্ট নিজেই কপি-পেস্ট করি। লিঙ্ক এখানে ক্লিক করুন।
কিছুদিন আগে Facebook এর কিছু কমন ফেইক আইডি যাদের দেখলে জীবনেও এড/একসেপ্ট করবেন না। শিরনামে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। গুগল করে খুজে পেলাম কিছু পর্ণ ওয়েবসাইটে এই ছবি গুলো লিঙ্ক ইউজ করা হচ্ছে!!! অনেক সাইটে পোস্টটি ডাইরেক্ট কপি পেস্ট মেরে বিভিন্ন অশ্লীল ইউজার নেম দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার কারনে আমি বেশ বিব্রত।
এবার নিজের কিছু কথা বলি। আমি স্বীকার করছি না যে আমার সব লিখা শতভাগ মৌলিক। টাইমলাইন নিয়ে লিখাটাও একটি বিদেশী ওয়েব সাইট থেকে দেখে আমার একাউন্ট সক্রিয় করে পরে বাংলাভাষায় লিখেছি। আমার অন্যান্য পোস্ট গুলোও বিদেশী অনেক পোস্ট থেকে জেনে লিখা। কিন্তু যখন এখানে সেগুলো লিখতে যাই তখন অবশ্যই ঐ জিনিস/বিষয় নিয়ে আরও দু,চারটে আর্টিকেল পড়ে তারপর লিখতে বসি। যেহেতু আমি অনুবাদক নই। তাই উইকিপিডিয়া, গুগল সহ অনেক ওয়েবের সাহায্য নিয়ে আরও অনেক কিছু লিখার চেষ্টা করি। আমার প্রতিভা/মেধা ইমন জুবায়ের ভাইয়রে মত এত ভালো না। তারপরও চেষ্টা করি কয়েকটা আর্টিকেল পড়ে নিজের লিখাটাকে একটু ভাল করতে/নতুন কোন তথ্য দিতে। সেই সাথে লিখায় মৌলিকতা আনতে। কিন্তু এভাবে যদি পোস্টগুলো চুরি হয়ে যায়/ আরেকজন নিজের নাম দিয়ে চালিয়ে দেয় তাহলে এতকষ্ট করে তথ্য সংগ্রহ করে আর লিখতে আগ্রহ থাকে না।
আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ যদি কোনদিন কপি-পেস্ট লিখা দিতেই হয় তবে অবশ্যই মূল লেখক এবং লিখার সূত্র উল্লেখ করে দিতে ভুলবেন না।
ধৈর্য ধরে আমার লিখাটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।