গতকাল মাহমুদ কারিগরের আস্ফালনে অসহায় বোধ করে মাহমুদ কারিগরের খুঁটির জোর কোথায় ?
শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম ।
মাহমুদ কারিগরের খুঁটির জোর কোথায় ?
থাবা বাবা যা লিখেছে তা কোন মতেই সমর্থন করা যায় না । আমি নুরানি চাপা সম্পূর্ণ পড়তেও পারিনি , মাথা ঘুরে যায় । কিন্তু এটাকে ব্লগের সীমিত পরিসর থেকে হাইলাইট করে জনগণের মধ্যে প্রচার করে উসকানি দিয়ে দাঙ্গা লাগানো্, এটা মাহমুদুর রহমানের নবী প্রেম বা ইসলাম প্রেম নয় । জামাতি মালিকানার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের উদ্দেশ্য ভিন্ন।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার ধুঁয়া তুলে প্রথম আলো বা অন্য কোন পত্রিকা যদি সালমান রুশদির স্যাটানিক ভার্সেস ছাপিয়ে এই ধরনের দাঙ্গা বাঁধায় তাহলে কি এটাকে সমর্থন করা যায় ?
অনেকেই একটি খোঁড়া যুক্তি বার বার উল্লেখ করে থাবা বাবা লিখতে পারলে মাহমুদ বাবা কেন ছাপতে পারবে না । ব্যাপারটা তাহলে এই দাঁড়ায় সালমান রুশদি লিখতে পারলে প্রথম আলো কেন ছাপতে পারবে না ? এখানেই একজন পেশাদার সম্পাদকের সাথে বাইচান্স সম্পাদকের পাথক্য ।
কাবাঘরের খিলাফ পরিবর্তনের অনুষ্ঠানের দৃশ্যকে সাইদির মুক্তির জন্য মানবন্দ্বন বলে তার পত্রিকায় ছবি ছাপিয়ে যে প্রচারনা চালিয়েছে এখন পর্যন্ত সে কোন দুঃখ প্রকাশ বা ভুল স্বীকার করেনি । আর এটা সে করবে না ।এর গুঢ় কারন এখন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ পাচ্ছে । কারন প্রতিটা এ ধরনের এসাইনমেন্টের জন্য সে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে ।
মওদুদীর ফাঁসি হয়েছিল কাদিয়ানী দাঙ্গা লাগানোর জন্য , আর এই দাঙ্গা, উত্তরা ষড়যন্ত্র সহ অনেক অঘটনের নায়ক এই লোকটার আস্পর্ধা আর খুঁটির জোর দেখে আমি যারপরনাই বিস্মিত ও হতাশ । রাষ্ট্র এবং আইনের প্রতি তার চ্যালেঞ্জ এবং উদ্বত উক্তি আমাদের আক্ষরিক অর্থেই শঙ্কিত করে আবার কোন দুর্যোগে ফেলে দেশ এবং জাতিকে । এমন একটি দূবৃত্তের কাছে রাষ্ট্র যন্ত্র অসহায় , তার কি কিছুই হবে না ?
আর হবে কি করে যখন দেখি তার জন্য খালেদা জিয়ার মায়াকান্না আবার অন্য দিকে দেখুন তার জন্য বীর মুক্তি যুদ্বা কাদের সিদ্দিকি নোবেল চায় ।
এই গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রমান হল আইনের উধ্বে কেউ নয় ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৯