মুক্তিযুদ্বে কাদের সিদ্দিকীর ভূমিকা জাতি অত্যন্ত শ্রদ্বার সাথে স্মরণ করবে । কিন্তু ইদানিং তার ভুমিকা দেখুন।
নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় সারা বিশ্বের মানবজাতির কল্যাণে গুরুত্ব পূর্ণ কোন অবদানের জন্য । মাহমুদুর রহমান কি অবদান বাংলাদেশের তথা বিশ্বের জন্য রাখলেন যে তাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য এই বাঘায় চিৎকার করে । মাহমুদুর রহমান অবদান রেখেছেন রাজাকারদের জন্য । রাজাকাররা মাহমুদুর রহমানের জন্য দু হাত তুলে দোয়া করছে । মুক্তিযোদ্বা বাঘা কেন ?
হুমায়ন আজাদের একটি বিখ্যাত উক্তি যে রাজাকার চিরদিনের জন্য রাজাকার কিন্তু মুক্তি যোদ্বা সবসময়ের জন্য মুক্তিযোদ্বা নয় । আর এই হুমায়ন আজাদ যখন জার্মানিতে মারা যান তখন জামাত উক্তি করেছিল মৌলবাদীদের হাত খুব লম্বা । আর আমি বলব টাকার হাত বহুত লম্বা । জামাতের বিশ্ব ব্যাপী মিলিয়ন ডলার আজ কথা বলছে ।আর এই টাকার জন্যই এই বাঘায় ঘামছা গলায় কয় দিন পর পর প্রেস ক্লাবে রাজাকারদের সংগঠন স্বাধীনতা ফোরামের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে রাজাকারদের জন্য সুসঠ বিচার চান , গামছা গলায় দিগন্ত টিভিতে হাজির হয় ।কথিত আছে যে স্বাধীনতার অব্যবহিত পরপরই এই বাঘায় ঢাকা স্টেডিয়ামে ৩ জন বিহারীকে গুলী করে হত্যা করেন । সেটা কোন ট্রাইবুনালের বিচার ছিল ? এই বাঘায় নিয়াজির সাথে হাত মিলায় নাই। আর আজ রাজাকারদের সাথে গলা মিলায় ।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সে মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয় , কারন সে সময় সে মাংস দিয়ে ভাত খাচ্ছিল । বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে সে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় । অথচ সে এখন সেই বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিবসে যে নাকি ভুয়া জন্মদিন পালন করে তার গুনমুগ্ধ, তার সাথে যায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ।
দেখুন তার বর্তমান অবস্থান ; সে ট্রাইবুনালের ছিদ্রান্বেষণ করেন , শাহবাগ স্ক্য়ারে গিয়ে সমর্থন দুরের কথা দিগন্ত টিভি তে আন্দোলনের সমালোচনা করেন । কারণ যে কাদের সিদ্দিকী দিগন্ত টি ভি তে গামছা গলায় জ্ঞান গর্ভ বক্তৃতা দেয়, আমার দেশ এ আর্টিকেল লিখে সে ভাল করেই জানে এ অবস্থায় শাহবাগে যাবার তার কোন নৈতিক অধিকার নেই এবং সেখানে যাবার তার পরিণাম ।
শাহবাগ আন্দোলনের পক্ষে যে হাত না উঠায় সেই রাজাকার । আমি এটাই বর্তমানে রাজাকার চিনবার শ্রেষ্ঠ কৌশল মনে করি ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫