শিরোনাম দেখেই ভ্রু কুঁচকে গেছে!! আমাকে ভাদা মনে হচ্ছে, কমেন্টে গালি দেবার পূর্বে পুরো লেখাটা পড়ে, আপনার যা বলতে ইচ্ছে করে বলুন,কোন আপত্তি করবো না।
কুয়েটে শান্তিকামী, মেধাবী ও জাতির ভবিষ্যৎ প্রকৌশলী সাধারন ছাত্রদের উপর যে শুয়োরবৎসগুলো অস্ত্র হাতে চড়াও হয়েছে, যারা রক্তাক্ত করেছে আমার ভাইদের তাদের অবশ্যই বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া ফরয।যেহেতু এখনও পর্যন্ত কোন শাস্তি হয় নি তাহলে এর জন্য দায়ী কারা??ছাত্রলীগ? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন??স্হানীয় প্রশাসন???
সকলের অবগতির জন্য বলছি, ১৯৯২ সালের পর তৎকালীন খুলনা বি. আই. টি তে ছাত্রদল/ছাত্রলীগের কোন কমিটি দেয়া হয় নি।আর বর্তমান কুয়েটে তো প্রশ্নই আসে না।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ পর্যন্ত নেই।ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি-সাধারন সম্পাদক প্রেস-ব্রিফিং করে একথা বলেছে কিন্তু পত্রিকাগুলো তা ছাপে নি।সাধারন সম্পাদক আরও বলেন "যদি অপরাধীরা ছাত্রলীগের নেতা বা কর্মী হত তাহলে এই মুহুর্তে তাদেরকে ছাত্রলীগ হতে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করতাম যেমনটি করেছি বুয়েটের অপরাধীদের ক্ষেত্রে"।ছাত্রলীগের সভাপতি চ্যালেন্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন "যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে অপরাধীরা ছাত্রলীগের কোন নেতা বা কর্মী তাহলে এই মুহুর্তে আমি পদত্যাগ করব।" কিন্তু পত্রিকাগুলো একথাগুলো ছাপল না।এখন বলুন কিভাবে তারা ছাত্রলীগের হয়??ছাত্রলীগের যেখানে কোন ইউনিটই নেই সেখানে ছাত্রলীগ থাকে কি করে??? ছাত্রলীগের অনেক কুকর্মের কথা আমরা জানি কিন্তু এ ঘটনায় কোনভাবেই ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
এখন প্রশ্ন হতে পারে গুলজার, ফয়সাল, তপু, ইত্যাদি কুকুরবৎসগুলো কারা??তারা অবশ্যই ছাত্রলীগ নয়, এই শুয়োরগুলো ছাত্রলীগ নামধারী।এখন আমি যদি আপনার পদবী ভাঙ্গিয়ে আপনার অজান্তে কুকর্ম করে বেড়াই তার দায়ভার কি আপনার???
তাহলে তারা নামের সাথে পদবী উল্লেখ করে কিভাবে??
স্হানীয় নেতাদের চামচামির মাধ্যমে মৌখিক স্বীকৃতি পেয়েই ওরা ওই পদগুলো ব্যবহার করে আর ওই জ্ঞানপাপী শুয়োর আলমগীর, শুয়োর শিবেনদের প্রশ্রয়েই আকাম-কুকাম কেরে।
এরপরও যদি বিশ্বাস না হয় আপনি কুয়েটের যে কোন নির্দলীয় শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন তারাও বলবেন ১৯৯২ সালের পর কুয়েটে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কর্তৃক কোন কমিটি দেয়া হয় নি। উপরন্তু কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলকে কমিটি দিতে হলে তা উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট মিটিং এ ভোটের মাধ্যমে পাশ হতে হবে।আমি এ কথাগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সাথে কথা বলেই জেনেছি যিনি নিজেও সাধারন ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছেন এবং তিনি নিজে শিক্ষক সমিতির সভায় একথাগুলো বলেছেন।কুয়েটের ছাত্ররা হয়ত আচঁ করতে পারচেন কোন শিক্ষকের কথা বলছি।
কিন্তু পত্রিকাগুলো ফলাও করে ছেপে যাচ্ছে অপরাধীরা ছাত্রলীগ,দায়টা চাপাচ্ছে ছাত্রলীগের ঘাড়ে শুধুমাত্র তাদের কাটতি বাড়ানোর জন্য।আমার ক্ষোভ এই হলুদ সাংবাদিকতার উপর।সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা সাংবাদিকদের পবিত্র দ্বায়িত্ব ।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে প্রশাসন কার গুপ্তাঙ্গের চুল ছিড়ে?? আর পুলিশই বা কি করে?? ভিসি আলমগীর আর শিবেন বেজন্মারা কি করে ওই হায়েনাগুলোকে প্রশ্রয় দেয়???এরা মানব সন্তান বলে আমি বিশ্বাস করি না।
"অপরাধ যারাই করুক না কেন এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই,
হলুদ সাংবাদিকতা নয়, সত্য ও নির্ভীক সাংবাদিকতা চাই,
সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রন নয়, নিখাঁদ সত্য জানতে ও বলতে চাই"
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:৪৩