নিকশকালো আধার রাত উঠেনি আকাশে কোন তারা আজ
বসে আছি উঠানে মাথার পর ঝুলছে সাজনার চিকন শাখ
দখিনের মৃদু মন্দ ঝির ঝির হাওয়ায় শান শান শব্দ অনুগত,
দিগন্ত জোরা নিকশ রাতে ডুবে গেছে কাল কেশবতী কন্যা
যেন আকাশে আমার চোখের পরে লম্বা চুল তার ভাসে ।
কতদিন গেল কত যুগ গেল দেখিনি তাকে বসেনি এমন আধারে
পৃথিবীর কোন পথে নরম ঘাসের গালিচা পেরিয়ে উঠে গেল আকাশে,
অন্ধকারে মিশে যাওয়ার আগে বাড়াল না কেন সরু দুখান হাত
রেখে গেল কিশোরী পায়ে দলা ঘাস, ওরনাখানি সজনের ডালে।
বুঝিনি কখনো এই তারাহীন রাতের আগে রূপসীর কালো কেশ হতে
অন্ধকারে স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে, নিয়ুত চুলের চুমা আছরে পরে সাজনা তলে,
পাগল করা পরশ শর পুকুরের জলের মত মৃদু তালে হাসের পালকসম
ক্লান্তির নিরবতা ভাংগে , ধানের গন্ধ কলমীর ঘ্রাণ যেন বাংলার প্রাণ
ভুলে যাই আকাশে আজ তারা উঠে নাই আড়াল পরেছে কেশবতীর চুলে।