অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সবাইকে। । সাম হয়্যার ইন ব্লগে লিখতে শুরু করেছি মাত্র কয়েকদিন হল। এর মাঝেই চমৎকার সব অভিজ্ঞতা হলো। এবং হচ্ছে। বেশীর ভাগই মধুর অভিজ্ঞতা।অম্ল তেমন কিছু নয়। সর্বশেষ আমার ব্লগ বন্ধ করে দিতে জনৈক ব্লগারের কর্তৃপক্ষীয় হুমকি এবং......... শিরোনামের লেখাটা লিখে ব্যাপক সাড়া পেলাম। ভাবিই নি--এমন হতে পারে। আরও অবাক হলাম এই লেখার মাধ্যমে সাম হয়্যার ইন ব্লগের অথরিটির লোকজন--জনাবা জানা, অন্যমনস্ক শরৎসহ না পারভিন--অনেক গন্যমান্য ব্লগারের সঙ্গে রাতারাতি পরিচয় হয়ে গেল। বিস্ময়কর ব্যাপার। তারা অভুতপূর্ব সব প্রতিক্রিয়া ও কমেন্টের মাধ্যমে আপন করে নিয়েছেনআমাকে। চমৎকার সব বক্তব্য রেখেছেন আমার লেখার নিচে। ধন্যবাদ সবাইকে। তাদের বক্তব্যে নানারকম মাত্রা। যারা প্রশংসা করেছেন--তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। যারা হয়ত প্রশংসা করেন নি-- টক ঝাল মন্তব্য করেছেন তাদের আরও বেশী ধন্যবাদ জানাই। কেননা তাদের কাছে থেকে জানতে পেরেছি অনেক। একটা মন্তব্য প্রতিবেদন পড়ে পাঠ প্রতিক্রিয়া কেমন হয়-- ডাক্তারদের সাধারনত তা জানার সুযোগ হয়না। এবার হয়েছে। সাধারন মানুষ ব্লগারসহ ডাক্তারদের কোন চোখে দেখেন তা জানারও সৌভাগ্য হল।
[sb]আমাকে পাগল/ মানসিক রোগী বলেছেন অনেকে---
কয়েকজন দেখা গেল আমাকে মানসিক রোগী /পাগল ইত্যবিধ বলে বিমলানন্দ ভোগ করেছেন। আমি এই অভিধাকে সহজভাবেই নিয়েছি। মোটেই তিক্ত মন্তব্য মনে হয় নি। কেননা ডাক্তার বা মনের ডাক্তার হয়েছি বলে আমার বা আমাদের রোগব্যাধি হতে পারবেননা তা তো নয়।অন্যদশটা মানুষের মত আমাদেরও মানসিক রোগ হতে পারে। তার চিকিৎসাও আছে। আমাদের মধ্যে যখন কেউ কেউ এই রোগে ভুগি তখন চিকিৎসাও করাই। ডাক্তার বলে একটু সুবিধাও পাই বটে।
তবে আমার খারাপ লাগে সমাজে হাজার হাজার লাখো মানুষ মানসিক রোগে ভুগেও সুচিতিসা পাচ্ছে না। ঘরে মানসিক রোগী থাকলেও আমরা তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করি না। বরং নানাভাবে তাকে ত্যাক্ত করে টিটকিরি দিয়ে সমাজে সংসারে হেনস্থা করি। বলি পাগল। ওর বংশ পাগল। যেমনটা আমাকে মানসিক রোগী বলে বিমলানন্দ পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরকম সত্যি সত্যি লাখো মানসিক রোগী চিকিৎসা পাচ্চেই না --শিকার হচ্ছে আত্মীয়স্বজনের অবহেলার। অথচ এই ব্লগ পরিবারেও আমি কত দিকনির্দেশনা পাচ্ছি। তারা তাও পাচ্ছেন না। কষ্ট সেখানে। ওই যে তারা চিকিৎসা না পেয়ে অবহেলায় পাগল বলে অবহেলিত হচ্ছেন , তার জন্য কেবল ডাক্তারই কি দায়ী। বুকে হাত দিয়ে বলুন ভাই। আমি এই বিষয়ে প্রচারনা চালাচ্ছি -- বলছি এদের চিকিৎসা করাতে হবে। দেশে এখন আমি একাই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ নই। অনেক আছেন। হাসপাতাল অনেক। ঢাকাতেই বিএসএম এম ইউ সহ মানসিক রোগ ইন্সটিউট, ঢাকা মেডিকেল সব জায়গায় সুব্যাবস্থা আছে। এই রোগী চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। এই বিষয়ে আমি জোর দেই। এটা অপরাধ হলে সবিনয়ে ক্ষমা চাই।
চটকদার হেডিং প্রসঙ্গে
অনেকে চটকদার হেডিংএর অভিযোগ এনেছেন। কথা ঠিক। বেশ কিছুদিন ধরে ব্লগ পড়ছিলাম। দেখলাম। শিরোনামে একটু অন্যরকম মাত্রা আনলে তা বেশ আলোচিত হয়। এটা ব্লগ থেকেই শেখা বলা যায়। তবে দায় দায়িত্ব অবশ্যই আমার। আমি দায় এড়াতে চাই না।
জানা এবং অন্যমনস্ক শরতকে অনেক ধন্যবাদ। তারা গুনী মডারেটর-। সুন্দরভাবে ব্যাবস্থাপনা চালাচ্ছেন। সব মতকেই মানছেন। মত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছেন। অতি প্রশংসাযোগ্য চমৎকার ব্যাপার। এটা তারা চালিয়ে যান। ভালই লাগল-- তারা নিজেরাও ব্লগার হিসেবে এখানে আছেন। তারা চাইলে আমার লেখা বাধা দিতে পারতেন। ব্লকড করতে পারতেন। কিন্তু তারা তা করেন নি। এজন্য অবশ্যই তাদের প্রজ্ঞা প্রশংসার দাবিদার। সবার মতই আসা উচিত। কেউ অঅমাকে কটু কথা বলল, অমনি তার বিরুদ্ধে নামতে হবে--না না , তা ঠিক নয়। আমি তো তাদের কাছে বেশী কৃতজ্ঞ--যারা মন্দ প্রতিক্রিয়া করেছেন। এটা সমাজে মুখোমুখি সবাই করেন না। পেছনে করেন। সামনে প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন। এখানে বিপরীত দেখে ভাল লাগল। বুঝলাম নামপরিচয় গোপন করলে কাজটা সহজে করা যায়। কিন্তু অঅমি লিখছি সবার সাথে মিথষ্ক্রিয়ার জন্য। কারও ব্যপারে আমার অভিযোগ নেই। অন্যের কথাআমি শুনতে চাই। নিজেরটাও বলতে চাই। এই সুযোগটা চাই আরকি। বেশী কিছু নয়।
অনেকের মন্তব্যে র মাধ্যমে এই ব্লগ পরিবারের অনেকের পরিচয় জানলাম। ভাল লাগল। আর সবচেয়ে উপভোগ্য লাগল-- এধরনের গুরুত্বহীন লেখা-- আমার লেখার কথা বলছি--তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড়। এর আগে জনগুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে লিখে এমন ঝড় দেখিনি। হতে পারে আমার লেখা মন্দ--নজর কাড়েনি তেমন কারও। এটা মেনে নিচ্ছি সবিনয়ে।
তবে এই ধারনাও পেলাম ব্লগে কি ধরনের লেখা লিখলে তা পাঠ প্রিয় হয়--মন্তব্যের ঝড় ওঠে। বিস্ময়কর লাগছে না মোটে। এও যে পাঠকের মন।
গ্রামে যেতে বলেছেন অনেকে
অনেকে আমাকে[[সম্ভবত প্লুরাল অর্থে]] গ্রামে গ্রামে যেতে বলেছেন।
তাদের মনোকামনা পূর্ন হোক। তবে সবার পক্ষে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। নানা কারনে। কারও হয়ত স্থায়ী চাকরি ঢাকাতে। তিনি কেমন করে যাবেন। তারপরও জনপ্রত্যাশা হল সবাই গ্রামে যাক। তবে সরকার যেটা বলছে অন্তত ২/৩ বছর গ্রামে থাকতেই হবে এটা বাস্তবায়ন হলেই তাদের মনোকামনা পূর্ন হবে। কাজটা হবেই। কিছু করার নেই। ডাক্তারদের যেতেই হবে। সরকার তার ইতিবাচক শক্তি প্রয়োগ করলেই অবশ্যই যেতে হবে। আমি অতি নগন্য ডাক্তার। তারপরও বছরে কয়েকবার গ্রামে যাই। তখন রোগী দেখি। না দেখেও উপায় থাকে না। তারা আসেন আমার কাছে। কেউ ডাব নারকেল নিয়ে আসেন। কেউ নানারকম পিঠে। ভাইরে---লিখতে বসলে ডাক্তার রোগী সম্পর্ক যেমন মনে আসে-- আসলে তেমন দা কুড়াল সম্পর্ক নয়। মধুর অভিজ্ঞতাও কম নয়। ডাক্তারদের যেমন। তেমনি রোগীদেরও। রোগী ভাল হয়ে গেলে কেউ কেউ মুরগি/ খাসি নিয়ে আসেন। না, ভাই, পীর দের মত সেসব খাসি রাখি না। ফেরত দেই। পিঠা খাই। ডাব-কুল-কলা-ফলফলাদি খাই সবাইকে নিয়ে। মধুর সেই সম্পর্ক।