সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে অপসারণকৃত মূর্তি নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে। ব্লগেও বোধহয় বেশ কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে।
গ্রিক দেবীর এই মূর্তি অপসারণে রাতভর নাকি আন্দোলন হয়েছে। ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছে। মূর্তি অপসারণ নাকি দেশের প্রগতি ও সংস্কৃতি বিরোধী। এটা নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঘাত করে।
কথা হলো গ্রিক দেবী কবে বাংলাদেশের সংস্কৃতি হলো? গ্রিক দেবীর মূর্তি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো? মুত্রমনা এবং প্রগতিশীলরা (আসলে কচুশীল) বলছে দেশ নাকি এগুনোর পরিবর্তে পিছিয়ে যাচ্ছে। একটা মূর্তি অপসারণে দেশ পিছিয়ে যায়?
আরে বদমাইশের দল, দেশটায় ৯০ শতাংশের বেশি মুসলিম বাস করে। তাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সামনে কেন, কি উদ্দেশ্যে মূর্তি স্থাপন করা হবে? আর মূর্তি অপসারণ করার পর তোদের আন্দোলনে নামার দরকার কি? তোরা মুষ্টিমেয় কয়েকজন মূর্তিপূজক যদি মূর্তি অপসারণে আন্দোলন করতে পারিস তো দেশের ১২ কোটি মুসলিম কেন মূর্তি অপসারণ করার আন্দোলন করবে না?
এরা নিজেদের মুত্রমনা, প্রগতিশীল ঘণ্টাশীল কচুশীল অনেক কিছু দাবি করে। কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে আঘাত দিতে একটুও কুণ্ঠাবোধ করে না। তাদের স্বার্থে সামান্য আঘাত লাগলেই মুরগির মত কুক্কুরুক্কু শুরু করে দেয়।
সরকার উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাকে ধন্যবাদ জানাই।
কিছু কিছু পাগল ছাগল বলছে এখন মূর্তি সরানোয় হেফাজত (বা যেই হোক) নাকি স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার সরানোর আন্দোলন করবে (বা দাবী জানাবে)।
স্মৃতিসৌধ আর শহীদ মিনার কি মূর্তি? এগুলো সরানোর আন্দোলন কেন হবে?
আমি হেফাজত বা অন্যান্য কোনো দলের পক্ষেই নই। আমি রাজনীতি মুক্ত। কিন্তু মূর্তি বিষয়ক মূত্রমনাদের হইচই দেখে চুপ থাকতে পারলাম না। একজন মুসলিম হিসেবে কথাগুলো বললাম।
নিজেদের যারা মুক্তমনা বা প্রগতিশীল দাবি করে তারা সবাই, তারা সবাই এক একটা শয়তানের খাম্বা। এরা মুক্তমনার ঘণ্টাও জানে না। আল্লাহর বিরোধীতা করলেই কেউ মুক্তমনা হয়ে যায় না। যে মুক্তমনা সে সবাইকে সম্মান করবে। কিন্তু আজকের মূত্রমনারা জানে শুধু ইসলামকে আক্রমন করতে। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখে। তাদের স্বার্থের বিরোধী কিছু হতে দিতে চায় না। তাদের মধ্যে ছিটেফোঁটা সহনশীলতা নেই। তারা চায় দেশ তাদের মত চলুক। কিন্তু না, দেশ তাদের মত চলবে না। দেশ দেশের মত চলবে।
আর কি বলবো, আজাইরা প্যাঁচাল আর না। তবে শুধু একটা কথাই বলবো, এসব তথাকথিত মূত্রমনা আর প্রগতিশীলদের পঁচা ডোবায় চুবিয়ে মারা উচিত। এরা উল্টাপাল্টা কথা বলে আগুন উস্কে দিয়ে পরে বলে দেখো তারা কত বড় আগুন জ্বালিয়েছে। অথচ আগুনের জ্বালানি তাদেরই সরবরাহ করা।