আমেরিকায় যত জাতির মানুষ আছে, তাদের মধ্যে ইন্ডিয়ানদের রেপুটেশন সবচেয়ে খারাপ। যেটা আমি আগে কল্পনাও করি নাই। বলিউড মুভি, ইন্ডিয়ান বিনোদন মিডিয়া আর ২০০০ দশকের প্রথম আলো পড়ে আমার ধারণা হইছিল আমেরিকানরা ইন্ডিয়ানদের আর চাইনিজদের খুব সন্মানের চোখে দেখে। কিন্তু বাস্তবতা পুরাই বিপরীত।
আমেরিকায় "ইন্ডিয়ান" শব্দটার সাথে "মল" বা "গু" বা "হাগা" ওতঃপ্রোত ভাবে জড়িত। এর মেইন কারণ ওদের রাস্তায় হাগার অভ্যাসের ব্যাপারটা। এই রাস্তায় হাগা নিয়ে আমেরিকান এবং বৈশ্বিক মিডিয়ায় এত প্রচার-প্রচালনা হয়েছে যে এখন আমেরিকানরা ইন্ডিয়ান দেখেলেই ভাবে, "হালা রাস্তায় হাগে কিনা?"। ক্লাসে একজন একবার একই রকম একটা প্রশ্ন করেছিল আমাকে, আমি হাসব না কাঁদব বুঝছিনা, কি উত্তর দেব সেটাও বুঝছিনা, সে তখন আবার জিজ্ঞেস করলো আমি ইন্ডিয়ান কিনা, আমি বললাম "না", তারপর সে সরি টরি বলে বললো "এমনি ইয়ার্কি করছিলাম"।
আমেরিকানরা প্রত্যেক জাতিসত্বার মানুষদের জন্য বিভিন্ন বর্ণবাদমূলক গালি ব্যবহার করে, যেমন কৃষ্ণাঙ্গদের বলে "নিগ*র", শেতাঙ্গদের "ক্র্যাকার", মেস্কিকান/ল্যাটিন আমেরিকানদের বলে "বিনার" (সীমখেকো), চাইনিজ/জাপানি/কোরীয়দের বলে "চিং-চং" এবং "গুক", মধ্য-প্রাচ্যের মানুষদের বা আরবীয়দের বলে "স্যান্ড নিগ*র" (বালিনিগ*র) এবং "গোট ফাকার" (বোকরিচুদা) ইত্যাদি। হ্যাঁ, খুবই জঘন্য একটা ব্যপার। ওরা ইন্ডিয়ানদের কি বলে জানেন? "স্ট্রিট-শিটার", মানে "রাস্তাহাগানী"। চিন্তা করেন কি অবস্থা। পরিস্থিতি এমনই যে "ইন্ডিয়া" এবং "মল" এই দুই শব্দকে সমার্থক হিসেবে দেখা হয়।
ওদের এখানে আরেকটা নাম আছে "পাজীৎ" এটা কিভাবে এসেছে জানিনা। এই রাস্তাহাগানীর ব্যাপারটা ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে তাদের খারাপ চোখে দেখা হয়, যেমন তাদের আচার-ব্যবহার, বিভিন্ন রকম দূর্নীতি, ঠকবাজী ব্যবসা (স্ক্যামিং)। তার পর আছে অতি মাত্রায় নাক গলানোর স্বভাব, অপরিচিত মানুষ দেখলেই উল্টা-পাল্টা এবং উদ্ভট প্রশ্ন করা, যেখানে সেখানে বিভিন্ন রকম কমেন্ট করা, ইত্যাদি অদ্ভুত আচার-আচরণ। আর নারীদের নিয়ে একটা ব্যপারতো আছেই, মহিলা, বিশেষ করে স্বেতাঙ্গিনী, দেখলে "হা" করে তাকিয়ে থাকা, ছোঁক ছোঁক শুরু করা, রাস্তা ঘাটে স্বেতাঙ্গিনীদের প্রপোজ করা, গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করা, ইত্যাদি যত্তসব অশ্লীল কাজ-কারবার। তার উপর কিছু দিন পরপরই ইন্ডিয়া থেকে ধর্ষণ এবং গণধর্ষণ নিয়ে খবরগুলো হেডলাইন হয়, সেটাও একটা কারণ হতে পারে।
তারপর আছে ইন্ডিয়ানদের নাম। এটা নিয়ে সবাই সারাক্ষণ হাসাহাসি করে, বলে উদ্ভট, অদ্ভুত নাম এদের। যেমন "দিক্ষীত্, যা ইংরাজীতে লেখলে হয় "Dickshit", "Dick" মানে পুরুষাঙ্গ আর "shit" মানে মল। তারপর হৃদিক বা হার্দিক, যা ইংরাজীতে লেখলে হয় "Harddick", "Hard" মানে শক্ত "dick" মানে পুরুষাঙ্গ, তারপর ধরেন সুখদ্বীপ, যা ইংরাজীতে লেখলে হয় "Sukhdeep", "Sukh" এর উচ্চারণ "suck" এর মত, এর মানে হলো চোষা, আর "deep" মানে গভীর, ইত্যাদি। এসব নাম নিয়ে তাদের কেউ কেউ এমনই বিপদে পড়ে যে বাপের দেওয়া নামও চেঞ্জ করে ফেলে, যেমন সিদ্ধার্থ (Siddarth) থেকে "সিড" (Sid)। খুবই খারাপ পরিস্থিতি।
অনেকে ইন্ডিয়ান খাবার বেশ পছন্দ করলেও তাদের সংখ্যা খুব একটা বেশী নয়, বেশীরভাগ আমেরিকান ইন্ডিয়ান খাবার কে "দুর্গন্ধময়" এবং "অতিরিক্ত মশলাদার" বলে মনে করে। আমি ব্যপারটা ঠিক প্রথমে বুঝি নাই। কিন্তু ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে গিয়ে ওদের খাবার খাওয়ার পর ব্যপারটা বুঝেতে পারলাম। পশ্চীমে ভারতীয় রেস্টুরেন্টগুলোতে সাধারণত উত্তর-পশ্চীম ভারতের খাবার রান্না করা হয় এবং সেগুলো আমাদের বাঙ্গালী রান্নার সাথে খুব একটা মিল নাই। তারা প্রচুর মশলা এবং ঝাল ব্যবহার করে, সব ভুনা টাইপের খাবার, মানে শাক রান্না করলেও ওরা তাতে একগাদা মাংসের মশলা দেয়। এত মশলা এবং ঝাল আমরা বাংলাদেশীরা খাই না। আপনি যদি তাদের খাবার খান এবং আপনার কড়া ঝাল-মশলা খাওয়ার অভ্যাস না থাকে, তাহলে ওদের খাবার আপনার পেটে সহ্য নাও হতে পারে। আর যেহেতু এখানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ থেকে মানুষ এসে অভিবাসী হয়, সে কারণে মোটামোটি পৃথিবীর সব দেশেরই খাবারের রেস্টুরেন্ট আছে। যে ইন্ডিয়ান খাবার পছন্দ করে সে দেখা যাচ্ছে মেক্সিকান বা থাই খাবারও পছন্দ করে, কারণ এখানে সবারই সব ধরণের খাবার আস্বাদনের সুযোগ আছে, যা আমাদের দেশে তেমন নাই। সুতরাং পশ্চীমাদেশে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট নিয়ে আমরা যত আলোচনা শুনি, সেটা আসলে তেমন কিছুই নয়।
আর আরেকটা ব্যপার হলো ইন্ডিয়ানদের গায়ের প্রচন্ড দুর্গন্ধ, এবং এটা নিয়ে সাধারণ জনগণের ভিতরে অতিমাত্রায় বিরক্তি। এই ব্যপারে আমি আগে কিছুই জানতাম না। এর কারণ সম্ভবত তাদের প্রতিদিন ঐ অতিরিক্ত ঝাল-মশলা খাওয়ার কারণে, কিংবা অন্য কারণেও হতে পারে, যেমন তাদের মশলায় ক্যামিকেল। কারণ একবার একনাগাড়ে কয়েকদিন পরপর ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়েছিলাম, তারপর আমার গা থেকে কিরকম এক অদ্ভুত গন্ধ বের হতে শুরু করে। তাদের কারো কারো গায়ে এমনই দুর্গন্ধ যে যদি একসাথে ৩ জনের বেশী ইন্ডিয়ান কোন বাসে বা ট্রেনের বগিতে উঠে, পুরা বাস বা বগি দুর্গন্ধ দিয়ে ভরে যায়। আর মশলার গন্ধ যখন ফ্রেশ থাকে তখন বেশ ভালই লাগে কিন্তু ২-৩ ঘন্টা পর সেটা প্রচন্ড দুর্গন্ধে পরিণত হয়, বাসি গুয়ের মত গন্ধ বের হয়। আর এটা নিয়ে পৃথিবীর সব দেশের মানুষরা সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রাইভেট কনভার্সেশনে কিরকম আলোচনা সমালোচনা করে তার ১০০ ভাগের ১ ভাগও আপনি দেখে থাকেন, তাহলে আপনি লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাবেন। ব্যপার হলো এরকম দুর্গন্ধ কিন্তু আমাদের বাংলাদেশীদের গায়েও আছে, আমরা এই গন্ধে অভ্যস্ত বলে বু্ঝতে পারি না। তারপর আছে ঘাম, আমরা গ্রীষ্মপ্রধান দেশের মানুষ হয়ার কারণে অন্যান্যদের তুওলনায় ঘামি বেশী, সেই ঘাম, মশলার দুর্গন্ধ আর গায়ের দুর্গন্ধ মিলে যে "বাশনা" তৈরি হয় তা আর বলার মত না।
তারপর আছে ইন্ডিয়ানদের শারিরীক সক্ষমতা এবং খেলাধুলার বিষয়টা। আপনি যদি একটু লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান এসব উপমহাদেশের দেশের মানুষ আসলে কোন খেলাই তেমন একটা পারে না। না পারে দৌড়াতে, না পারে সাঁতার কাটতে, না পারে ওয়েট-লিফটিং, ম্যারাথন, শটপুট, বর্শানিক্ষেপ, ফুটবল, রাগবি, ট্রায়াথলন, কুস্তি, কাবাডি, যে খেলাই বলেন না কেন, কিছুই পারে না। পারেনা মানে পারেই না, জিরো, নাডা। অলিম্পিকে কোনই অবদান নেই, নেই অন্যান্য কোন ওয়ার্ল্ডকাপেও। খালি আছে এক ক্রিকেট, আর সেই ক্রিকেট হাতে গুনে মনে হয় ১৪ টা দেশও খেলে না। তার মধ্যে ৫ টা দেশই উপমহাদেশের। বাকি দেশে ক্রিকেট একটা 'দ্বিতীয় শ্রেণী"র খেলা হিসেবে দেখা হয়, আর বাদবাকি পৃথিবী জানেইনা ক্রিকেট কি। যেমন জিম্বাবুয়ে এমন একটা দেশ যেখানে বলতে গেলে কেউই ক্রিকেট খেলে না, তাদের জাতীয় দল কোন প্রকার সরকারী সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াই বিশ্বকাপে খেলতে যায়। আর আমরা এর পিছে কোটি কোটি টাকা ঢেলেও কিছু করতে পারিনা। এজন্য দেখবেন ইন্ডিয়ানরা (এবং পাকিস্তানীরা) এই ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রচুর উৎসাহী, খালি সারাক্ষণ ক্রিকেট ক্রিকেট করে লাফায় (দুঃখজনক ভাবে আমরাও তাই)। হয়তো আমাদের এখন চিন্তা করার সময় এসেছে "ক্রিকেট" আদৌ একটা "স্পোর্টস" কিনা?
প্রথম প্রথম এখানে এসে কেউ কোন দেশ থেকে এসেছি জিজ্ঞেস করলে বাংলাদেশ বলার পর অনেকে চিনতো না, তখন বলতাম ইন্ডিয়ার প্রতিবেশী দেশ, শুনে তাদের চোখে-মুখে কেমন একটা এক্সপ্রেশন দিত, উত্তর শোনার পর কেউ কেউ এভয়েড করতো। প্রথমে আমি বুঝতাম না কেন। ইন্ডিয়ানদের নিয়ে এসব জানার পর আমি এখন বলি "মায়ানমারের পাশের দেশ"। অনেকে আবার মায়ানমার কোথায় সেটাও চেনে না, তখন বলতে হয়, থাইল্যান্ড আর চীনের কাছের দেশ। পোড়া কপাল।
আর আরেকটা ব্যপার, আপনি যদি বাংলাদেশী হোন, ভুলেও পাব্লিক প্লেসে কোন ইন্ডিয়ানের সাথে হিন্দি বলবেন না। আমি দেখেছি অনেক বোকাচোদা বাংলাদেশী আগ বাড়িয়ে ইন্ডিয়ান দেখলেই ভাঙ্গা-ভাঙ্গা হিন্দি বলার চেষ্টা করেন (বা পাকিস্তানী দেখলে উর্দু), যেটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক। অবশ্যই একাধিক ভাষা জানা একটা খুবই ভালো ব্যপার, আপনি হিন্দি বা উর্দুতে ভাল হতেই পারেন, কিন্তু ইন্ডিয়াতেতো আরো ২০টা ভাষা আছেরে ভাই, আর আপনাকে কে বললো যে সবাই সেখানে হিন্দিতে কথা বলে? যেমন দক্ষিণ ভারতের লোকজন হিন্দিতে কথা বলে না, এমনকি পারলেও বলে না, তারা অমাতৃভাষীদের সাথে ইংরাজীতে কথা বলে। ঠিক কি কারণ আমার জানা নেই। কেউ জানলে কমেন্টে জানিয়েন। আর দুনিয়াতে তো হাজারটা ভাষা আছে ভাই, খালি হিন্দি আর উর্দু কেন?
অনেক বাংলাদেশী আবার ইন্ডিয়ান এবং পাকিস্তানীদের সাথে মেলা মেশার চেষ্টা করেন। মেলামেশার ব্যপারে আমার এমনিতেই কোন আপত্তি নেই, অবশ্যই মিশবেন, সবার সাথেই মিশবেন। কিন্তু সমস্যা হলো ওদের সাথে যেহেতু আমাদের চেহারা সুরতের অনেক মিল আছে, আর আপনাকে যদি অন্যরা তাদের গ্রুপের ভিতর দেখে তখন সবাই ভাববে আপনিও একজন ইন্ডিয়ান (বা পাকিস্তানী) এবং আপনাকে নিয়ে একই রকম চিন্তা ভাবনা করবে, যেটা আমাদের জন্য খুব বেশী সুবিধাজনক নয়, বিশেষ করে প্রবাসী হিসেবে। আমাদের নিজস্ব একটা পরিচয়ের দরকার আছে। সে জন্য এখন অন্য দেশের কেউ যদি আমাকে ইন্ডিয়ান ভেবে কিছু জিজ্ঞেস করে, তখন আমি সাথে সাথে বলে দেই "আমি ইন্ডিয়ান না, আমি ইন্ডিয়া সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা", মানে নিজেকে কমপ্লিটলি ইন্ডিয়ান আর পাকিস্তানীদের থেকে ডিসএসোসিয়েট করে ফেলি। কি আর বলবো ভাই, এই আমাদের কপাল। আর আপনি যদি ভেবে থাকেন পাকিস্তনীদের ব্যপারে হয়তো এরকম কোন প্রেজুডিস নেই, তাহলে আপনি ভুল করবেন। তাদের অবস্থা ঐ একই রকমই। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে তাদের রেপুটেশন ইন্ডিয়ানদের থেকেও খারাপ। কারণ পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষ পাকিস্তান আর ইন্ডিয়ানদের মধ্যে কোন তফাত করতে পারে না। কারণ তারা দেখতে একই রকম, একই ভাষায় কথা বলে, একই রকম খাবার খায় ইত্যাদি, খালি ধর্মটা ভিন্ন এই যা। আর পাকিস্তানীরা সম্ভবত রাস্তায় হাগে না, বা হাগলেও কম হাগে।
এসব দেখার পর আপনার মাথায় এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, আমরা বাংলাদেশীরা কেন এইসব জানিনা? তার কারণ আছে, আমরা ক্ষুদ্র দেশ হিসেবে ইন্ডিয়ার এক ধরনের "বলয়ে" বসবাস করি। আমাদের মিডিয়া, খবরের কাগজ, বিনোদন, সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট সার্চ এসব ইন্ডিয়ার ইন্টারনেট একটিভিটি দ্বারা অতিমাত্রায় প্রভাবিত। কোন ইন্ডিয়ান তাদের এইসব দুরবস্থার কথা কখনই শেয়ার করবে না, বা এই নিয়ে আলোচনা করবে না, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ইন্টারনেটে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার সব এলগোরিদম "লোকালাইজড" মানে "পরিসীমাকৃত"। মানে যেহেতু আপনি ইন্ডিয়ার প্রতিবেশী দেশ এবং ইন্ডিয়ার জনসংখ্যা অনেক বেশী এবং সে কারণে যেহেতু তাদের ইউজারের সংখ্যা বেশী, আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে ইন্ডিয়া থেকে কোন পোস্ট আসলে তারা যেসব বেশী দেখে বা আলোচনা করে শুধুমাত্র সেগুলাই আমাদের ফিডে আসবে। যেমন আমরা জানিনা জাপানে বা কোরিয়ায় মানুষরা এখন কি নিয়ে আলোচনা করছে, বা তুরস্কের মানুষরা কি নিয়ে নিজেদের ভিতর ইয়ার্কি করছে, রাশিয়ার লোকজন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গোপনে পুতিন কে নিয়ে কি ঠাট্টা তামাশা করছে কিনা বা ল্যাটিন আমেরিকার টিভিতে এখন কোন সিরিয়াল চলছে -- আমরা এসব কিছুই জানতে পারিনা। কিন্তু ইন্ডিয়ার অনেক দৈনন্দিন ট্রেন্ড, বিনোদন, ফ্যাশন, রাজনীতি এইসবের খবরাখবর পাই। আর যা পাই তা শুধুমাত্র ভালো জিনিষ, মানে তারা যেসব পছন্দ করে, খালি সেগুলোই পাই। এর একমাত্র সমাধান হলো এই ইন্ডিয়ান বুদবুদ থেকে বের হয়ে এসে বাকি দুনিয়ায় কি হচ্ছে না হচ্ছে তা নিয়ে একটু খোঁজ-খবর রাখা।
-- সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০৭