স্কুলে নকলের অভিযোগে অপমানের কারণে আত্মহত্যা করেছে অরিত্রী। যদিও নকলের বিষয়টি সন্দেহ ছিলো মাত্র, নকলের বিষয় প্রমাণিত হয়নি।
শিক্ষকদের কাজ শিক্ষার্থীদের ভুলগুলো শুধরে দেওয়া, সুন্দরের শিক্ষা দেওয়া। কিন্তু তা না করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীকে শাস্তি দিয়ে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। স্কুল কি জেলখানা? আর শিক্ষকেরা কি শৃঙ্খলা বাহিনী?
আমরা কি নিজেরা শিক্ষক দ্বারা প্রতিনিয়ত অপমানিত হচ্ছি না? নির্যাতিত হচ্ছি না? শিক্ষকদের কাছ থেকে আমরা তাহলে কিভাবে মানবিকতা বোধের শিক্ষা নেবো?
একজন শিক্ষার্থী ভুল করবে, শিক্ষকের সহযোগীতায় ভুল শুধরে নেবে এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। স্কুল কী ব্যবসাকেন্দ্র যে কেউ ভুল করলে তার সাথে আর ব্যবসা করবে না? নাকি নিজেদের চাকুরী টিকিয়ে রাখাটায় শিক্ষকদের একমাত্র মূলমন্ত্র।
মানবিকতার কথা ভেবে স্কুলে শারীরিক আঘাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদেরই যদি মানবিকতাবোধ না থাকে তবে আমরা তো ভালো ফল পাবো না। যে শিক্ষক মারমুখী সে তো মারবেই, হাতে না মারতে পারলে কথায় মারবে, কথায় মারতে না পারলে অন্য উপায় বের করবে।
আমরা কি এমন শিক্ষক কখনো চাই যারা প্রতিনিয়ত মানসিক অত্যাচার করবে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপমান বাবা-মায়ের সামনে অপমানিত হওয়া। একজন শিক্ষকের কাছে নিশ্চয় এধরনের নিম্ন মানসিকতার শাস্তি কাম্য নয়।
এধরনের ঘটনা আমরা আর দেখতে চাই না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক সকলের মনে। বাবা-মা, শিক্ষকসহ সমাজের প্রতিটি মানুষই মানবিক গুণাবলী সমৃদ্ধ হোক সেটাই আমাদের কাম্য।
(ব্লগের কয়েকটি লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই লেখাটি লিখলাম।)
© আলমগীর কাইজার
০৫.১২.২০১৮
ছবিঃ গুগল
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০