যদি আওয়ামী শক্তি বিজয়ী হতো, তবে বর্তমান ছাত্রদের কার্যকলাপকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়ে তাদের বিচার করা হতো। আর যেহেতু ছাত্ররাই বিজয়ী হয়েছে, সেহেতু তারা আওয়ামী শক্তিকে ফ্যাসিবাদী বলে আখ্যা দিচ্ছে এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করছে।
পৃথিবীতে বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল নিপীড়িত ও দুর্বল মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। তাহলে কেন আইনি ব্যবস্থা শক্তিশালীদের পক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে?
উপরের নীতিগুলোকে সত্য বলে মনে করার কোনো প্রয়োজন নেই!
কারণ আইনি ব্যবস্থা প্রবর্তনের ইতিহাস ঘাটতে গিয়ে প্রকৃতপক্ষে যা পেলাম তা হলো:
“প্রাচীনকালে বিচার ব্যবস্থা মূলত সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষের জন্যই চালু করা হয়েছিল। সেই সময়ে ক্ষমতাশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই সমাজের নিয়ম-কানুন স্থির করতেন এবং নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করতেন। সাধারণ জনগণ বা নিম্ন শ্রেণীর মানুষের অধিকার রক্ষা বা তাদের জন্য ন্যায়বিচারের সুযোগ খুবই সীমিত ছিল।”
সুতরাং, এখনও সমাজে যে আইনি ব্যবস্থা প্রচলিত আছে, তা কখনই সাধারণ বা নিপীড়িত মানুষের পক্ষে ছিল না, এখনও নেই এবং সম্ভবত ভবিষ্যতেও থাকবে না। আইনি শাসনের ধুয়ো তুলে আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয় সে বিভ্রান্ত কিভাবে অতিক্রম করবেন-
সে সিদ্ধান্ত আপনার হাতে এবং এ বিষয়ে করণীয় কী, সেটাও আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:০৯