বর্ষারা যখন রাজপথে রোদ্র মেঘে খেলা করে, তখন
সূর্যদের তিলোত্তমা বাড়ীগুলো অহংকারে মাথা উঁচিয়ে খিলখিলিয়ে হাসে।
সেই হাসির নিঃশব্দ চাবুক বর্ষাদের বেঁচে থাকার বিশ্বাসকে লুণ্ঠিত করে।
বর্ষারা যখন পুকুর ঘাটে গোসলে মত্ত, তখন
সুর্যদের তিলোত্তমা শাওয়ারের শব্দ ভেন্টিলেটারের আলো
বেয়ে ওদের সেই মত্ততাকে উন্মমত্ততার আবরণে আচ্ছাদিত করে।
বর্ষারা যখন দগ্ধ হয় তপ্ত দুপুরের নিরালম্ব অবস্থানে, তখন
সুর্যরা বিদগ্ধতার সুতোয় দু:শাসনের জাল বোনে, আর
বর্ষাদের ক্ষুদার পাখিরা নীড়ে ফেরা সুখ খুঁজে বেড়ায়।
সুর্যরা যখন অন্ত:জালে বার্তা অনুসন্ধানের ফ্যাশনে লিপ্ত
বর্ষারা তখন পিকেটিং-এর বার্তা হবার স্টাইলে ব্যাপ্ত, তখন
সুর্যদের ভয় পক্ষপাতের, বর্ষাদের ভয় পার্থিবতার।
সূর্যরা যখন ক্ষুদে বার্তার বর্ণ বাদের হিসাবে ব্যগ্র, তখন
বর্ষারা বর্ণবাদের নিঃসংজ্ঞতায় বেঁচে থাকার বিশ্বাস খোঁজে
সূর্যদের ভয় সংখ্যার হিসাবের, বর্ষাদের ভয় নিঃশ্বাসের।
সূর্যরা যখন প্রেয়সীর অন্তর্বাসের পারফিউমের ভাজে মুখ লুকায়, তখন
বর্ষারা মাটির পালঙ্কে অপ্রাপ্ত ভালবাসার সুখ লুকায়।
সূর্যদের ভয় দীর্ঘসূত্রীতার, বর্ষাদের ভয় সঙ্কোচের।
কবিতাটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।