হাঁটবে বলে, তোমরা কী দল বেঁধে
নেমেছো এই ক্ষয়িস্নু পৃথিবীর পথে;
অলিগলি ফেলে, শহর ছেড়ে, গ্রামন্ত
মেঠোপথে তোমরা অক্লান্ত এগিয়ে
যাচ্ছো; এ কোন ধ্বংসের সাথে
গেঁথেছো অবাধ চলাচল।স
সবিনয়ে মনে পড়ে তোমাকে;
তোমাদের ভিতর। যে গিরিদ্বার খুলে
সূর্যোদয়কে করেছো আমন্ত্রণ;
আমরাতো সেইসব আবর্তে করি
চাষাবাদ; তোমাদের উষ্ণতায়।
আলোপথে যে পতঙ্গ উড়ে উড়ে
ঢেকে দেয় অন্ধকার; তোমরা কী
সেইসব পথে জ্বালাবে ভোরের আলো;
পরানের গহীন শ্লথে ঝাঁকে ঝাঁকে
পাখিরা উড়ে যাবে বেদনা কুঁড়িয়ে।
আজ এই গুমট অন্ধকারে ভেসে ওঠে
তোমাদের নামধাম; কলমের কালির
ভিতর কী জীবন্ত রক্তস্রোতে এঁকেছো
আলিঙ্গন; আমাদের ঘেরটোপে।
কোথাও কী বেঁজে ওঠে মৃত্যুর উম্
ফর্সা নীলাকাশে ঢেকছে চাদর;
অবশ দুচোখে নেমেছে ঘুমদুপুর।
সমুদ্র আঁচড়ে ঢেউয়েরা বেঁধেছে ক্রন্দন;
তুমি ফিরে যাচ্ছো; অবাধ মৃত্যুশ্লথে।