একরাশ বিনম্র মেঘমালার ক্যানভাসে তোমাকে আঁকছে মন নরোম তুলি হাতে; অবিরত আনমনে। ছুঁয়ে ছুঁয়ে হারিয়ে ফেলা সাতরঙা মিশ্রণে। জলচিহ্নে যে পথ গিয়েছে মুছে তার কতিপয় দাগ মিশে বৃদ্ধবটের দোলে পুরাণ পবনে জড়ো করে কৈশোরিমন; মনে মনে বৈশাখি ঝড় ওঠে, ঈশান কালো মেঘে আজও কী বাদলের গান করে রাখাল বালক।
মেঠোপথের ধুঁলোয় হাওয়াই স্যান্ডেলের ধূসর রংধেনু এঁকে যে যুবকেরা গিয়েছে হেঁটে; দূর পুরানো বিদ্যাপীঠের মাঠে; তাদের মানবিক চোখে কতদূর ধরে রাখে স্মৃতি; আজও তার নিকাশ মেলেনি গণিতের পাতায়; কেবলই এক খুঁতখুঁতে পাখি আনমনে ডাকে। তার উড়াল ডানায় মহাশূন্যতার ডাক আসে ভেসে।
চড়ক গিয়েছে ডুবে, চৈত্রক্ষরা গলেছে জলে, বৈশাখও ফুরালো মাঠে; আবারও পথিকের আনাগনা বাড়ে। ফেরীপথে রেশমীচূড়ীরা গান বাঁধে মনে; কৃষাণীর লাজুক লাজে লাল শাড়ী নাচে; বৃষ্টির ফোটা ফোটা জলে কত কী মনে পড়ে এইসব দিনে।
একদা ঝড় এলে; আমবনে উদ্বাস্তু দুচোখে যে চোখ আড়ালে ছুঁয়ে গেছে; তার মোহনজ্বর আজও এই ছম্ছমে গায়ে কেমনি আড়মোড়া কাটে; সেইসব বেদনা রাতভর ঘুমঘোরে স্বপ্নসাঁতারে পাড়ি দেয় অজস্র রাত।