গন্তব্য
ফিরে যাওয়ার আগে গন্তব্য চাই নিশ্চিত
নতুবা ফেরার পথগুলো মুছে যাবে ভুলচিহ্নে
তামাটে রঙে ডুবে যাবে আশাবাদের জাহাজ;
নোঙর পাবে না খুঁজে। বুনোপাখি ভুলোপথে
রাত্রি করে যাপন। তারছেঁড়া বেহালায়
বাজে না সুরের মূর্ছনা। ক্লান্তিজমা শিশিরে
বুনে রাখি স্বপ্ন; আগামীর সুপ্রভাত।
চোখখুলে দেখে নিও সোনালী আকাশ;
নীলিমা চাঁদরে আবার গেয়ে ওঠুক
ডাক-নামতার হাঁক; প্রসন্নহাওয়ারা আনুক
প্রফুল্লপ্রহর। ফুলের ঢলে জেগে উঠুক
বিনম্রতা; সাদাবকের ধ্যাণে নিশ্চুপে
জেগে ওঠে স্বপ্নপ্রহর; নিশ্চিত গন্তব্যের পথচিহ্নরা
নিলামে ডেকেছে আজ; একতার গান।
চোখ
আমাদের যাদুটানা চোখ; গোপনগহীনে
সাজঘরে ঢেকে রাখে যাপনের অযুহাত।
যা দেখো; অলীক আলোঘর, নূপুরে ডুবে থাকে
কান্নারা। নিয়ত হনন করে আত্মার ভিতর।
যা শোনো; মিছেমিছে সুখপাখি ডাকি
গোপনে ক্ষয়ক্ষতি, হানাহানি।
মধ্যরাতে, সত্যরা জেগে ওঠে; নির্ঘুম করাঘাত।
তুমি
পুনশ্চ ফিরে এলে, বকুলের ঘ্রাণে
শিশিরে ডুবিয়ে পা; তোমার অবহেলা
অবলীলায় মেনে নেবো। মাতা পেতে
আবারও দোষী হবো দারোগা বাবার চোখে।
পুনশ্চ ফিরে এলে, হাঁটুজলে গামছায় জলভরে
তুলে নিবো মাছের গোপন স্বপ্ন, চরকার সূতোয়
বুনে দিবো তোমার শীতের চাদর।
পুনশ্চ ফিরে এলে, তোমার মনের পলিমাটি
ঘেটে বুনে দিবো একশো গোলাপ; খোঁপায়
গুঁজে দিবো বেলীফুলের মালা।
পুনশ্চ ফিরে এলে, ফিরিয়ে দিও তৃষ্ণায়;
আমার আজন্ম ভালোবাসা তুমি।