পিছুডাক ছিঁড়ে চলে গেছে রেলগাড়ী অজানাপাড়ে;
কিছু অস্পষ্ট হাওয়া ছাড়া তার রেশ কেউ পড়েনি আগে,
এই নীরব অন্ধকারে। সেই হাওয়ায় দুলে ছিলো
গুল্মলতা আর বুনোপাখি।
সবুজধানক্ষেত; চটুল করাতে কাটে
দ্বিধার নারী, এলোমেলো উড়ুস্মৃতি মেঘের গাড়ি চড়ে
ফিরে যায় দুঃখ বিষাদে। আমি তার নীচে
মৃত্তিকার লেশ পড়ে বসে আছে
আমার কান ছুঁয়ে ঝিঁঝিঁরা ডেকেছে বহুত; অথচ
কোনো এক গৃহজ স্বভাবে বসেছি পৃথুল সংসারে।
চারিদিকে সীমানা এঁকে নিয়ে
দিব্যি ভুলেছি, তারপরও আছে এক বিরল পৃথিবী;
সে কাঁদে গহীন আড়ালে, যেখানে রোদ্দুরও
নিভে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে মুছে নেয় বেদনা।
চারিদিকে আশাবাতি, জোনাকীআলো;
দু'চোখে শ্রাবনের ঢল। ফিরেচাওয়া ইচ্ছেরা
জেগেছে কালরাত, র্নিঘুম। আমি সেই
পথ ধরে হেঁটে যাই দূরে, কোথাও;
পথিক পরানে বাজে তার ডাক, ফেরারি ফেরে না ঘরে।