আমার পোষাকের রঙ বা গন্ধ
কোনোটাই মিল ছিলো না, তোমাদের সাথে;
তাই নিরুপায়, আমাকে ফেলে এসেছিলে
নামহীন গোত্রহীন বুনোপথে।
আমি হাঁটতে হাঁটতে
হারিয়ে ছিলাম বুনোপাখিদের ভীড়ে,
অন্নহীন দিবারাত্রি রোদ-বৃষ্টি-জল।
আমার স্বযত্নের উচ্চারণগুলো
তোমাদের ভাবনায় ছেদ আঁকলে, কী ভীষণ অজুহাতে
ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করেছিলে বুলেট ঝলসানো আগুনে;
আমি পুঁড়তে পুঁড়তে মৃত্তিকার কৃষ্ণতা পড়েছিলাম সারাগায়ে।
আমি নতজানু হতে হতে
বৃত্তাকার মেরুদন্ড, পেশীতে পরাধীনতার ঘুণপোকার বাস
দীর্ঘদিন অদ্ধকার ছাড়া আমার ঘরে আর কিছুই ছিল না।
তারপর একদিন ভোরের রোদ্দুরে
আমার দু'আঙুলে জেগে উঠেছিলো সাধ
বেদনারা গলে, জমে
গাঢ় দ্রোহে জেগেছিলো ভোগের কবুতর
আমি নিজকে খুলে, ঘুরে দাঁড়াতে শিখেছিলাম।
ঘুরে দাঁড়াতেই ত্রিশলক্ষ রক্তপাত;
ভোরের হাওয়ায় দুলে উঠেছিলো পতাকার পৎপৎ
বুকের পাঁজরে সোজা হয়ে দাঁড়ালো বাংলাদেশ।