আজাইরা অনেক ঘুরাঘুরি করে টায়ার্ড ছিলাম।
বাকি সময় হানাফিতে সব কিছু দেখে নিলাম
যেন শেষের দিন সহজেই প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনতে পারি।
অবশেষে রাত ১০টায় আবার বুকিত জলিলে ফিরে আসলাম।
কাউন্টারে গিয়ে বাসের নাম্বার ও প্লাটফরম নাম্বার জেনে নিলাম।
আমাদের গতানুগতিক বাস টারমিনাল থেকে এই টারমিলালের পার্থক্য হচ্ছে, যাত্রীদের বসার জন্য অনেক বড় জায়গা আছে। (যাত্রী ছাউনি)
সকল বাসের এজেন্ট তারা সদা প্রস্তুত যাত্রী ও তাদের নিজেদের কাউনটার সিট ক্যাপাসিটির উপর সার্বক্ষনিক ওয়াকিটটিতে যোগাযোগ। যারা নতুন যাত্রী ও ফরেনার তারা এ পরিবেশে কিছুটা বিচলিত হতে পারে। তাই সবসময় নতুন জায়গায় যতটুক সম্ভব আগেভাগেই তথ্য সংগ্রহ করে রাখা।
দেখতে দেখতে ১ ঘন্টা পার হলো, বাসের কোন খবর নাই, কাউন্টারেও কেউ নাই !!!
আমার সেই স্মার্ট ছেলের কোন খবর নাই, অন্য কাউন্টারে খবর নিলায় তারা কিছু জানাতে পারলো না।
আরেক ঝামেলায় পড়লাম। আবার সেই প্লাটফরমে আসলাম এবং দেখি আমাদের মতো প্রায় আরো ১০ জন্য অপেক্ষা করছে এবই বাসের জন্য। ওই ১০ জনের ৬ জনই বাংলাদেশি!!
আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার কাউন্টারে গেলাম দেখি খুবই এক সুন্দরী মেয়ে বসা।
আমার সকল ক্লান্তি নিমেষেই উধাও। জানতে চাইলাম ব্যাপার কি? বাস নাই কেন। উত্তরে ( খুবই দারুন কন্ঠ) জানালো সে এই কাউনটারে সাথে রিলেটেড নয় এবং সে তার বয় ফ্রেন্ড এর জন্য অপেক্ষা করছে। কিছুক্ষণ পর তার বয়ফ্রেন্ড এলো, সেই স্মার্ট ছেলেটি এবঙ আমাদে কাউনটারে দেখেই হেসে বল্লো ডোন্ট ওয়ারি। তার গার্ল ফ্রেন্ডকে দেখে সে আরও খুশি, তাকেও সে সরি জানালো। এবং আমাকে প্লার্টফরর্মে ফিরে যেতে অনুরোধ করলো। জানালো আর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই গাড়ি আসবে।
আবশেষে আমরা যেখানে অপেক্ষা করছি গাড়ি আসলো মেইন রোডে। লাগেজ নিয়ে বাসে উছে দেখি আমর সিটে আরেক কাপল বসা। সিটে যে বসে সে হয়তো মালয়েশিয়ান কোন কুস্তিগীর হবে। জানালাম এই ৪টা সিট আমার। সে ভাঙ্গা ইংরেজীতে জানালো সে আগে এসে বসেছে এটা তার সিট। বাসের এ্যাটেন্ডেন্ট খুবই করূন ভাবে আমাকে অনুরোধ আমারা যেন নীচে গিয়ে বসি। আমি নাছরবান্দা। আমি বাস ছেড়ে নিচে নেমে আসলাম এবং সেই ছেলেটির পাসে বসে তাকে প্রশ্ন করলাম এটা কি ব্যাপার? আমার সিট নাই কেন? সে নিরত্তোর এবং আপন মনে তার প্যাকিং লিস্ট চ্যাক করছে। গাড়ির ড্রাইভার আমাকে ইশারায় বসে থাকতে বল্লো এবং আমিও বসে রইলাম। সবাই বাসে এবং বাস ছাড়ার জন্য প্রস্তুত। আমি বাসের বাইরে।
কিছুক্ষন পর সেই ছেলেটি বাস থেকে নেমে আসলো এবং আমাকে আমার স্থানে বসতে বল্লো। আমি বল্লাম ওই রেইসলার ও তার গার্ল ফ্রেন্ড কি খবর? সে বল্লো মেনেজইড।
জায়গা মতো বসলাম। আমরা ৩ জন থাকলেও টিকেট ছিল ৪টা। তারা বারবার আমায় প্রশ্ন করলো আমাদের আরেকজন কই? আমার ধারণা তারা তাদের ২ গাডির যাত্রী একব করার ফলে এই সমস্যা
সম্পুর্ণ একটি নতুন জায়গায়, বাস টারমিনাল এর মতো পরিবেশে, রাত ১২ উপর সময় এ রকম একটা পরিস্থিতিতে পড়ে বেশ বিব্রত ছিলাম।
শেষপর্যন্ত গাড়ি ছাড়লো, ১২:৩০ মি:
আগামী পর্বতেই শেষ হবে ৫ম পর্ব ( লাংকাওয়ি যাত্রা)
পূর্বের পর্ব : Click This Link