একটা শহর জেগে উঠে আমার শার্টের কলার চেপে ধরে বলেছিল বিপ্লব চাই অথবা মৃত্যু। তখন আমি স্কুলবয়, ফুলের অসুস্হতা তেমন বুঝতাম না। বাগানভরা প্রজাপতি থোকায় থোকায় ঝুলে থাকত। ন্যাংটা শিশুরা অন্ধ পাখিদের খসে পড়া পালক কানে ঝুলিয়ে বিষণ্ণ বৃষ্টিতে শাওয়ার নিত। শিশুদের দুই হাত দুইদিকে প্রসারণ করে মাপা হত মুক্তির পরিধি।
জট ধরা চুলের ওঝারা ঝাড়ফুঁক দিয়ে নগরীর মেডিসিন ল্যাবগুলো অকেজো করে দিয়েছিল। দিগন্তঘেরা সবুজ বন ছোট হতে হতে হারিয়েছিল তার বিশালতা,বুড়ো গাছগুলো বিবর্ণ হয়ে বস্ত্রহীন হয়ে পড়েছিল। তবুও হরিণশিশুরা আনমনে খেলেছে সাপেদের ছায়ার সাথে। চৌধুরী কটেজের উঠোন থেকে ভেসে এসেছে বিদ্রোহী কোরাস।
অতঃপর কত উতলা সময় কাটিয়েছি বসন্তের পর বসন্ত। কিন্তু শহরকে আর কখনো জেগে উঠতে দেখিনি, বিপ্লব দেখিনি কিংবদন্তীর কণ্ঠে। শুধু ঝাঁকেঝাঁকে মৃত্যু দেখেছি শহর, বাগান, প্রজাপতি আর অন্ধ পাখিদের।