অবশেষে শুরু হয়ে গেলো "বাংলাদেশ VS ভারত সাইবার যুদ্ধ"।
এই নিরব প্রযুক্তিময় যুদ্ধের যাবতীয় খুটিনাটি তথ্য তুলে ধরা হলো এই পর্বটিতে ।সর্ম্পূন লেখাটি পড়ার পর আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য প্রকাশ করুন ।
।
☀
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন হচ্ছে যুদ্ধ কৌশল এরই ধারাবাহিকতাই সর্বশেষ যুদ্ধপদ্ধতিটি হলো "সাইবার আক্রমন"।প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ন সাইটগুলো হ্যাক করে অকার্যকর করে দেওয়া এবং গোপনীয় তথ্য ফাঁসের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করাই হলো সাইবার যুদ্ধ ।এক্ষেত্রে উভয়পক্ষের মাঝে থাকেনা কোন রকম আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার কিংবা রক্তাক্তের সম্পৃক্ততা ।কে কার কতো গুরুত্বপূর্ন সাইটগুলো অকার্যকর করে ধরাশায়ী করে দাবী আদায় করতে পারছে তার উপরই নির্ভর করছে জয় পরাজয় ।
☀
সীমান্ত হত্যার বন্ধ করার লক্ষে বাংলাদেশী হ্যাকাররা ভারতীয় কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করলে পাল্টা জবাবে ভারতীয় হ্যাকাররাও বাংলাদেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন ওয়েবসাইট হ্যাক করে নেয় এবং গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করে দেয় ।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে Bangladesh Black HAT Hackers নামের বাংলাদেশের শীর্যস্থানীয় এই হ্যাকার গ্রুপটি গতকাল ভারতীয় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেগুলোতে বিএসএফ কর্তৃক নির্যাতিত ১৫ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানীর ছবি ঝুলিয়ে এবং "বাংলাদেশ কর্তৃক চটোপাঘাত খাচ্ছে ভারত" এইরুপ ব্যাঙ্গ কার্টুন ঝুলিয়ে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিবাদ করে এবং ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে যুদ্ধের ঘোষনা করে ।
।
☀সাইবার যুদ্ধে বাংলাদেশী হ্যাকারদের যুক্তিযুক্ত কারন এবং দাবী :
◆ বিএসএফ ১ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে ।
◆তাদের গুলিতে আহত হয়েছে আরও ৯৮৭ বাংলাদেশী ।
◆অপহৃত হয়েছে হাজারো মানুষ। ◆ভারত সরকার নিরপরাধ বাংলাদেশীদের হত্যা করা বন্ধ করুক।
◆সীমান্তে নির্মমভাবে হত্যা করা বন্ধ করুক ।
।
☀বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তে ঘটে যাওয়া কিছু হত্যাকান্ড এবং নিযার্তন দেখলেই গা শিউরে উঠতে হচ্ছে ।ফেলানী নামক ১৫ বছরের কিশোরীকে হত্যা করে কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখা ,ব্যবসায়ীর জননাঙ্গে পেট্টোল ঢেলে নির্যাতন এবং নানারকম হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বিএসএফ ।বাংলাদেশ সরকার এর সঠিক বিচার আনতে পারেনি ,দেশের পক্ষ থেকে তাই সাইবার হ্যাকাররা এই অবৈধ সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার দৃড় অঙ্গিকার নিয়েছে ।
।
☀বাংলাদেশ হ্যাকার বাহিনীর একটিমাত্র উদ্দেশ্য ,তা হলো সীমান্তে অবৈধভাবে অনৈতিকভাবে নির্মমভাবে কাউকে হত্যা করা যাবেনা ।
।
☀যেহেতু সরকার এই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার ব্যাপারে কোন সুরাহা করতে পারেনি এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এই অমানবিক হত্যার কোন প্রতিবাদ করছেনা সেহেতু বাংলাদেশ হ্যাকার বাহিনীর কর্মকান্ডে সম্মতি জানাচ্ছে জনগন ।
।
☀ইতিমধ্যে ,বাংলাদেশের কিছু হ্যাকারগ্রুপ ভারতের প্রায় ১৫০০০ ওয়েবসাইট এবং ৪০০০ এর মত টুইটার ফেসবুক আইডি হ্যাক করেছে ।এক্ষেত্রে ভারতীয় হ্যাকাররা বাংলাদেশের প্রায় দুইশ ওয়েবসাইট হ্যাক করতে সক্ষম হয়েছে ।
।
☀ফেসবুকে বাংলাদেশীর আইডির প্রায় ৪০শতাংশ স্ট্যাটাস এবং ফেসবুকীয় ফ্যান পেজগুলো এই সাইবার যুদ্ধকে গ্রহন করে নিয়েছে ।
☀এই সাইবারযুদ্ধে যদি বাংলাদেশ অধিকার আদায় করে নিতে পারে তবে তা হবে বিশ্বের সাইবার যুদ্ধের অন্যতম একটি মাইলফলক।
।
☀বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্ন্তজাতিক হ্যাকার গ্রুপ "এনোন্যিমাস" বাংলাদেশের পক্ষে সহায়তা করবে বলে Bangladesh Black HAT Hackers জানিয়েছে ।
।
☀ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ান ,ইন্দোনেশিয়ান ,পাকিস্থানি এবং থাইল্যান্ডের কিছু হ্যাকারগ্রুপ বাংলাদেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে বলে বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপ স্বীকার করেছে ।
।
☀
নিরবভাবে চলতে থাকা এই সাইবার যুদ্ধ উভয় দেশের সরকার পক্ষ থেকে যতক্ষন পর্যন্ত রেসপন্স পাবে না ততক্ষন পর্যন্ত নেটজনিত ,ওয়েবজনিত ,সরকারিতথ্য ফাস জনিত ক্ষতি বাড়তেই থাকবে।যথাশিঘ্রী উভয় সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।
।
☀বাংলাদেশ সরকার যতক্ষন পর্যন্ত বাংলাদেশ হ্যাকার বাহিনীকে সার্পোট করবেনা ততক্ষন পর্যন্ত ভারত সরকারের কাছে এটি বিচ্ছিন্ন এবং অবৈধ অপরাধযুক্ত ঘটনা বলে গৃহিত হবে ।আপাতত বাংলাদেশের হ্যাকার বাহিনী সরকার পক্ষ থেকে কোনরুপ রেসপন্স পায়নি ।সরকারের উচিত রেসপন্স না করার কারন অবগত করা ।প্রয়োজনে জনগনকে হ্যাকারদেরকে হুশিয়ার করা ।
।
☀যেহেতু বাংলাদেশ হ্যাকার্স বাহিনী দেশের শান্তিরক্ষায় যুদ্ধে নেমেছে সে হিসেবে তারা দেশের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছে এবং পাওয়ার যোগ্য ।যদি এই পাওয়াটা অবৈধ হয় তাহলে এখনই সরকারের উচিত তার কারন দর্শানো ।
।
☀সরকারি হস্তক্ষেপে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে , ভারত সরকারের সীমান্ত হত্যা বন্ধের ঘোষনা এবং একমাত্র বাংলাদেশ সরকারের লিখিত চুক্তিতেই বন্ধ হতে পারে এই যুদ্ধ ।কারন উভয়দেশের হ্যাকারবাহিনী সবসময় সকলের চোখের আড়ালেই থাকবে এবং থাকছে ।এটাই স্বাভাবিক ।
।
☀উভয়দেশের সরকারের মনে রাখা উচিত এই ধরনের নিরবযুদ্ধ জাতিগত এবং সরাসরি আগ্নেয়যুদ্ধের অবতারনা করতে পারে ।তাই প্রথম থেকেই সরকারীয় পর্যায় থেকে উভয়দেশের পারস্পারিক চুক্তিতে উপনিত হওয়া উচিত।
।
☀উভয়দেশের সরকারপক্ষ থেকে নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধের কোন স্বীকৃতি থাকছে না ।কারন এক দেশের আইন পরিবর্তনে ঐ দেশের সরকারীয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন ।সুতরাং হ্যাকাররা এখন যে পর্যায়ে আছে তা প্রতিযোগীতা ভিন্ন অন্য কিছু নয়।কারন সরকারের অনুপস্থিতে এই যুদ্ধের গ্রহনযোগ্যতা নেই ।উভয় হ্যাকারগ্রুপের উচিত তাদের স্বার্থ এবং দাবী পূরনে নিজ নিজ সরকারের সমর্থন আদায় করা ।
।
☀বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ন ওয়েবসাইটগুলোর দূর্বল পয়েন্ট ফিক্সড করে তা কতৃপক্ষকে ইনফর্ম করা উচিত ।
।
কিছু প্রতিকার :
◆◆◆নিজ নিজ ওয়েবসাইটের এডমিন এবং সি প্যানেলের পাসওর্য়াড স্ট্রং করে চ্যান্জ করুন ।
◆◆◆ওয়েবসাইটকে আপগ্রেড এন্ড ইমপ্রোভ ভার্সনে রুপান্তর করুন ।
◆◆◆বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ন সরকারীয় ওয়েবসাইটগুলোর প্রাইভেসী জলদি স্ট্রং করা উচিত ।
।
সর্বশেষে ,বাংলাদেশ হ্যাকার গ্রুপের সকল যোদ্ধাকে লাল স্যালুট ।ফেসবুক আইডিতে ,প্যাজে ,ব্লগে স্ট্যাটাসে সর্বত্র আমরা তোমাদের পাশেই আছি।