মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হসপিটালে বিশিষ্ট রন্ধনশিল্পী অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।ইন্নালিল্লাসে ওয়া নিল্লাহে রাজেউন ।
*
*
কিছু সংগৃহিত পরিচিতি তুলে ধরা হলো :
সিদ্দিকা কবীর (জন্ম মে ৭, ১৯৩৫,ঢাকা)
একজন বাংলাদেশী পুষ্টিবিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ। তিনি তাঁর
লেখা রন্ধনবিষয়ক বইগুলির জন্য
বিখ্যাত।
*
*
১ ব্যক্তিগত জীবন
সিদ্দিকা কবীরের জন্ম পুরানো ঢাকার
মকিম বাজারে, ১৯৩৫ সালের ৭ই মে।
তাঁর পিতা মৌলভি আহমেদুল্লাহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে র প্রথম ব্যাচের
বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ও
পরবর্তীতে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের
বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন।
সিদ্দিকা কবীরের
মাতা সৈয়দা হাসিনা খাতুন ছিলেন
গৃহিনী।
১৯৭২ সালের নভেম্বর
মাসে সিদ্দিকা কবীর ব্যাংকার সৈয়দ
আলী কবীরকে বিয়ে করেন।
*
*
২ শিক্ষা
সিদ্দিকা কবীর পড়াশোনা করেন
প্রথমে ইডেন কলেজে। সেখান
থেকে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম
বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট পাশ
করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে র গণিত
বিভাগে ভর্তি হন ও সেখান
থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
এর পর তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের
বৃত্তি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
ওকলাহোমা স্টেট
ইউনিভার্সিটি হতে ১৯৬৩ সালে খাদ্য
ও পুষ্টি বিজ্ঞানে মাস্টার্স
ডিগ্রি পান।
*
*
৩ চাকরী জীবন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম
বর্ষে পড়ার সময় সিদ্দিকা কবীর
তৎকালীন পাকিস্তান রেডিওতে ঘোষক
হিসাবে খন্ডকালীন চাকরীতে যোগ দেন।
স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের
পরে প্রথমে ভিকারুন্নেসা নুন
স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে মাস কাজ
করেন। এর পর তিনি ইডেন
কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসাবে যোগ
দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে মাস্টার্স ডিগ্রিলাভের
পর দেশে ফিরে তিনি গার্হস্থ্য
অর্থনীতি কলেজে সহকারী অধ্যাপক
হিসাবে নিযুক্ত হন। এখান
থেকে তিনি ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহন
করেন।
*
*
৪ রান্নার অনুষ্ঠান
১৯৬৫ সালে সরকারী প্রতিষ্ঠান
হতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রান্নাশিখা
শুরু করেন। ১৯৬৫
সালে তিনি তদানিন্তন পাকিস্তান
টেলিভিশনে "ঘরে বাইরে" নামে রান্নার
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা শুরু করেন।
সিদ্দিকা কবীর তাঁর "রান্না খাদ্য
পুষ্টি" বইটির জন্য ব্যাপক
খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলাদেশের
সর্বাধিক বিক্রিত বইগুলির মধ্যেএখন
পর্যন্ত বইটি অন্যতম। বইটি প্রথম
প্রকাশের সময় মুক্তধারা,
বাংলা একাডেমী সহ অন্যান্য
প্রকাশনা সংস্থা এটি প্রকাশ
করতে রাজী হয় নাই। পরে এটি নিজ
খরচে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের পর
এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
১৯৮৪ সালে ইংরেজি ভাষায়
একটি কারি রান্নার বই লিখেন।
১৯৮০ সালে লিখেন পাঠ্যবই
খাদ্যপুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থা,
যা স্নাতক পর্যায়ে পড়ানো হয়।
এছাড়া তিনি ১৯৯৭ সালে দৈনিক
জনকণ্ঠে রসনা নামে কলাম লিখেন,
যা পরবর্তীতে খাবার দাবারের
কড়চা নামে প্রকাশিত হয়।
*
*
ম্যাডামের জন্য অনেক অনেক দোয়া করি ।যেনো স্রষ্টা তাকে বেহেস্তে নসীব করেন ।আমীন
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫