ঘটনা ০১
কিছুক্ষন পর পর মেয়েটাও আমার বন্ধু হিমালয়ের দিকে তাকাতে থাকলো ,একটু পর দেখা গেলো মেয়েটার অন্য আরো দুইজন বান্ধবীও বিভিন্ন এংগেল থেকে আড়চোখে তাকানোর চেষ্টা করছে ।লাজুক লাজুক মুখে মুচকি মুচকি হাসি দেখেতো বন্ধু আমার পুরাই দেওয়ানা ।একটা না ,দুইটা না ,তিন তিনটা মেয়েকেই ইশারা দিয়ে পটিয়ে ফেলেছে সে ।
তিনটাকে একসাথে তো আর কন্ট্রোল করতে পারবেনা আমার বন্ধু ,হাজার হোক সেতো বাংলার ছেলে !তিনজনের মধ্যে একটাকে চয়েজ করে দেওয়ার চাপ পড়লো আমার উপর ।আমি নিরীহ,অসহায় ,সুন্দরী বিদ্বেষী মানুষ;আমি আবার কেমনে চয়েজ করে দেই ??
"না ,না ,দিতেই হবে ,দিতেই হবে চয়েজ করে দে ।আজকে একজনকে পটাতে পারলেই প্রেম হয়ে যাবে ,তারপর জীবনটাই সার্থক " হিমালয়ের অনুরোধ ফেলতে পারিনি ।
শেষমেষ তিনসুন্দরীকে পঙ্কানুপুঙ্ক পর্যবেক্ষন করে ক্যাটরিনা কাইফ টাইপের স্লিম একজনকে চ্যুজ করলাম বন্ধুর জন্য,বাকীগুলো বাদ :-p
এইবার চলতে থাকলো পার্সোনাল ইনক্যোয়ারী ।মেয়েটা কে ?নাম কি?কিসে পড়ে ?কোথায় থাকে ?এইসব হাবিজাবি আরকি ।
পলাশ আমাদের আরেক বন্ধু ,বিয়েটা ওর বড় বোনের ।এরই মধ্যে পলাশ এসেবললো "কিরে এমন করে কি দেখোস?কাউকে পছন্দ হয়েছে ?হলে বল ।ম্যানেজ করে দিবো "
হিমালয় তো খুশীতে দিশেহারা ।মেয়েটার রুপের বর্ননা , পটিয়ে ফেলার কৌশল ,মেয়েটাও যে ওর জন্য হাবুডুবু খাচ্ছে সব বলে দিলো পলাশকে পট পট করে ।
একটু পর বন্ধুর হিমালয়ের লজ্জ্বিত মুখ আর পলাশের ফানসে মুখ দেখে আমরাও হতভম্ব হয়ে গেলাম।বেচারা হিমালয় শেষ পর্যন্ত পলাশের ছোট বোনের প্রেমে পড়েছে তারউপর মেয়েটার ভাইকেই রুপের বর্ননা করতেছে......! হাঃহাঃহাঃ
ঘটনা ০২
হিমালয় সবাইকেই অনুরোধ করতেছে গায়ে হলুদে নাচার জন্য ।একসময় ১২বছরের একটা ছেলে হিমালয়কে চ্যালেন্জ দিয়ে বসলো "ভাইয়া,আপনি এইখানের যে মেয়েটার সাথে নাচতে চাইবেন আমি আপনাকে তার সাথে আপনাকে নাচার ব্যবস্থা করে দেবো।বলেন কার সাথে নাচাবেন"
চারিদিকে চোখ বুলিয়ে বন্ধু বললো"ঐ যে শাড়ি পড়া মেয়েটাকে দেখছো?ওর সাথে নাচতে চাই"
ছেলেটাও পলাশের মত চুপসে গিয়ে বলে উঠলো "ও তো আমার বড় আপু"
একটু পরে কাহিনীটা বুঝতে পেরে আমরা তো হাসতে হাসতেই শেষ !
বিঃদ্রঃ পলাশের বোনকে আমরা কেউই আগে থেকে চিনতাম না ।বেচারীর জন্য আফছুছ হচ্ছে :-(