আমার খালু দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভোগার পর একমাস আগে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ডাক্তার বলে যে ক্যান্সার হয়েছে ।আমার খালাত বোন এবং তার স্বামী যারা হাসপাতালে ছিল তারা হতবাক।উল্লেখ্য আমার খালুর কোনো ছেলে নেই।আরোও দৃয়েকদিন পর ডাক্তার রা রোগীকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়।এবং কিছু ঔষধ দিয়ে বলে যে আগামী একমাস পরে আবার দেখা করার জন্য।
রোগী বাড়ি আসার পর এর মুখ তার মুখে রোগীও জেনে যায় তার ক্যান্সার হয়েছে।লোকজন ,আত্নীয় স্বজন রোগী দেখতে এসে সাহস দেয় ,আরে ক্যান্সার আজকাল কোনো রোগই না।এই কথা শুনে তিনি আরো অসুস্হ হয়ে যান। খাবার দাবার ঠিক মতো খান না।জমি -জমা ,সহায় -সম্পত্তি সব ৬ মেয়ে এবং ভাই-ভাস্তেদের মধ্যে ভাগ করে দেন।মনের দুঃখে কান্না কাটি করেন। ঠিক মতো ঘুমান না।মাঝে মাঝে সিগারেট খান যা আগে কখোনও মুখে নিতেন না।
বলেন যে মরেই তো যাবো একটু ভোগ করতে দাও ।
খবর পেয়ে আমিও আব্বা আম্মার সাথে গেলাম খালুজান কে দেখতে।
উনি আমাকে খুবই স্নেহ এবং বিশ্বাস করেন।
আমি তার সমস্ত কাগজ এবং পরীক্ষা দেখলাম ।এবং আমার পরিচিত বিষয়গুলো একটু জোরে পড়লাম।শেষে রোগীর ছাড়পত্র হাতে নিলাম।সেখানে লেখা আছে রোগী Multiple myelomaa রোগে ভুগিতেছেন।আমি খুব জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম ,কে বলেছে ক্যান্সার হয়েছে ।ডাক্তার তো এমন কিছু লেখে নাই।খালু আমার দিখে উৎসুখ নয়নে থাকালেন ।আমি তাকে প্রথম পড়ে শুনালাম আপনার এই রোগ হয়েছে ।উনি কাগজটা হাতে নিয়ে দেখলেন। তারপর মৃদো হাসি দিয়ে আস্তে আস্তে বললেন ,কিন্তু তারা তো সবাই বলছে ক্যন্সার হয়েছে।
আমি উচুঁ স্বরে বললাম ,কে বলেছে ক্যন্সার হয়েছে ।আপুরা সবাই সামনেই ছিল কিন্তু কেউ আর কিছু বলতে সাহস পেল না।কেউ কেউ বলাবলি করছে ,হয়তো নার্স রা আলাপ আলোচনা করেছে এই রকম ক্যন্সার এর কথা ।আমি সবাইকে উদ্যেশে বলতে লাগলাম এই দেখেন উনি এই রোগে ভূগছেন। যদি ক্যান্সার হতো তাহলে লার কালিতে লেখা থাকত যে ক্যন্সার।হয়েছে।
আমি বাসায় এসে গুগলে চার্জ দেই এবং উইকি দেখি , সত্যিই রোগটা ক্যন্সার এবং এর চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি সহ ঔষুধ-পত্রের নাম দেয়া।
আমি চলে আসার পরের দিন -খালুর বড় মেয়ে যিনি প্রাইমারী শিক্ষক ,আমাকে ফোন করে কেদেঁ দিলেন।
ভাই ,তোর কথায় বাবা খুব খুশি ।এখন আর সিগারেট পান করছে না।ঠিকমতো ঔষুধ সেবন করছে পাশাপাশি খাওয়া -দাওয়া ঠিকমতো করছে।
............................................................
১ মাস পর খালুকে ডাক্তার দেখানোর সময় হয়েছে ।তিনি এখন মোটামুটি সুস্হ ,বিছানা ছেড়ে হাটাহাটি করতে পারেন।কিন্তু আমায় ছাড়া তিনি আর কোনো হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের কাছে যাবেন না।
কি আর করা ।আমি গেলাম ডাক্তারের কাছে ।আমার উপরের কাহিনী তাকে বললাম ।উনি হাসলেন। সব কিছু নতুন করে টেস্ট করে দেখা গেল উনি আসলেই সুস্হ হয়ে যাচ্ছেন।ডাক্তার আমকে ধন্যবাদ জানালেন ।আমিও তাকে ধন্যবাদ জানালাম।