মেডিকেল কলেজের প্রফেসর নতুনদের ক্লাস নিচ্ছেন।
-ভালো ডাক্তার হওয়ার দুটি শর্ত। প্রথমটি হল খুব ভালো পর্যবেক্ষন শক্তি থাকা। রুগীকে দেখেই যেন তার সম্পর্কে ধারনা করতে পারো, কোন একটা অসুখের হালকা লক্ষনও যেন বাদ না যায়। দ্বিতীয়টা হল মন শক্ত করা। যেন কিছুতেই তুমি ভড়কে না যাও।
আজকে তোমাদের পর্যবেক্ষন এবং মানসিক অবস্থার পরীক্ষা হবে। আমার সামনে একটা জারে হলুদ বর্নের তরল আছে। সবাই এক এক করে আসো আর দেখে যাও। বলো এটা কি?
একে একে সবাই এলো। সবার এক কথা এটা প্রস্রাব।
গুড! এই বলে প্রফেসর একটা আঙ্গুল তরলে ডুবিয়ে দিলেন। ছাত্র-ছাত্রীরা ওয়াক থু টাইপ আওয়াজ করল। তরলে আঙ্গুল রেখেই প্রফেসর বললেন,
-তোমাদের ঘেন্নাপাতি কমাতে হবে। মানসিক দৃঢ়তার জন্য এই ধরনের ঘৃনা থাকা ভালো নয়। যারা এখনো আমার আঙ্গুল চুবিয়ে রাখা পছন্দ করো নাই তারা ভালো করে লক্ষ্য করো। এইবলে প্রফেসর আঙ্গুল তুলে মুখে দিলেন। ছাত্রদের অবস্থা ত সেই রকম।
এরপর প্রফেসর বললেন, তোমরা সবাই ঠিক আমি যেভাবে আঙ্গুল চুবিয়েছি আর মুখে দিয়েছি সেইভাবে কর। সবাই আসো... একে একে...
ছাত্ররা তাই করল।
সবশেষে প্রফেসর বললেন, এবার তোমাদের পর্যবেক্ষনের প্রসঙ্গে আসি। বলো কতজন খেয়াল করেছো যে আমি তর্জনী চুবিয়েছি আর মধ্যমা মুখে দিয়েছি...
...............................
আগে আমি যে কৌতুক ভালো লাগত সেটাই ব্লগে দিতাম। পনের/ষোলটা মাইনাস খাইছি মাঝে মাঝে। কিছুই ভাবি নাই। কিন্তু আজ সারাদিনে " অপরাধ করাই আমার পেশা বটে , তবে এবার আমি নির্দোষ" এইটাতে ব্লগারদের যে ভালোবাসা পাইছি, তাতে আমার একটা অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। লেখার পর বারবার ভাবছি, সবাই আমার ব্লগ পড়তে আসছে। তাদের ভালো লাগবে ত?
সেইসাথে ব্লগের সবাইকে আমার ভালোবাসা জানাচ্ছি। আজকের সকালটা কত খারাপ ছিল । আর এখন আমি কতই না আনন্দিত।