আদ্দিকালের কবিতা
‘বেলা হয়ে গেল, উঠ’ কি সুমধুর মায়ের ডাক--
‘এখনও উঠেই নি’ বজ্র নিনাদে বাবা দিলেন হাঁক
তড়িঘড়ি করি উঠিয়া বসিনু, তক্তপোষের উপর
কল্লা ঘুরিয়া জানালা পেরিয়া দেখিনু মধ্য দুপুর।
দিনগুলি মোর বহিয়া চলিছে এমনি করিয়া হায়
মায়ের আদর বাবার ঝাড়ি সহ্য নাহি আর হয়;
মন চাহিছে ছুটিয়া যাই দিগ্বিদিক যেদিকে চাই,
খামোস, কী হবে, ওদিকে যে বাপের হোটেল নাই।
২
আধুনিক কবিতা
মহুয়ার গন্ধ শুঁকে তেপান্তরের পথে
ছুটে চলা অনির্মেষ প্রেমিক;
‘দাঁড়াও’ বলে কেউ তো ডাকে নি কখনও…
ত্রিমোড়কে কেন্দ্র করে এই ছুটে চলার শেষ কোথায়
তা কি মহাকাল জানবে?
নিদ্রা সে তো হ্যালির ধুমকেতু,
কদাচিৎ আসে, ষোড়শীর চিন্তার ফাঁকে--
কচি লাউয়ের ডগার মতো তরতরিয়ে বেড়ে উঠছে সুবর্ণলতা;
যা করার এখনই করতে হবে; যেটাই হোক ছাতামাতা??
৩
উত্তরাধুনিক কবিতা
আকাশটাকে পাকড়ে ধরে ঘুমিয়ে ছিল কালো রাত্রি; নিকষ তমসায় অস্থির শিয়ালটাকে ক্রিপসি চিকেন ভেবে কপ করে খেয়ে ফেলল পোষা অশীতিপর বটগাছ।
আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রের ধাঁধানো আলোতেও ভীষণ অন্ধকার; তবুও লাঠি ঠুকিয়ে এগিয়ে চলেছে বুড়ো ভাল্লুকটি; আর ভ্যা ভ্যা করে গাইছে অমরাবতীর তীরের মেদযুক্ত আকাশে ফুটে উঠা বসরায় গোলাপ কলির গান। তারই দু একটি কন্টককলি পুঁতে দিলাম নিশুতি প্রিয়ার খোঁপাতে। আহ, কী অনির্বাণ সুখ!
****************************************************************************************
মহাকবি আখেনাটেন/২০১৯
বিদ্রঃ ব্লগে নাকি কালজয়ী কবিতা আর আসছে না, তাই তাজুল, ব্লগার_সামুরা ও আরইউ সাহেবের কবিতা ও প্রবন্ধের প্রতিক্রিয়ায় এই অসাধারণ, অকল্পনীয়, অভাবনীয়, অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত কবিতার চাষবাস করলুম। প্রশংসা না করলে রাগ করমু কিন্তু কয়ে দিলুম।
ছবি: অন্তর্জাল
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৯