somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

=|| প্রেম - বিবাহ ||=

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শিষ্য একদিন গুরুর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, গুরু প্রেম কি?

গুরু বললেন, ঐ যে সামনে পাহাড় দেখছিস তার অপর পাশে এক অপূর্ব সুন্দর ফুলের বাগান আছে। বাগানের ঠিক মাঝখান দিয়ে একটা পথ চলে গেছে। তুই সেই পথ ধরে হেঁটে যাবি। যাওয়ার সময় পথের দুইপাশের ফুলগুলোর মধ্যে যেটা তোর সবথেকে ভাল লাগবে সেই ফুলটা তুলে নিবি। তারপর আমার কাছে ফিরে আসবি। তোর জন্য দুটো শর্ত –

১। পথ ধরে শুধু সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যেই ফুলগুলো পিছনে পরে থাকবে সেগুলো থেকে আর তুলতে পারবি না।
২। একটা ফুল তুলে ফেলার পর ফিরে আসবি, আর সামনে যাবিনা।

শিষ্য পাহাড় ডিঙিয়ে বাগানের দেখা পেল। যেদিকে চোখ যায় নয়ন জুড়ায়ে যায়, জগতের সব সুন্দর ফুল এখানে আছে। মুগ্ধ চোখে শিষ্য মাঝখানের পথ ধরে হেঁটে যায়। যেই একটা ফুল তুলতে যাবে তার মনে পড়ে দ্বিতীয় শর্তের কথা। একটা তুলে ফেললে ফিরে যেতে হবে। সামনে হয়ত আরো অনেক সুন্দর ফুল আছে। শিষ্য হাঁটতে থাকে আর ভাবে সবথেকে সুন্দর ফুল তুলে নিতে হবে। আরো অনেকদূর যাবার পর হঠাত তার মনে হয়, এই ফুলগুলো মলিন। পিছনের অনেক ফুল এর থেকে ভাল ছিল, কিন্তু প্রথম শর্তানুযায়ী পিছনে ফেরা যাবে না। আরেকটু সামনে গিয়ে পথের শেষ দেখা যায়। শিষ্য তখন বাদবাকী ফুলগুলোর মধ্যে মোটামোটি যা ভাল লাগে একটা ফুল তুলে ফেরার পথ ধরে।

গুরু জিজ্ঞেস করেন, বাগানে এটাই কি সবথেকে সুন্দর ফুল ছিল?

শিষ্য বলে, না গুরু। তারপর সবিস্তারে কাহিনী খুলে বলে।

গুরু তখন বলেন, এটাই প্রেম বৎস।





দশ বছর পর।

শিষ্য এসে গুরুকে জিজ্ঞেস করল, গুরু বিবাহ কি?

গুরু বললেন, ঐ যে সামনে পাহাড় দেখছিস তার অপর পাশে এক অপূর্ব সুন্দর ফুলের বাগান আছে। বাগানের ঠিক মাঝখান দিয়ে …

শিষ্য অস্থির হয়ে গুরুকে থামিয়ে দিয়ে বলে, গোস্তাকি মাফ হয় গুরু। বাকীটা আমার মনে আছে। শর্ত কি আগের দুইটাই?

গুরু বিরক্ত হয়ে বলেন, হুম, ভাগ মূর্খ কোথাকার!

শিষ্য চেনা পথে বাগানে চলে আসে। দশ বছর চলে গেছে, ফুলের সৌন্দর্য এতটুকু কমে নাই। শিষ্য পথ ধরে হাঁটতে শুরু করে। অল্প কিছুদূর গিয়ে একটা ফুল তার মনে ধরে। আরেকটু সুন্দর ফুলের খোঁজে সে সামনে আগায়। গতবারের ঘটনা তার ভাল মনে আছে। তাছাড়া এখন বয়স হয়েছে, বেশী হাঁটতে ইচ্ছা করে না। দু’কদম গিয়ে যে ফুলটাকে সুন্দর মনে হয় সে আর কিছু চিন্তা না করে তুলে নিয়ে আসে।

গুরু জিজ্ঞেস করেন, এত তাড়াতাড়ি ফিরে আসলি? বাগানে এটাই কি সবথেকে সুন্দর ফুল ছিল?

শিষ্য মাথা নেড়ে বলে, না গুরু। তারপর সবিস্তারে কাহিনী খুলে বলে।

গুরু তখন বলেন, এটাই বিবাহ হতভাগা


৮টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ

লিখেছেন ডাঃ আকন্দ, ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ২:৩৮

বাংলাদেশ নিয়ে আমি বড়ো স্বপ্ন দেখি না , দেখা উচিতও না । প্রিয় এনসিপি তোমরাও বড়ো স্বপ্ন দেখতে যেয়ো না । কারণ যে দেশে অধিকাংশ মানুষ পরিবারতন্ত্র মেনে চলে ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

চিলিং আউট ইন মরোক্কোঃ ওস্তাদের সাথে বহু-প্রত্যাশিত মোলাকাত!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২২ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫



পূর্বকথাঃ আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে সেই ২০২২ এর সেপ্টেম্বর মাসে একটা পোষ্ট করেছিলাম মরোক্কোর তান্জিয়ারে যাওয়া নিয়ে.........বদ লোকের জন্য দোয়া করলে বদ-দোয়া হয়ে যায়!!! শিরোনামে। সেই ভ্রমনের আসল সচিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী দল

লিখেছেন ধূসর সন্ধ্যা, ২২ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭


বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা এই এক প্রশ্ন দিয়েই তাদের সকল অন্যায় অবিচারকে জাস্টিফাই করে আসছে। আমরা দেশের মানুষের মাঝে এই ন্যারেটিভ সৃষ্টি করেছি আমরা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্ব... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে মেয়র হবে না হবে, তাতে আমার কী আসে যায়!

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২২ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮


একটা কথায় কতটা ক্ষোভ, হতাশা আর বাস্তবতার প্রতিফলন হতে পারে—এই একটুকু বাক্যই তার প্রমাণ। এটা নিছক কোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস না, এটা আজ হাজারো সাধারণ নাগরিকের কণ্ঠস্বর, যারা প্রতিদিন বাঁচার সংগ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ভুল করি, বিপদে পড়ি= (প্রার্থনা)

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:১৫



যখন তোমার বান্দা অহঙ্কারী হয়, তুমি তো তা দেখ,
কী শাস্তি আমার পাওনা হিসাবের খাতায় লেখ;
আমি হারাই পথের দিশা,
জীবনে নেমে আসে সহসা অমানিশা।

কখনো দাও রোগ বালাই,
কষ্টে ভোগে প্রার্থনায় তোমারেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×