somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

|| গল্পঃ তোমাকে হারানোর ভয় ||

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১।
কাকভেজা হয়ে ঘুরতে মিতুর দারুন লাগে। এই দারুন লাগার মাত্রা আরো বাড়ে যদি নিরবকে ভেজানো যায়। আজকে সে বেজায় খুশী। রিকশায় চড়ে যেতে যেতে মিতু খিলখিল করে হাসে।
এত হাসির কি হল?
কি করব? তোমার ভেজা মুখটা দেখলেই হাসি পাচ্ছে।
নিরবের দিকে তাকিয়ে আবার খিলখিল করে হেসে দেয় মিতু। তারপর আলতো করে ভেজা হাতে নিরবের মুখটা মুছে দেয়। এলোমেলো চুলগুলো আরো এলোমেলো করে দেয়।

নিরব কিছু বলে না, নিরব হয়ে থাকে, তবে ভিতরে ভিতরে খুব অনুভব করে প্রতিনিয়ত প্রতিক্ষণে মিতুর প্রতি ভালোবাসা শুধু বেড়েই যাচ্ছে।
দুইবার দোয়েল চত্বর ঘুরে রিকশা যখন আবার কার্জন হলের রাস্তায়, ঝুম বৃষ্টি থেমে গেছে। মেঘলা আকাশে আশ্চর্যরকম প্রেম প্রেম ভাব, ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি।

এ্যাই শুনো, আমি অনেক পড়াশুনা করছি। আর ভাল লাগতেসে না। তুমি কবে আমাকে বিয়ে করবা বলোতো? – এমন অধ্যের্যের স্বরে মিতু কথাটা বলে মনে হবে সে মাস্টার্স পিএইচডি করে ফেলেছে। আসলে পড়ে মোটে অনার্স থার্ড ইয়ার।
তুমি পড়াশুনা কর কই? সারাদিন থাকো দেখি মুভি আর এফএম নিয়া। বিবিএ করতে কি পড়াশুনা লাগেনা নাকি? – নিরব মিতুকে ক্ষেপানোর চেষ্টা করে।
দেখো খোঁটা দিবা না। আমার আর ভাল লাগে না এইসব। সিরিয়াসলি বলতেছি। তুমি ব্যবস্থা নাও, অথবা আমি তোমার বাসায় গিয়ে উঠব।
এইসব কথা প্রায় প্রতি ঘুরাঘুরির দিনে হয়। মাস খানেক ধরে কিঞ্ছিত বেশী হচ্ছে। নিরব আমলে নেয় না একদম। যা হবার নয় তা নিয়ে কথা বলা অর্থহীণ। তার থেকে এই ভাল। সপ্তাহে দুইদিন মিতুর সাথে ঘুরতে বের হয়, সময়টা ভাল কাটে। বাকী পাঁচ দিন অফিস নিয়ে পড়ে থাকা। দিন চলে যায় যেমন তেমন।

মিতুর আসলেই ভাল লাগে না। দিন দিন সে অস্থির হয়ে ওঠে। প্রতি ডেটের আগে ঠিক করে আজ একটা সমাধান করে ছাড়বে। হয় না। নিরবের কাছে আসলে সব এলোমেলো হয়ে যায়। ছেলেটাকে দেখলে এত্ত মায়া যে কেন লাগে? ইচ্ছে করে বুকে জড়ায় রাখতে। সেটা বেচারা কিছুতেই বোঝে না।

২।
মিতু জানে আজকে সে একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। নিরবকে না জানিয়ে নিরবের বাসায় চলে এসেছে, নিরব অফিসে। নিরবের মা পরীর মত এই উচ্ছ্বল মেয়েটিকে দেখে অবাক হলেন। মিতু আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। সালাম করে সে বলল, আন্টি আমি নিরবকে ভালবাসি। মেয়ের কথা বলার ভঙ্গি দেখে উনি হেসে দিলেন।
- তাই! কিন্তু নিরব কখনো তোমার কথা বলেনি। সে কি তোমাকে ভালবাসে?
- জ্বী, অবশ্যই ভালবাসে।
- কনফিডেন্ট?
- ১০০% কনফিডেন্ট।
- আচ্ছা, আমি আজকেই নিরবকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিব।
- আন্টি আমাকে আপনার কেমন লেগেছে?
- খুব ভাল লেগেছে। তুমি চমৎকার মিষ্টি একটা মেয়ে।
- না আন্টি আমি জানতে চাইছি, আমাকে আপনার ছেলের বউ হিসেবে পছন্দ হয়েছে কিনা!

হাসি হাসি মুখের ভদ্রমহিলা হঠাৎ করে কেমন গম্ভীর হয়ে গেলেন। মিতু অবাক হল। এ কেমন লোকজন! ভালবাসবে ঠিক আছে। পছন্দ হবে ঠিক আছে। কিন্তু বিয়ের কথা বললেই মুখ অন্ধকার। নিরবের মা তখন বলে চলেছেন, নিরব যদি সত্যি সত্যি তোমাকে ভালবেসে থাকে তাহলে কখনোই সে তোমাকে বিয়ে করতে চাইবে না, কখনো না। মিতু ইলেক্ট্রিক শকের মত খেল। এরপরে সে যা শুনতে থাকল তার কতটুকু মাথায় গেল বা বুঝতে পারল তা সে নিজেই জানে না।

৩।
আজকে নিরব-মিতুর বাসর রাত। ফুলে ফুলে সাজানো বিছানার ঠিক মাঝখানে মিতুর কোলে শুয়ে আছে নিরব।
- মিতু, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
- ঘুমাও, আমি কি তোমাকে ডিস্টার্ব করছি?
- নাহ, কিন্তু কেমন যেন টেনশন হচ্ছে। ঘুমিয়ে পড়লে যদি কিছু হয়ে যায়!
- বুদ্ধু কোথাকার! আমি কি তোমাকে ছেড়ে পালায় যাব?
- নাহ সেটা না। কারো হাত ধরে পালায় যাবার মতন তোমার কেউ নাই।
- আর ইউ শিউর?
- আই এম ড্যামন শিউর। নাহলে এত ভয় দেখানোর পরেও তুমি আমাকে বিয়ে করতে না।
- ইয়েস বুদ্ধু, আমি সারাজীবনেও তোমাকে ছেড়ে যাব না। তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাইতে পার।
- তবু টেনশন হচ্ছে।
এইবার মিতু বিরক্ত হল। সে কোল থেকে নিরবকে ফেলে দিল। তোমাকে এত আদর সোহাগ করে লাভ নাই। ভীতুর ডিম কোথাকার!
কারেন্ট চলে গেল। উফ, এত রাতে লোডশেডিং? অসহ্য! – মিতু বিরক্ত হয়ে বলে।
নিরব একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে ছোট্ট টেবিলের মাঝখানে রেখে দেয়। কি মায়াবী পরিবেশ, তাইনা মিতু? এক্কেবারে পারফেক্ট বাসর রাত।
মায়াবী না ছাই! এমনিতেই গরম লাগছিল। আর এখন কারেন্ট চলে গেল। উফ!
কারেন্ট চলে যাওয়ায় নিরব উৎফুল্ল। তার সাহস কিছু বেড়েছে অন্ধকারে। সে বউ এর পাশে এসে বসে। এই শাড়ী-ভারী গহনা পরে থাকলে গরম তো লাগবেই। এগুলো কি দরকার! আমি হেল্প করব?
চুপ, একদম চুপ। আমাকে টাচ করবা না।
নিরব হাসতে হাসতে আরো কাছে আসে, আচ্ছা বাবা আমি তোমাকে টাচ করবো না, কিন্তু তুমি আমাকে করতে পারো। কোন অসুবিধা নাই।
ইস, শখ কত? এই চলোতো। আমার ভাল লাগতেছে না। চলো তোমাদের ছাদে যাই।
আচমকা আবার ভয়টা ফিরে আসে নিরবের মধ্যে। সে ভুলেই গেছিল সবকিছু।
না, ছাদে যাওয়া যাবে না। ছাদ তেমন একটা ইউজ হয় না।
মানে কি? তুমি ছাদে যাও না? তাহলে রাতে মোবাইলে কথা বলার সময় আমি যখন জিজ্ঞেস করি, কি করো, তখন তুমি বলো, চাঁদ দেখি, তারা দেখি। এগুলো সব ভুয়া? আমার সাথে চাপা মারছ? এত বড় সাহস! আমাকে চাঁদ-তারার কথা বলে রোমান্টিক সাজা, ব্লাকমেইল?
আরে না, প্লিজ লক্ষী হয়ে বসো। আমি বুঝায়ে বলতেছি। আমি ছাদে যাই মাঝে মধ্যে একা। ছাদের একাংশে রেলিং নাই। তাছাড়া সন্ধ্যায় বৃষ্টিতে পিছলা হয়ে আছে।
ওহ, এতক্ষণে বুঝছি। তোমার ভয় আবার ফিরে এসেছে। উফ অসহ্য। তুমি কি চাও এখানে দম বন্ধ হয়ে আমি মারা যাই? না চাইলে আমাকে এখনি ছাদে নিয়ে চলো।

৪।
এক মুঠো স্বপ্ন চেয়ে, হাত বাড়িয়েছিলাম
জীবন ছিল বড় বেরঙ, সুর হারিয়েছিলাম
আলোর দিশা হয়ে তুমি এলে, আমি বদলে গেলাম
কত রাত জাগা, কত দিন গোনা
সেই নতুন ভোরের আশায়
সুর সেধেছি, গান বেঁধেছি
আজ এলে তুমি তাই ...


অমাবস্যার রাত। জোছনা রাত হলে ভাল হত, রোমান্টিকতার স্বর্গ নেমে আসত। কিন্তু নিরব চাঁদের দিনক্ষণ গুনে বিয়ে করেনি। তার কোন প্লান ছিল না বাসর রাতে বউকে নিয়ে ছাদে ঘোরাঘুরি করার। সে কিঞ্চিত বিমর্ষ আর একরাশ অজানা আতংক নিয়ে মিতুর হাত ধরে হাঁটছে। হঠাৎ মিতু খিলখিল করে হেসে উঠল।

কি ব্যাপার, হাসছে যে?
হাসছি তোমার ভয়ের কথা ভেবে। আমার এখন নিজেকে নাটক সিনেমার নায়িকার রোল করছি বলে মনে হচ্ছে। আচ্ছা তুমি এক কাজ কর। তোমার জীবন কাহিনী নিয়ে একটা স্ক্রিপ্ট লিখে কোন পরিচালকের কাছে দিয়ে দাও। জম্পেশ ঈদের নাটক হবে।
ধুরো, রসিকতা করো না।
উহু কোন রসিকতা না। আই এম সিরিয়াস। কালকেই লিখতে বসবো। তুমি আবার গোড়া থেকে সবকিছু আমাকে বলো, আগে যা বলেছ আমি কিছুই মাথায় ঢুকাইনি।
সত্যি শুনবে আবার?
হুমমম।

আমার প্রথম স্ত্রী সোহানা। সোহানার সাথে বিয়ে একদম হঠাত করে। মা একদিন একটা মেয়ের ছবি দেখাল। অসম্ভব সুন্দরী। মনে হল মডেল হবার জন্য ফটোসেশন করেছে। এত সুন্দরী যে আমি প্রেমে পড়ে গেলাম।
আমার থেকেও সুন্দরী?

হু বলতে পারব না। আমার আসলে মনে নেই। চেহারা ভুলে গেছি।
বুঝছি তুমি খুব চালাক হয়েছ। আচ্ছা যাও কন্টিনিউ করো।
ভার্সিটি লাইফে আমার কোন এফেয়ার ছিল না। মা যখন বলল, বিয়ে করবি এই মেয়েকে? আমি দাঁত বের করে বললাম, বিয়ে যখন আগে পরে করতেই হবে তাহলে করে ফেলি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ের দিনের আগ পর্যন্ত আমি সোহানাকে সামনা সামনি দেখি নি, কোন কথা হয়নি। শুনলাম মেয়ে ও আমার ছবি/বায়োডাটা দেখে পছন্দ করেছে। নিজের চেহারাসুরত/প্রোফাইলে বিশেষ ভরসা পেলাম না। যোগাযোগের কোন উপায় না পেয়ে বেশ টেনশন নিয়ে বিয়ে করে ফেললাম। তারপর বাসর রাতে একদম বাংলা সিনেমার শুটিং।

সোহানা শাবনুরের পার্ট নিয়ে নিঁখুতভাবে বলল, আমি আমার ক্লাসমেট রিয়াজকে ভালবাসি। তারপরের ডায়লগগুলো সব অবিকল সিনেমা থেকে নেয়া। এখন তোমাকে আর বলতে ইচ্ছে করছে না। একটু স্মার্টলি যা বলল, ওর সাথে আমার সম্পর্কটা খুবই গভীর হয়ে গেছে। কিরকম গভীর সেটা আশা করি আপনাকে বুঝায়ে বলতে হবে না।
আমি বুদ্ধু টাইপের হলেও ইংগিতটা বুঝলাম, মনে মনে প্রস্তুতি নিলাম। আর যাই হোক সোফায় বা ফ্লোরে ঘুমাতে পারব না। বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে রাতটা কাটায় দিতে হবে।

ফোন দিয়ে ওর বয়ফ্রেন্ডকে ভোরবেলা আসতে বললাম। ওদের কক্সবাজার পালায়ে যাওয়ার সব ব্যবস্থা করে দেই। দুইদিন নেটওয়ার্কের বাইরে গিয়ে আবার ফিরে আসলে ফ্যামিলি মেনে নেবে তিনজনে একমত হই। বাকী রাত সোহানার সাথে বিছানায় পাশাপাশি বসে গল্প করি। প্রেমের অভিজ্ঞতা না থাকতে পারে, প্রেমের গল্প শুনতে আমার ভাল লাগে। চমতকার একটা বন্ধুত্ব হয়ে গেল আমাদের মাঝে। সকাল বেলা যখন বাসার সবাইকে না জানিয়ে ওর বয়ফ্রেন্ডের বাইকে তুলে দিলাম, আমার একবিন্দু খারাপ লাগেনি। বরং মনে হল, শাকিব খানের থেকে আমি যথেষ্ট স্মার্ট।

ঝামেলা শুরু হল দুপুর বেলা থেকে। সোহানার বাসা থেকে ফোনে তাকে পাচ্ছে না। পাওয়ার কথাও না। আমাদের বাসায় ফোন আসলে মা ইচ্ছামত কথা শুনায়ে দিল যে তার ছেলের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে, মা কেস করবেন। সবকিছু দেখে আমি হাসতে থাকি। বাসার লোকজন মনে করল দুঃখ অপমানে আমি পাগল হয়ে গেছি। কিন্তু পাগল হবার দশা হল সন্ধ্যাবেলায়। পুলিশ চলে আসল আমাদের বাসায়, আমরা মেয়ে গুম করেছি কিনা দেখতে। সোহানা আর তার বয়ফ্রেন্ডের ফ্যামিলি কেউ তাদের খোঁজ পাচ্ছে না। পরদিন পুলিশ খুঁজে পেল তাদের লাশ। আগেরদিন রোড এক্সিডেন্ট হয়েছিল ঢাকা-চিটাগাং হাইওয়েতে। স্পটডেড হয়েছে চব্বিশজন।

হুম ভেরী স্যাড। মিতু হাটঁতে হাঁটতে বলে, আচ্ছা এতে তোমার নিজেকে অপরাধী ভাবার কারণ কি?
অপরাধী ভাবার কিছু ছিল না যদি সোহানা আর তার বয়ফ্রেন্ড তাদের ফ্যামিলির কাছে ফিরে যেতে পারত। কিন্তু রোড এক্সিডেন্ট হয়ে মারা যাবার পর নিজেকেই দোষী মনে হল আমার। খুব বিমর্ষ হয়ে পড়লাম। শুধু মনে হত আমার জন্য সোহানা মারা গেল। আমি মনে হয় কাউকে ধরে রাখতে পারব না।

তারপর?
তারপর আমি খুব একলা থাকতাম, বিষণ্ণ। মাস ছয়েক পরে আমার এক ক্লাসমেট কাম কলিগের সাথে ভাল বন্ধুত্ব হল। ওর নাম রূপা। আশ্চর্যের বিষয় হল, পাঁচবছর একসাথে ক্লাস করলেও আমাদের মাঝে কখনো কথা হয়নি। এক বছর চাকরি করতে করতে মনে হল, এই মেয়েকে আমি অসম্ভব ভালবাসি, তাকে ছাড়া আমার চলবে না। রূপাও আমাকে ভালবেসে বিয়েতে রাজী হল।

এক সাথে অফিস করা, তারপর বাসায় ফিরে এক সাথে রান্না করা, ছুটির দিনে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের মেনু টেস্ট করা, আমাদের দিনগুলো কাটছিল স্বপ্নের মতন। নেপালের পোখারায় গেলাম ঘুরতে। সেখানে গিয়ে রূপা প্রথমবারের মত ভীষন অসুস্থ হয়ে গেল। এর আগে রাতে রাতে জ্বর থাকত, ছোটখাট অসুস্থতা থাকত। দেশে ফিরে সবকিছু টেস্ট করে রূপার অসুখটা জানতে পারি।

মিতু বিশ্বাস কর, আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছি, জান দিয়ে ভালবেসেছি। তবু রূপাকে বাঁচাতে পারি নি, আমি আমার ভালবাসাকে ধরে রাখতে পারিনি।


৫।
অমাবস্যার নিকষ অন্ধকারে এক ভালবাসার কাঙ্গাল যুবক কাঁদতে থাকে। নিজের জীবনের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে নিরবের খেয়াল নেই কখন সে মিতুর হাত ছেড়ে দিয়েছে, তারা কোথায় আছে। হঠাত সম্বিত ফিরে পেয়ে নিরব আশপাশে মিতুকে খুঁজতে থাকে। বুকের মধ্যে ভয়ংকর আতংক ফিরে আসে। মিতুকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। খেয়াল করে নিরব দেখে, গল্প করতে করতে হাঁটতে হাঁটতে তারা ছাদের ওইদিকে দাঁড়িয়ে আছে যেদিকে রেলিং নেই।

নিরব চিৎকার করে, মিতু তুমি কই? মিতু তুমি কই? মিতু!!!

মিতু অন্ধকারের মধ্যে থেকে এসে নিরবকে জড়িয়ে ধরে, এই যে আমি এখানে। তোমাকে একটু ভয় দেখাইছি।
নিরব জোরে মিতুকে চেপে ধরে, আমাকে মেরে ফেলতে চাও তুমি? মেরে ফেলতে চাও?
উত্তর শুনার অপেক্ষায় না থেকে চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দেয় মিতুকে। এক লক্ষ চুমু, দুই লক্ষ চুমু … অনন্ত কাল ধরে চুমু …



সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫২
২২টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×