somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আকাশলীনা] ১৬ :: ভিন্ন আয়োজনে অন্য সাময়িকী

২২ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আকাশলীনা]
কার্তিক ১৪১৮ :: অক্টোবর ২০১১ :: বর্ষ ০২ :: সংখ্যা ০৪
----------------------------------------------------------------------------------
:: পাঠ-পূর্বক বিজ্ঞপ্তি ::
আকাশলীনা- এটি একটি ছোট পত্রিকা।
তবে, বন্ধুকে কাছে পাওয়া, বন্ধুর সঙ্গে থাকা; গান-সিনেমা-বই; আড্ডা আর গল্পে মজতেই আকাশলীনা-র জন্ম।
বন্ধুর কাছে মনের কথা বলার মূলমন্ত্র নিয়ে এর যাত্রা শুরু হলেও, এখন এটি মুক্ত প্রাণ আর স্বপ্নের সোপানের প্রত্যাশী।
প্রতি বাংলা মাসের প্রথম সপ্তাহে মুদ্রণ কাগজে এটি প্রকাশিত হয়। বলা যেতে পারে, সাদাকালোয় প্রকাশিত ২৪ পৃষ্ঠার এটি এক রঙিন স্বপ্নের গল্প!
যে কোনো বিষয়ে, যে কেউই লিখতে পারেন এখানে।
লেখক-পাঠক আর বন্ধুতার মেলবন্ধন সৃষ্টি করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
০২.
এখানে মূল পত্রিকার বর্তমান সংখ্যাটি অনলাইন পাঠকদের জন্য সরবারাহ করা হয়েছে। ভালোলাগা-মন্দলাগা বিষয়ে যে কেউই মন্তব্য করতে পারেন।
পত্রিকাটির মুদ্রিত কপি নিয়মিত পেতে চাইলে; ফোন নম্বরসহ ডাক-ঠিকানা লিখে জানাতে পারেন। নতুন সংখ্যা প্রকাশের পরপরই পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়...
আমাদের সম্পাদনা পরিচিতি এবং সরাসরি যোগাযোগ করার ঠিকানা এই লেখার নিচে উল্লেখ আছে।
ধন্যবাদ। -সম্পাদক।
----------------------------------------------------------------------------------
মূল পত্রিকা এখান থেকে শুরু-
----------------------------------------------------------------------------------
:: সম্পাদকীয় ::
সুইডিশ নোবেল কমিটি স্বদেশি কবি টোমাস ট্রান্সট্রোমারকে দীর্ঘ ১৫ বছর পর পুরস্কৃত করায়, আন্তর্জাতিক সাহিত্যমহল এবার দারুণ খুশি। ট্রান্সটোমার তাঁর কাব্যভাষা দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, শুদ্ধতম ও নান্দনিক প্রকাশই হলো কবিতা। ভাষা যেমন জনগণের সম্পদ; তেমনই এই সম্পদের দীনহীন হলে ভাষা তার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলবে। তাই সৃষ্টিশীল জগৎকে বাঁচিয়ে রাখতে সম্মাননার গুরুত্ব কম নয়।
আকাশলীনা-র এই ক্ষুদ্র আয়োজনের মধ্য দিয়ে কবিকে তাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
০২.
জীবনানন্দ দাশ- এককথায় তাঁকে নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই! তাঁকে নিয়ে যা বলার, তা হয়তো সমগ্রই হবে!
তবু, জীবননান্দের কাছে আমাদের আজন্ম ঋণ। আকাশলীনা তাঁরই কবিতার শিরোনাম। শ্রদ্ধাঞ্জলি-স্বরূপ, উচিত ছিলো, এ সংখ্যার পুরো আয়োজনই তাঁকে নিয়ে করে ফেলা।
জানি যে, এ ক্ষুদ্র আয়োজন জীবননান্দ ভক্তদের আকুলতা কোনোভাবেই মেটাতে পারবে না। তাই তাঁদের কাছে শুরুতেই ক্ষমা প্রার্থনা।
০৩.
শরৎ বিদায় নিয়েছে।
হেমন্ত এসে গেছে হিমেল পরশ বুলাতে...
শহুরে মানুষদের টের পাবার কথা নয়; গ্রামে, প্রকৃতির কাছাকাছি থাকেন যাঁরা- তাঁরা নিশ্চয় এরই মধ্যে প্রকৃতির এই নীরব পরিবর্তনটুকুন ধরতে পেরেছেন।
হুম... তাহলে আর দেরি কেনো? আকাশলীনা-র আগামী সংখ্যার জন্য হেমন্ত বিষয়ক যে কোনো প্রকারের গদ্য-পদ্য-অভিজ্ঞতা লিখে ফেলুন।
০৪.
ভালো হোক সবার- আমাদের সঙ্গে থাকুন...
----------------------------------------------------------------------------------
:: সাহিত্যের নোবেল ::
কবিতাতেই বিশ্ব জয়
আবদুর রব

সাহিত্যে ২০১১ নোবেল বিজয়ী সুইডেনের কবি ও মনস্তাত্ত্বিক টোমাস ট্রান্সট্রোমার প্রমাণ করলেন যে, শুধু কবিতা লিখেই টিকে থাকা যায়। জয় করা যায় বিশ্বকে। ১৯৯৩ সাল থেকে বারবার নোবেল কমিটির বিবেচনায় আসলেও, নিজ দেশের এই মহামূল্যবান পুরস্কারটি হাতে পেতে তাঁর লেগে গেলো আরো প্রায় দুই দশক!
ট্রান্সট্রোমার ১৯৩১ সালের ১৫ এপ্রিল স্টকহোমে জন্ম গ্রহণ করেন। কাজ করতেন কিশোর অপরাধী, মাদকাসক্ত ও প্রতিবন্ধীদের জন্য। কর্মক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করতেন তিনি। বাকি সময়টা দুহাত ভরে লিখেছেন। কবিতা। তবে শুধু কবিতা নয়, অনুবাদ ও অন্যান্য রচনাও আছে তাঁর। পৃথিবীর ৬০টি ভাষায় তাঁর লেখা অনূদিত হয়েছে। তাঁর লেখার বৈশিষ্ট এমন যে, শুধু কবিতা পাঠক নয়- সাধারণ মানুষও তাতে আকৃষ্ট হয়। কোনো কঠিন শব্দ নয় তবু কী যেনো ঘটে, ভিন্ন এক মাত্রা যোগ হয় তাতে। তাঁর কবিতার ব্যাপক অনুবাদ ও আলোচনা করে অ্যামেরিকাসহ সারাবিশ্বে তাঁকে তুলে ধরেছেন তাঁরই কবি বন্ধু রবার্ট ব্লাই।
মানুষের মনের অপার রহস্য তাঁর কবিতার উপজীব্য। অধিকাংশ সময় নিজের অভিজ্ঞতার সাথে সঙ্গীত আর প্রকৃতির রূপের সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে তাঁর কবিতা। ইতিহাস, অস্তিত্বের প্রশ্ন আর মৃত্যু নিয়ে লিখেছেন তিনি। একজন সুইডিশ সমালোচক বলেন- তাঁর কবিতা যেনো ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থনা।
বিনয়ী, ভণিতাহীন ট্রান্সট্রোমার সব সময় রাজনৈতিকে বিতর্ক এড়িয়ে চলেছেন, থেকেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে।
১৯৯০ সালে স্ট্রোক হবার পর, স্ত্রী মনিকার সাহায্য নিয়ে লেখালেখি করলেও, বর্তমানে আংশিক প্যারালাইসিসে ভুগতে থাকায় তাঁর লেখার পরিমাণ একদম কমে গেছে। তবে তিনি থেমে যাওয়ার পাত্র নন। এক হাতে প্রতিদিন পিয়ানো বাজান। ক্ল্যাসিক্যাল সুরের ঝড় তোলেন তাঁর পিয়ানোতে। আশি বছর বয়সী কবি ট্রান্সট্রোমার, টিভিতে স্ত্রীর সাথে বসে নোবেল পুরস্কারের অনুষ্ঠান দেখার প্রস্তুতি নেয়ার সময়, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফোনকল পেলেন। তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি দুই শব্দে বললেন, ‘ভেরি গুড।’ []
-----------------------------------------------------------------------------
:: প্রচ্ছদ রচনা ::
জীবনানন্দ কি সুরঞ্জনার পথে হেঁটেছিলেন?
পাভেল চৌধুরী

[১৪ অক্টোবর ১৯৫৪-এ কোলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দুর্ঘটনায় জীবনানন্দ দাশ আহত হন। ট্রামের ক্যাচারে আটকে তাঁর শরীর দলিত হয়ে গিয়েছিলো। ভেঙ্গে গিয়েছিলো কণ্ঠা-ঊরু এবং পাঁজরের হাড়। গুরতরভাবে আহত জীবনানন্দের চিৎকার শুনে ছুটে এসে নিকটস্থ চায়ের দোকানের মালিক চূণীলাল এবং অন্যান্যরা তাঁকে উদ্ধার করেন।
তাঁকে ভর্তি করা হয় শম্ভূনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। এ সময় ডা. ভূমেন্দ্র গুহ-সহ অনেক তরুণ কবি জীবনানন্দের সুচিকিৎসার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন। কবি-সাহিত্যিক সজনীকান্ত দাশ এ ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর অনুরোধেই পশ্চিম বঙ্গের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায় কবিকে দেখতে এসেছিলেন এবং আহত কবির সুচিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছিলেন; যদিও এতে চিকিৎসার তেমন উন্নতি কিছু হয়নি। এ সময় স্ত্রী লাবণ্য দাশকে কদাচিৎ কাছে দেখা যায়। তিনি টালিগঞ্জে সিনেমার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
জীবনানন্দের অবস্থা ক্রমশ জটিল হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন কবি। চিকিৎসক ও সেবিকাদের সকল প্রচেষ্টা বিফলে দিয়ে ২২ অক্টোবর ১৯৫৪-এর রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে কোলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।]
প্রিয় পাঠক, বাংলা সাহিত্যের এই প্রকৃতি ও প্রেমের কবি, নিজের কবিতার বই ধূসর পাণ্ডলিপি-র মতোনই অধরা-অস্পষ্ট এবং ধূসর থেকে গেলেন আমাদের কাছে। তাঁর মৃত্যুর প্রায় ৫৭ বছর পরও, আজও তিনি রহস্যে ঘেরা, পুরোপুরি উন্মোচিত নন। তবু, এই মৃত্যুদিনে কবির প্রতি আজন্ম শ্রদ্ধা। তাঁকে নিয়ে আমাদের এবারের বিশেষ প্রচ্ছদ রচনাটি পড়–ন পরবর্তী পৃষ্ঠা থেকে। -সম্পাদক

যুগে যুগে যাঁরা এই জাতিকে শিল্প-সাহিত্য আর কৃষ্টি-কলায় সমৃদ্ধ করে গেছেন, তাঁরা আর কেউ নয়- আমাদের পূর্বসূরি, গর্ব এবং অহংকার। এঁদের কেউ কেউ সহসাই প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন আবার কেউ কেউ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মরনোত্তরে। প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশ ঠিক এমনই একজন কবি, যিনি আমাদের জন্য রেখেছেন এক বিশাল সাহিত্য সম্ভার।
তিনি কি জানতেন, কোনো একদিন তাঁর কবিতা বাংলা সাহিত্যের সম্ভারকে সমৃদ্ধশালি করবে! হয়তো জানতেন, নীরবেই গেয়ে গেছেন আমাদের জন্য বাংলার রূপের কথা, শালিক-দোয়েল আর ময়না-টিয়াদের কথা। প্রেমের কথা লিখতে গিয়ে বলেছেন সুরঞ্জনার কথা। আমরা কি তাঁর মতো এতো সাবলীল ভাষায় আমাদের মনের কথাগুলি বলতে পারবো! আমরা কি তাঁর মতো বাংলার ক্ষেত-ফসল আর মাঠের কথা লিখতে পারবো! আমরা কি তাঁর মতো শিশু সরল হতে পারবো!
১৯৩৫ সালে জীবনানন্দ দাশ তাঁর পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রজমোজন কলেজে ফিরে যান, যা তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিলো। তিনি সেখানকার ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। সে সময়ে কোলকাতায় বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র এবং সমর সেন একটি আনকোরা নতুন কবিতাপত্রিকা বের করার তোড়জোড় করছিলেন, যার নাম দেয়া হয়- কবিতা। পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যাতেই জীবনানন্দের একটি কবিতা স্থান করে নেয়, নাম ছিলো মৃত্যুর আগে।
কবিতাটি পাঠ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বুদ্ধদেবকে লেখা একটি চিঠিতে মন্তব্য করেন- কবিতাটি চিত্ররূপময়। কবিতা পত্রিকার দ্বিতীয় সংখ্যাতে, পৌষ ১৩৪২/ডিসেম্বর ১৯৩৪-জানুয়ারি ১৯৩৫ সংখ্যায়, তাঁর কিংবদন্তিতুল্য বনলতা সেন কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এই আঠারো লাইনের কবিতাটি বর্তমানে বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতার অন্যতম হিসেবে বিবেচিত। পরের বছর জীবনানন্দের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ধূসর পাণ্ডলিপি প্রকাশিত হয়। জীবনানন্দ দাশ এর মধ্যেই বরিশালে সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছিলেন। ১৯৩৬-এর নভেম্বরে তাঁর পুত্র সমরানন্দের জন্ম হয়। ১৯৩৮ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটা কবিতা সংকলন সম্পাদনা করেন, নাম ছিলো বাংলা কাব্য পরিচয় এবং এতে জীবনানন্দের মৃত্যুর আগে কবিতাটি স্থান পায়। ১৯৩৯ সালে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কবিতা সংকলন প্রকাশিত হয় আবু সয়ীদ আইয়ুব ও হিরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদনায়; এতে জীবনানন্দের চারটি কবিতা- পাখিরা, শকুন, বনলতা সেন এবং নগ্ন নির্জন হাত অন্তুর্ভুক্ত হয়। ১৯৪২ সালে কবির পিতৃবিয়োগ হয় এবং ওই বছরেই তাঁর তৃতীয় কবিতাগ্রন্থ বনলতা সেন প্রকাশিত হয়। বইটি বুদ্ধদেব বসুর কবিতা-ভবন হতে এক পয়সায় একটি সিরিজের অংশ হিসেবে প্রকাশিত হয় এবং এর পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিলো ষোলো। বুদ্ধদেব বসু ছিলেন জীবনানন্দের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক এবং তাঁর সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় জীবনানন্দের বহু সংখ্যক কবিতা ছাপান। ১৯৪৪ সালে তাঁর চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ মহাপৃথিবী প্রকাশিত হয়। এর আগের তিনটি কাব্যগ্রন্থ তাঁকে নিজের পয়সায় প্রকাশ করতে হয়েছিলো, তবে মহাপৃথিবী-র জন্যে প্রকাশক পেয়ে যান তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে প্রকাশিত এই কবিতাগুচ্ছে যুদ্ধের ছাপই ছিলো বেশি স্পষ্ট।
০২.
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন প্রবল হয়ে ওঠে। জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম নেতৃবৃন্দ মুসলমানদের জন্যে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানান। এর ফলে বাংলা দ্বিখণ্ডিত হওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে; কারণ এর পূর্ব অংশ ছিলো মুসলমান সংখ্যাপ্রধান আর পশ্চিমাংশে হিন্দুরা ছিলো সংখ্যাগুরু। ১৯৪৭-এর দেশভাগ পূর্ববর্তী ওই সময়টিতে বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বিভৎস রূপে দেখা দেয়। জীবনানন্দ সব সময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সপক্ষে সোচ্চার ছিলেন। কোলকাতায় যখন ১৯৪৬ সালে আবার হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে, কবি তখন লেখেন ১৯৪৬-৪৭ কবিতাটি। দেশ ভাগের কিছু আগে তিনি বিএম কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে কোলকাতায় চলে যান। পরে তিনি আর পূর্ববঙ্গে ফিরে যাননি। কোলকাতায় তিনি দৈনিক স্বরাজ পত্রিকার রোববারের সাহিত্য বিভাগের সম্পাদনা করেন কয়েক মাস। ১৯৪৮ সালে তিনি দুটি উপন্যাস লিখেছিলেন- মাল্যবান ও সুতীর্থ, তবে আগেরগুলোর মতো এ দুটিও প্রকাশ করেননি। একই বছরের ডিসেম্বরে তাঁর পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ সাতটি তারার তিমির প্রকাশিত হয়। একই মাসে কোলকাতায় তাঁর মা কুসুমকুমারী দাশের
জীবনাবসান ঘটে। ইতোমধ্যেই জীবনানন্দ কোলকাতার সাহিত্য সমাজে নিজস্ব একটি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিলেন। তিনি, সমকালীন সাহিত্যকেন্দ্র নামে একটি সংস্থার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এই সংস্থার মুখপত্র দ্বন্দ্ব পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৫২ সালে তাঁর জনপ্রিয় কবিতার বই বনলতা সেন সিগনেট প্রেস কর্তৃক পরিবর্ধিত আকারে প্রকাশিত হয়। বইটি পাঠকানুকূল্য লাভ করে এবং নিখিল বঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলন-কর্তৃক ঘোষিত রবীন্দ্র-স্মৃতি পুরস্কার জয় করেন। ১৯৫৪ সালে মে মাসে প্রকাশিত হয় জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা। বইটি ১৯৫৫ সালে ভারত সরকারের সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার লাভ করে।
০৩.
সুরঞ্জনাকে ওই যুবকের সাথে কথা বলতে বারণ করেছিলেন জীবনানন্দ দাশ। তবে তিনি নিজে কি বলেছিলেন দু-একটি কথা? হতে পারে! কাঙ্ক্ষিত নারীর প্রতি পুরুষ মনের চিরন্তন আকুতি এটা। মানব পুরুষের কাছে তাঁর এই আকুতির আবেদনের অর্থ অগম্য নয়, বোধগম্য। কারণ, সঙ্গিবিহীন পুরুষও বোঝে ওই যুবকের সাথে কথা বললে মনে কতোটা চোট লাগে- নারীর কাছেও পরুষের এই আকুতি অপরিচিত নয়।
কে এই সুরঞ্জনা- প্রেমিকা, না দেশের কথা বলছেন জীবনানন্দ দাশ? একবারে মনে হয় এক নারীর কথা বলছেন, আবার মনে হয়- না, বাংলার কথা বলেছেন! এমন সুন্দর করে কেউ তাঁর প্রেয়সীর কথা বলতে পারে! জীবনানন্দের স্বভাব-প্রকৃতি বিবেচনায় অমরা ধারণা করতে পারি- কবিতাটিতে রূপসী বাংলার কথাই বলতে চেয়েছেন কবি। বাংলাই ছিলো তাঁর প্রেম-ভালোবাসা। আমারা কি তাঁর মতো প্রেয়সীর কথা বলতে পারবো! []
----------------------------------------------------------------------------------
:: কবিতা ::
অনন্তলোক
হোসাইন মোহাম্মদ সাগর

স্বপ্নচারী মানুষগুলো পঞ্চভূত হয়ে মিলিয়ে যায়,
অনন্তযাত্রা লুপ্তির চেতনায় হয় অনন্তলোক।
তখন সময় পালায় দূরে; বহুদূরে...
বৃষ্টির আঁচ ঘেঁষে নদীর দিকে তাকায়,
শ্রাবণের ক্যামেরায় ধরা পড়ে জলের কর্তন।
অসূর্যস্পর্শা বাণী ঝলসে দেয় একছত্র অধিকার
সেই মৃতপ্রায় নদীর সামান্য লালচে পানিতে।
এ সুড়ঙ্গ পৃথিবীর ক্ষয়িষ্ণু চর্চায়
ধ্বংসের শেষ সীমানায় এসে ঠেকেছি আমি,
পেছনে বৃষ্টির শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি
স্মৃতিতে সবুজের রয়াট লেগেছে। তাই
পঞ্চভূত হয়ে ধরা পড়ি ঝলসানো শ্রাবণের অনন্তলোকে।
::
আরশীনগর ভবন, কুষ্টিয়া
----------------------------------------------------------------------------------
:: গল্প ::
সুখীর সুখে থাকা
আশরাফুর রহমান

রিকশা থেকে নামলাম। রিকশাওয়ালাকে ভাড়া মেটাবার পর, হিপ পকেটে মানিব্যাগ ঢোকাচ্ছি- এ সময় একটা শীর্ণ হাত আমার বাম কাঁধ স্পর্শ করলো। ভাবলাম, ভিকিরি-টিকিরি কেউ হবে। বাস টার্মিনালে এদের উৎপাত খুবই স্বাভাবিক। তাই বিরক্তি নিয়ে পাশ ফিরে তাকাই। এলোমেলো নোংরা চুল, খোঁচাখোঁচা কাঁচা-পাকা দাড়ি, কোটরাগত লাল চোখ, ময়লা হাফ শার্ট গায়ে জড়িয়ে রেখে, আতার বিচির মতো দুপাটি দাঁত বের করে হাসিমুখে তাকিয়ে আছে আমার বাল্যবন্ধু ফারুক!
ফারুকের সাথে আনুমানিক আট বছর পর এই দেখা। এ আট বছরে ওর চেহারা এতো খারাপ হবে ভাবতে পারিনি। বয়েসে আমার সমান হলেও ওকে এখন একেবারে বৃদ্ধের মতো দেখাচ্ছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আরে ফারুক! কী খবর তোর? কোনখানে থাকিস?’
ফারুক হাসিমুখে বলে, ‘ওই যে স্টেশনের ওদিকে, বিহারি কলোনিতে।’
রাজশাহী আমার পরিচিত শহর হলেও কখনো যাইনি ওদিকে। শুনেছি যতোসব দুই নম্বরি কারবার ওদিকেই চলে। গাঁজা, ফেন্সিডির, মদ, হেরোইন- সবকিছুই।
আমি বললাম, ‘তোর সুখী কেমন আছে? তা এতোদিনে বাচ্চাকাচ্চা কয়টা হলো রে?’
বলে, ‘সুখীকে সুখে রাখতে পারলাম কই? বাচ্চাকাচ্চাও হলো না। চল না একবার আমার গরিবীখানায়? নিশ্চয় সুখী তোকে দেখলে খুব খশি হবে।’
আমি ওর এ ধরনের প্রতিত্যুরের আশাতেই ছিলাম। বলি, ‘চল তাহলে। কাছেই যখন বাসা- তো ঘুরে আসতে কি!’
হাঁটতে থাকলাম ফারুকের সঙ্গে। ল্যাম্পপোস্টের আবছায়া আলোয়, অনেক গলিঘুপচি পার হয়ে ফারুক নিয়ে গেলো ওর ডেরায়। ইটের দেয়ালে একচালা টিনের ঘর। ঘরের সামনে সরু উঠোন। বাঁশের চাটাই দিয়ে সামান্য একটু জায়গা তিনদিক থেকে ঘেরা। ঢোকার জায়গাতে চটের বস্তা টাঙিয়ে পর্দার কাজ চালানো হচ্ছে। বাইরের বারান্দায় হালকা ওয়াটের ইলেকট্রিক বাল্ব জ্বলছে। ঘরের দরজা বন্ধ বলে মনে হলো। ভেতরে টিভি চলছে। জি মিউজিক-এ হিন্দি ছায়াছবির গান- তুতু-তু তুতু-তারা, তোড়ানা দিল হামারা... জুহি চাওলা আর ঋষি কাপুরের সেই অমর গান।
‘সুখী, এই সুখী, দ্যাখ কাকে এনেছি।’ বলে ফারুক জোরে ডাক দেয়।
ভেতর থেকে টিভির শব্দে কমে যায়। চড়া গলায় সুখীর কণ্ঠ ভেসে আসে, ‘আমি এখন বের হতে পারবো না। শরীর খারাপ।’
ফারুক বললো, ‘একবার বের হয়েই দেখ না, সুখী। আমাদের ক্লাসমেট আশরাফ এসেছে তোর সঙ্গে দেখা করতে।’
কিছুক্ষণ নীরবতা। আস্তে দরজা খোলার শব্দ হলো। ঘর থেকে বেরিয়ে আসে একজন মধ্যবয়সী নারী। মুখে অসংখ্য ব্রণের কালো দাগ। চেহারা কুৎসিত।
‘ক্যান আনলি ওকে এখানে? বন্ধুকে আমার রাজপ্রসাদ দেখাতে এনেছিস?’
‘কি বাজে বখছিস, সুখী? বহুদিন পর দেখা হলো- তাই তোর সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে এলাম।’
‘ঠিক আছে, নিয়ে আয় ওকে ভেতরে।’
ফারুকের সঙ্গে সুখীর তুই-তোকারি শুনে খারাপই লাগে আমার।
ফারুক আর সুখীসহ আমরা একসঙ্গে লেখাপড়া করতাম। এসএসসি পরীক্ষার পর, ফল বের হবার আগেই সুখীকে নিয়ে গিয়ে ফারুক পালিয়ে বিয়ে করলো। কিছুদিন পর পরীক্ষার ফল বের হয়; ফারুক ফেল করলেও সুখী তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। অন্যদিকে সুখীর পরিবার এ বিয়ে মেনে নিতে চায় না। ফারুক বিয়ের দুবছর পরই, ওর উত্তরাধিকারে প্রাপ্ত সামান্য জমি-জিরেত বিকি করে রাজশাহী শহরে চলে আসে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায়।
ছোট ঘরটার নিচু দরজা গলে আমরা ভিতরে ঢুকলাম। ঘরটা ছোট্ট হলেও, বেশ ছিমছাম আর সাজানো। একটা খাট, ড্রেসিং টেবিল, আলনা ও অন্যান্য জিনিসপত্রে পুরো ঘরটাই ঠাঁসা। টেবিলের উপর একটা সাদাকালো টেলিভিশন আছে। ড্রেসিং টেবিলে ট্যালকম পাউডার, ফেয়ারনেস ক্রিম, চিরুণী, চুলের ব্যান্ড আর সেফটিপিন ছড়ানো।
আমি সুখীর দিকে তাকালাম। সুখী খাটের একপাশের বাজু ধরে নির্বাক দাঁড়িয়ে।
সুখীর বয়স নিশ্চয় এখন চল্লিশের কাছাকাছি। তবু ওকে দেখে শীহরিত হলাম। শরীর এখনো বেশ মজবুত। সুতির শাড়ি পরেছে সে আজ। গায়ে নকশা করা ভয়েল কাপড়ের নীল ব্লাউজ... দীঘল শরীর থেকে লাবন্য যেনো চুয়ে চুয়ে পড়ছে।
সুখীর মুখে কোনো কথা নেই। আমিও কিছু বলতে পারছি না।
তবে শেষ পর্যন্ত সুখীই নীরবতা ভাঙে। বলে, ‘কেমন আছো তুমি? তোমার ছেলে-মেয়ে কয়টা?’
আমি সংক্ষেপেই উত্তর দিই।
সুখী আমাকে খাটে বসতে বলে। ফারুক একটা চেয়ার টেনে পাশেই বসে। সুখী তখনো একই ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে।
‘তুই আজ আমাদের এখানে ডাল-ভাত খেয়ে যাবি।‘ ফারুকের আমন্ত্রণ।
আমি বললাম, ‘বড়জোর এখানে রাত আটটা পর্যন্ত থাকতে পারবো। আমাকে আজ যেতেই হবে রে, কাল সকালে অফিস। আরেকদিন এসে তোদের সঙ্গে খাবো।’
ফারুক সুখীকে ইশারায় বাহিরে নিয়ে যায়। তারপর দুজনই ফিরে এলে; ফারুক বললো, ‘তুই সুখীর সঙ্গে গল্প কর। আমি একটু আসছি।’
সুখী পাশে এসে বসেছিলো। ঠিক এ সময়েই একটা মাতাল লোক বাহিরে থেকে চিৎকার করতে করতে ছুটে আসে। দরজাটা তখনো আধখোলা ছিলো। লোকটা, ‘সুখী ভাবী, সুখী ভাবী,’ করতে করতে যখন দরজায় এসে থামে; তারপর আমাদের দুজনকে দেখে চমকে ওঠে! বলে, ‘যাহ বাবা! সুখীর ঘরে দেখি নতুন মাল!’
তারপরই আবার বিড়বিড় করতে করতে চলে যায়। তবে অষ্পষ্টভাবে হলেও, শেষ মুহূর্তে শুনতে পেলাম লোকটার আরো কিছু কথা, ‘শালা! আজ কপালটাই খারাপ...’
‘ফারুকের অবস্থা এতো খারাপ কেনো?’ এ কথা বলতেই সুখীর দুচোখ বেয়ে ক-ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলে, ‘ওই নেশাখোরটাই আমার জীবনটাকে নষ্ট করে দিলো, আশরাফ! জীবনে ভুল করেছিলাম। এখন তার প্রায়শ্চিত্ত করছি।’
‘ফারুক তাহলে এখন আর কিছুই করছে না?’ অবাক হয়ে বললাম, ‘তাহলে তোমাদের সংসার চলছে কীভাবে?’
বোকার মতো আমার এ প্রশ্নে, সুখী যেনো একেবারে সাপের মতোই ফোঁস করে ওঠে। ‘কেনো! দেখতে পাচ্ছে না আমার এই অমূল্য সম্পদ- দেহ বেচে খাই।’
সুখী ফের বলে, ‘তুমি কিছুই বুঝতে পারোনি?’ তারপর খাটের বাজুতে কপাল ঠেকিয়ে হুঁ হুঁ করে কেঁদে ফেলে।
আমি কি করবো, ভেবে পাচ্ছিলাম না।
ফারুক এর কিছুক্ষণ পরই ফিরে আসে। হাতে জালির ব্যাগে ছোট বাক্স, বিস্কিটের প্যাকেট। সুখী একটা প্লেটে দুটো মিষ্টি আর কিছু বিস্কিট সাজিয়ে আমাকে খেতে দেয়। আমি মাথা নিচু রেখেই, একটা মিষ্টি মুখে তুলে নিলাম।
আর কিছু খেতে পারিনি।
অনেকটা সময় নির্বাক হয়ে কাটিয়ে দিই আমরা। তারপর একসময় উঠে দাঁড়িয়ে চলে যাবার কথা বলি। সুখী ও ফারুক বারবার অনুরোধ করতে থাকে রাতে খেয়ে যাবার জন্য।
বাহিরে এসে নির্লিপ্ত চোখে আরেকবার সুখীর দিকে তাকাই। ও শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মোছে। ওকে হাত নেড়ে বিদায় জানালাম আমি। বেচারি ঘরের বারান্দায় বাঁশের খুঁটি ধরে উদাস হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
ফারুক আমাকে বিহারি কলোনি হয়ে, স্টেশন পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেলো।
মনটা খারাপ হয়ে যায় আমার। সুখীর জন্য খুব কষ্ট হতে থাকে। ওদের জীবনের কথা ভেবে ব্যথিত হই।
রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেরার জন্য টিকিট কেটে দুই নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়াতেই, ট্রেনের শেষ লম্বা বাঁশিটা বেজে ওঠে। লোহার চাকাগুলো আড়মোড়া ভেঙে ঘটঘট শব্দ করে ঘুরতে লাগে। আমি তাড়াতাড়ি নির্দিষ্ট কামরায় উঠে পড়ি।
জানালার পাশের সিটে বসতেই, স্কুলবেলায় ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী সুখীর সেই গল্পগুলো স্মৃতিতে খুব দ্রুত ভেসে চলে... []
::
ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৬৩৩০
----------------------------------------------------------------------------------
আকাশলীনা]
কার্তিক ১৪১৮ :: অক্টোবর ২০১১ :: বর্ষ ০২ :: সংখ্যা ০৪

কৃতজ্ঞতা :: হিমেল অনার্য
সম্পাদক :: নোমান ভূঁইয়া
[email protected]
সহযোগী ::
জাহীদ ইকবাল, সাবরিনা আহমেদ, শফিক হাসান, মাহবুব আলম
মাসউদ আহমাদ, সাফায়েত হোসাইন, মেহেদী ফেরদৌস
প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও পষ্ঠাসজ্জা :: রঙছুট
শব্দ বিন্যাস ও সমন্বয় :: সৈয়দা সুধন্যা
সার্বিক ব্যবস্থাপক :: সাইফুল আমিন
যোগাযোগ ::
+88 018 18731377
[email protected]
http://www.facebook.com/akashlina.mag
মূল্য :: ১০ টাকা
সম্পাদক ও প্রকাশক
নোমান ভূঁইয়া কর্তৃক সার্কুলার রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত;
এবং হাতিরপুল, ধানমণ্ডি, ঢাকা ১২০৫ থেকে মুদ্রিত।
================================================
দ্রষ্টব্য : মূল কাগজে প্রকাশিত সকল লেখা ব্লগে প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে, আমরা দুঃখিত। -সম্পাদক।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×