মাঝে মাঝে বিচিত্র সব চিন্তা মাথায় ভীড় করে।
আমাদের এত সব ব্যস্ততা কিসের জন্য? জীবনটা আর কতদিনই বা টিকবে? ৬০/৭০ বছর থেকে বড়জোর ১০০ বছর? সাধারণত একজন মানুষের গড় আয়ু ৬০ বছর ধরা হয়।
তারমানে কারও বয়স ২০/৩০ হলে সামনে আরও ৩০/৪০ বছর সে হিসাব করে। এই ৩০/৪০ বছর-এর প্রথম ১০-২০ বছর সে কঠোর পরিশ্রম করে বাকি ১০ বছর যাতে সুখে শান্তিতে কাটানো যায়।
আচ্ছা, বাকি ১০ বছর পর কি হবে? আমরা কি একটু ভাবতে পারি না?
আমরা মুসলমানরা পরকালে বিশ্বাসী। তারমানে আমাদেরকে আবার জীবিত করা হবে। তারপর? আমাদের সব কাজের হিসাব নেওয়া হবে। এর মানে কি? শুধু জিজ্ঞেস করেই ছেড়ে দিবে? নিশ্চয় নয়। দুনিয়ার কাজের জন্য পুরস্কার এবং তিরষ্কার দুটাই আল্লাহ রেডী করে রেখেছেন।
আচ্ছা, পরকালের জীবনটা কতদিনের হবে? ১০? ৩০? ৬০? ১০০? ১০০০? ২০০০০? কত বছর? আখিরাত (পরকাল) হলো সেই জিনিস যার শুরু আছে কিন্তু তার শেষের ব্যাপারে বিশ্ব জাহান নীরব। কোথাও এর শেষের ব্যাপারে কিচ্ছু বলা নেই।
তাহলে, আমরা ৩০-৬০ বছরের জীবনের জন্য কী পরামাণ কষ্ট সাধনা করি? আর এই অনন্ত অসীম জীবণের জন্য কী পরিমান কষ্ট করি? আমরা কি বোকা নই?
যারা আখিরাত বিশ্বাস করেন না, তাদেরকে বলি, আখিরাত যদি না থাকে, তাহলে তো আর কিচ্ছু হলো না। আপনারাও বেঁচে গেলেন, আমরা ও বেঁচে গেলাম। কিন্তু একবার চিন্তা করুণ তো আসলেই যদি আখিরাত থেকে থাকে তাহলে? তখন যারা আখিরাতের জন্য কাজ করবে তারা তো বেঁচে যাবে। কিন্তু যারা এটাকে অবহেলা করেছে তখন তাদের কি হবে?
আরেকটা কথা, আপনি কতদিন বাঁচবেন তা কিন্তু আপনি জানেন না। আগামিকলটা আপনার জন্য নিশ্চিত নয়। আগামীকাল কেন? আগামী ঘন্টায়ও আমরা দুনিয়ার হাওয়া নিতে পারব কিনা সে ব্যাপারেও আমরা নিশ্চিত নই।
আচ্ছা, আমরা কি মৃত্যুর পরের জীবনটা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত আছি? এখন আমি আমার জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে একটা গাড়ি যে আমাকে চাপা দিবে না, তার নিশ্চয়তা কে দিবে?
আখিরাতে শাস্তি পেয়ে অপরাধীরা আর্তনাদ করতে থাকবে, আমাকে আরেকবার দুনিয়ায় ফিরে যেতে দেওয়া হোক, তাহলে সারা জীবনটাই তোমার ইবাদত করেই কাটিয়ে দিব।
আসলে কি তাই? মানুষ সুযোগ পেলে আবার সব ভুলে যায়। আচ্ছা, আপনাকে যদি আখিরাতের পর আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আপনি জীবনটা কিভাবে কাটাতেন?
মনে করুন আপনার দ্বিতীয় জীবন এখন থেকে শুরু হলো....