১.ডেনমার্কের এই মুভিটির সন্ধান পাই মুখ ও মুখোশ ফিল্ম ম্যাগাজিনের তেরোর সেরা দশ এই লেখাটির মাধ্যমে।তাই তাদের কে জানাই প্রথম কৃতজ্ঞতা।
২.ঢাকায় থাকিনা তাই ডিভিডি কিনে সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে।আর ঢাকায় থাকলেই বা কি!অপ্রচলিত সিনেমা খুঁজে বের করা এককথায় অসম্ভব। মনে আছে একবার অনেকদিন আগে “ব্যয়ন্ড দ্যা গেট:শুটিং ডগস” রুয়ান্ডার গণহত্যা নিয়ে এই সিনেমা খুঁজতে গিয়ে রাইফেলস স্কয়ার,আজিজ মার্কেট সব জায়গায় গিয়েছি।দোকানদারদের জিজ্ঞেস করতে এমনভাবে তাকাত, আমতা আমতা করত যে বিব্রত লাগত। কোথাও পাইনি, উল্টো কি সিনেমা, কোন দেশের সিনেমা ইত্যাদি বোঝাতে বোঝাতে হয়রান হয়েছি।ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, স্টেজভ্যু, টরেন্ট ইত্যাদি অধরাই ছিল এই কয়েকমাস আগেও।অবশেষে আমাদের শহরে এল টেলিটক থ্রিজি।৩০ জিবি ভ্যাটসহ ১৫০০/-টাকা।ডাউনলোডারদের জন্য খুব একটা কম না কিন্তু তাতে কি, দরকারী মুভি অন্তত নামাতে তো পারছি।আর স্পীড ৫১২ kbps বলা থাকলেও আসলে ১mbps.সবাই যদি এভাবে প্রতিশ্রুতির খেলাপ করত তাহলে কতই না ভালো হত!তাই কৃতজ্ঞতা টেলিটক থ্রিজি আর টরেন্ট কে।
৩.সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানানোর কারণ আছে। ড্রামা ফিল্ম বানানো মনে হয় বেশি কঠিন।কারণ এখানে সাধারণ বিষয় দিয়ে দর্শক আকৃষ্ট করতে হয়।তাই অনেক পারফেক্ট মুভি দিয়েও দর্শকহৃদয়ে দাগ কাটা যায়না। মোটামুটি বা সাধারণের কাতারে থেকে যায়।যদি না চিত্রনাট্য আর অভিনয় হয় অসাধারণ বা তার থেকেও বেশি।12 angry man এর মত চিত্রনাট্য তো আর প্রতিবছর হয়না!অনেকদিন আগে one flew over the cuckoos nest দেখে যেরকম আন্দোলিত হয়েছিলাম,ডেনমার্কের এই মুভিটি দেখেও আরেকবার আন্দোলিত হলাম।ছোট্ট হৃদয়ের ভালোবাসার অভিমানে ছোট্ট একটি মিথ্যা কিভাবে চমৎকার একটি মানুষের জীবন দু:সহ করে তুলল তারই নিখুঁত চিত্রনাট্য এই সিনেমা।কী অসাধারণ চিত্রনাট্য আর অভিনয়।কাস্টিংয়েই অর্ধেক বাজিমাৎ।বাচ্চাদের অভিনয় যেন অভিনয় নয়; বাস্তব! ডেনমার্কের গ্রামের জনজীবন, ল্যান্ডস্কেপ, পারিবারি জীবন সম্পর্কে ধারণা বাড়তি পাওনা।কাহিনি আর বললাম না এই লেখাটি যখন পড়ছেন গুগল ,উইকিপিডিয়া আর আইএমডিবি তো আপনার আছেই!
আএমডিবি রেটিং- ৮.৩
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮