বর্তমানে জেলা শহর গুলোতে বিদ্যমান হলগুলো দিয়ে সিনেমার পুনরুজ্জীবন কোনভাবেই সম্ভব নয়।আগে আমাদের দরকার হলে যাওয়ার অভ্যাস। হলে যাওয়ার অভ্যস্ততা তৈরী হলে প্রশ্ন আসবে আমরা দেশী সিনেমা দেখব না বিদেশী। যেমন এক লোক চা-ই খায়না; তার কাছে লিপটন, ইস্পাহানি বা টেটলী কোম্পানির প্রতিনিধিরা নিজেদের গুণগান গাইলে লাভ হবে কী? সবাই মিলে আগে লোকটাকে চায়ের নেশা ধরাতে পারলে সে একটা না একটা ব্র্যান্ড গ্রহণ করবেই। আমার মনে হয় মাল্টিপ্লেক্সের উন্নত পরিবেশে টিকটের দাম নাগালের মধ্যে রাখলে মানুষের মধ্যে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অভ্যাস গড়ে উঠবেই।
সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা অত্যন্ত গর্হিত কাজ; সামাজিক ভাবে এই আবহটা তৈরী হয়েছে অশ্লীল সিনেমার কারণে। সিনেমা দেখা খারাপ ছেলেদের কাজ তাই কলেজে ওঠার পর সিনেমা দেখতাম গোপনে শহরের হলে গিয়ে! বলা বাহুল্য সিনেমাগুলো আসলেই খুব নির্দোষ ছিল না। সাধারণ দর্শককে হল থেকে বের করে দিয়েছে এই অশ্লীলতা। এই আবহ ভেঙ্গে মানুষকে সিনেমা হলে নিয়ে আসা আর বোধহয় সম্ভব হবে না। তাছাড়া বর্তমান থ্রিডির যুগে আমাদের ভাঙ্গাচোরা হলে ঝাপসা ছবি দেখার দিন শেষ। কাজেই আমাদের নতুন নামে নতুন প্রযুক্তিতে মাল্টিপ্লেক্স এর প্রসারের মাধ্যমেই সিনেমার সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। মাল্টিপ্লেক্স এ গিয়ে সিনেমা দেখেছি এটা একটা বলে বেড়ানোর মত ব্যাপারে পরিনত হলেই মানুষ সিনেমা দেখতে আসবে; সিনেমা টা যেমনই হোক। এরপর অভ্যস্ততা তৈরী হলে আসবে বাছাবাছির প্রশ্ন। প্রতিটি জেলা শহরে থ্রিডি মাল্টিপ্লেক্স নিমার্ণ আবশ্যক।
>> আমি এই পোস্টের মাধ্যমে এটা বলতে চাইছি না যে মাল্টিপ্লেক্স নির্মিত হলেই সিনেমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।বরং আমি বলতে চাইছি যে যদি ধরে নিই সিনেমা থেকে অশ্লীলতা দূর হয়েছে, ভাল ভাল সিনেমা তৈরী হচ্ছে তারপরও মানুষ হলে আসবে না প্রচলিত হল গুলোর দুরবস্থার কারণে। অপরদিকে মাল্টিপ্লেক্স হলে মানুষ বিদেশী ছবির পাশাপাশি তুলনামূলক খারাপ দেশি ছবিও দেখতে আগ্রহী হবে।
>>