somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করোনা ভাইরাস মহামারী নয় , এটা জীবাণু হামলা !!!!!!!!

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



করোনা ভাইরাস মহামারী নয় , এটা জীবাণু হামলা !!!!!!!!

আবুল কালাম আজাদ
সমগ্র পৃথিবীর প্রায় ২২০টির বেশী দেশে এই করোনা ভাইরাস সংক্রামন ছড়িয়ে পরেছে যার অফিসিয়াল নাম দেওয়া হয়েছে (COVID-19) । এই ভাইরাস নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকটি দেশেই সংক্রামন নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাপনা পদ্বতি ও চিকিৎসা শাস্ত্রীয় ব্যবস্থাপনা নিয়েই আলোচনা পর্যালোচনাও দিক নির্দেশনা চলছে ।এটা একটা মহামারী সুতারাং এটাকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে।অতীতে পৃথিবীর মানুষ যেভাবে বিভিন্ন মহামারী মোকাবেলা করেছিলেন এটাকেও সৈই ভাবেই মানুষ ভেবে নিয়েছে।কিন্তু বিষয়টি মোটেও সেই রকম নয়।করোনা ভাইরাসের বিশ্বব্যপী এই সংক্রামন কোন মহামারী নয়।এটা একটা পরিকল্পিত জীবানু হামলা।এইটা আলোচনা হচেছ খুবই কম।এই প্রবন্ধে আমি এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করবো।অথাৎ করোনা ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী সংক্রামনের ফলে গোটা পৃথিবীর রাজনৈতীক , অর্থনৈতিক , রাষ্ট্র ও সামগ্রিক বিশ্ব পরিস্হিতিতে কুটনৈতিক চরিত্রায়ন।করোনা মোটেও কোন প্রাকৃতিক জীবানু ভাইরাস নয়।এটি মানুষেরই তৈরী করা জীবানু যেটি ল্যবরেটরীতে তৈরী করা হয়েছে।কোন দেশ পরিকল্পিত ভাবে এই জীবানু অস্ত্রের হামলা ঘটিয়েছে সেই বিষয় নিয়ে একটু পরে আসছি , তবে তার আগে বিশ্ব রাজনীতিতে শক্তি ও ক্ষমতার একটি সংক্ষিপ্ত মডেল উপস্হাপন করছি।
বৃহৎশক্তি বলতে গেলে বর্তমান পৃথিবীতে এককভাবে কোন দেশকে ন‌ির্দিষ্ট করা যাবে না। অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে দুইটি ভাগে বিভক্ত করেছেন।এখন দেখা যাক শক্তিধর রাষ্ট্র কাদেরকে বলা হয়।বিশেষত সামরিক শক্তির দিক থেকে যখন কোন রাষ্ট্র নিজের শক্তিমক্তার মাধ্যমে রাজত্ব বিস্তারে অন্যান্য দেশের উপর নিজের প্রভাববিস্তার ঘটাতে পারে কিংবা সেই গুনাবলী ঐ দেশের থাকে তখনই দেশটি শক্তিধর দেশ হিসাবে মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে।সেই দৃষ্টিকোন থেকে অতি সম্প্রতি ২০১৭ সালে ইউ এস নিউজ ও ওয়ার্ল্ড রির্পোট তাদের গবেষণা বিচারে পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এবং তাদের শ‌ীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।তারপর রয়েছে রাশিয়া এবং তিন নাম্বারে চীন। এই বিচার শুধুমাত্র সামরিক দিক থেকেই নয় জীবনযাত্রার মান,নাগরিকত্ব নিশ্চয়তা,সংস্কৃতি ও অর্থনীতির দিক থেকে এই বিচার বিবেচনা করা হয়েছে।এই তিনটি দেশ কিন্তুু কেউ কারো চেয়ে কম নয়।তালিকার ক্রমিক সংখ্যা দিতে হইবে সেই কারনে একটির পর একটি দেশকে উল্লেখ করা হয়েছে।এই তিনটি দেশের মধ্যে চীন একটি ফেক্টর নানাবিধ কারনে।চীন পৃথিবীর শক্তিধর দেশের শীর্ষ তালিকায় আসার জন্য নানান কৌশল অবলম্বন করে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে।চীনের এই কৌশল বিষয়টাও ভিন্ন রকম।এশিয়ার মধ্যে চীন খুব উন্নত ও শক্তি শালী দেশ হিসাবে পরিগনিত হলেও এদের সাথে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর সাথে ভাল কিংবা সুসম্পর্ক নেই।তারা শুধুই অর্থনৈতিক সম্পর্ক ব্যতিত অন্য কোন সম্পর্কে গুরুত্ব দেন না। তারা বুঝেন শুধুই ব্যবসা ।চীন তাদের ভাষা ,সংস্কৃতি ,জাতিয়তাবোধ,ধর্মীয় অনুভুতি ,শিক্ষা, এমনকি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও তাদের আঞ্চলিক রাষ্ট্র কিংবা মিত্র রাষ্ট্রের সাথেও শেয়ার করেন না। সেটাই তাদের পররাষ্ট নীতি।সেটাই তাদের রাজনৈতিক আর্দশ।সেভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর চীনই পৃথিবীতে একমাত্র বৃহত্তর কমিউনিষ্ট শাষিত রাষ্ট্র ।আর এই কারনে তাদের চিন্তা চেতনা অন্য কোন রাষ্ট্রের সাথে নীতি নির্ধারনি পর্যায়ে মিল খায় না।তাদের সার্বিক আচরনটাই একটু ভিন্ন।
বর্তমান বিশ্বে পরাশক্তির দেশ হিসাবে এখনও আমরা যুক্তরাষ্ট্রকেই জানি। কিন্তু তৃতীয় স্হানে থাকা চীন কি প্রথম পরাশক্তির দেশ হতে যাচেছ? প্রশ্নের উত্তরটি খুবই সহজ। এই করোনা ভাইরাস জীবানু হামলা ঘটিয়ে চীন খুব সহজে বিশ্বের এক নাম্বার সুপার পাওয়ারের স্হানেটি লাভ করতে যাচেছ। যদি ও চীন অনেক আগে থেকে তাদের পুর্ব পরিকল্পিত নানান রকম প্রকল্প বিশ্ব ব্যপি ছড়িয়ে ফেলেছে। চীন সমস্ত বিশ্ব জুড়ে গত এক দশক ধরে তাদের ব্যবসায়িক জাল বিস্তৃতি ঘটিয়েছে।এই সব ব্যবসা বিভিন্ন খাতে ভিন্ন কৌশলে প্রতিষ্ঠিত করেছে।বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১১২ দেশে ছড়িয়েছে তাদের এই জাল।উদ্দেশ্য বুঝাতে চেয়েছে সাহায্য,লোন,অনুদান ইত্যাদি কিন্তু পরিকল্পনা অর্থনৈতিক আধিপত্য ও ভূ- রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার সর্বপোরি পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ।
তাছাড়া ২০১৮সালের ১৯শে জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন নতুন এক প্রতিরক্ষা কৌশল প্রকাশ করে।যে কৌশলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে চীন ও রাশিয়াকে উল্লেখ করা হয়েছে।তাই চীন ও রাশিয়ার অনুকরনে তারা একমাত্র কৌশলটাকেই প্রধান্য দিয়েছেন সেটা রাজনৈতিক হউক আর অর্থনৈতিক কিংবা সামরিক ।মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসের ভাষায় ‘বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এমন কৌশলই বাঞ্ছনীয়।’আর চীন এই কৌশলেরই একটি প্রকাশ ঘটালো করোনা জীবাণু হামলা করে।এই দিক থেকেও( কৌশল প্রয়োগের) চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এগিয়ে থাকলো।কৌশলটি হচেছে - চীন এই করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটিয়েছ বিশ্বব্যপী এটা ১০০% সত‌্য , কিন্তুু পৃথিরীর কোন গোয়েন্দা সংস্হা কিংবা দেশ এটা ১০০ ভাগ অফিসিয়ালি প্রমাণ করতে পারবে না যে চীনই এই ভাইরাস ছড়ানোর নায়ক।এখানেই চীনের কারিশমা।

করোনা ভাইরাস কি জীবাণু অস্ত্রঃ
করোনা ভাইরাস কি জীবানু অস্ত্র ? উত্তরটি খুবই সহজ - ''অবশ্যই"।আর এটি ল্যবরেটরিতেই তৈরী করা জীবাণু।কোন প্রাকৃতিক জীবাণু নয়।আধুনিক জীববিজ্ঞান এতই উন্নত যে , যে কোন বৈজ্ঞানিক ল্যবে তৈরী করা নানান ফাংশনাল বৈশিষ্ট যুক্ত জীবাণু ভাইরাস খুব সহজেই তৈরী করা সম্ভব।যেটা শুধুমাত্র আক্রমনের উদ্দেশ্যই প্রয়োগ করা হইবে । কিন্তু প্রকৃতিক জীবানু ভাইরাসের তেমন কোন ক্রিটিকাল ফাংশনাল বৈশিষ্ট থাকে না।যেটাকে আধুনিক বিশ্ব খুব সহজেই চিকিৎসা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে।নির্মম সত্য হল যে কভিড-১৯ (COVID-19) নোভেল করোনা ভাইরাসের উপযুক্ত পতিশেধক পাওয়া খুবই কঠিন হইবে।কারন ল্যবে তৈরীর সময় এই ভাইরাসটিকে বিভিন্ন মাল্টি ফাংশনাল বৈশিষ্ট দিয়ে তৈরী করা হয়েছে।যাতে এটা প্রানঘাতি হয় নির্মমভাবে।এটির প্রমানও মিলেছে অতি সম্প্রতি কিছু গবেষনায় যে আমেরিকান অঞ্চল সমুহের দেশগুলোতে আক্রান্ত ভাইরাসের জৈব বৈশিষ্ট ও এশিয়া অঞ্চল সমুহের ভাইরাসের জৈব বৈশিষ্ট এক নয়।বিষয়টিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একটু ভিন্ন ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সালের এক ভিভিও বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন যে জাবীণু অস্ত্র দ্বারা কোনও তৃতীয় শক্তির আক্রমণের শিকার পৃথিবী।তিনি তৃতীয় শক্তি হিসাবে ইসরাইলকে উদ্দেশ্য করেছেন।অথাৎ আমেরিকায় আক্রান্ত ভাইরাস যেহেতু চীন কিংবা এশিয়া ,ইউরোপিয়ান দেশ গুলোর ভাইরাসের জৈব বৈশিষ্ট অনেকটা ভিন্ন সুতারাং এটি তৃতীয় কোন শক্তির উদ্দেশ্য প্রনোদিত জীবাণু হামলা হতে পারে।আর এটি ইসরাইল ছাড়া কেউ নয়।তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন যে ইসরাইল এই করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন দীর্ঘদিন থেকে এই কারনে।
তবে সার্বিক ভাবে অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সালের এই বক্তব্য ভিত্তিহীন।এটা কোন তৃতীয় শক্তির কার্যকলাপ নয়।করোনা ভাইরাসের জৈব মাল্টি ফাংশনাল বৈশিষ্ট তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট ।
তবে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানিরা বলছে যে ভাইরাসটি ল্যবরোটরিতে তৈরী নয় এটি একটি প্রাকৃতিক জীবানু।এটি নিয়ে তর্কবিতর্কও চলছে বিশ্বব্যপী।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রার্ম বার বার বলেছে এটি চীন ছড়িয়েছে তবে দুর্ঘটনা বসত ছড়িয়ে থাকলেতো সেটা দুর্ঘটনাই কিন্তু চীন যদি ইচছাকৃত ছড়িয়ে থাকে তবে চীনকে তিনি উচিৎ শিক্ষা দিবেন বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন।অন্যদিকে তথ্য গোপন করার অভিযোগে চীনকে অভিযুক্ত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস আদালতে ২০ কোটি ডলারের ক্ষতিপুরন চেয়ে মামলাও করেছে ল্যারি ক্লোইমান নামক এক আইনজীবি এবং যুক্তরাষ্ট্রের আদালতও এই মামলাকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখছে। তবে ডোনাল ট্রামপ এতটা নিশ্চিত হয়ে সরাসরি কিভাবে চীনকে অভিযুক্ত করছেন সেটাও অবশ্য গুরুত্বপুর্ন।ট্রামপের এই জোরালো বক্তব্যের সাথে প্রাসঙ্গিক দুইটি ঘটনা খুবই সম্পর্কযুক্ত।প্রথমতঃ ওয়াশিংটন টাইম পত্রিকায় প্রকাশিত (২৭শে জানুয়ারী'২০২০)ইসরাইলের সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ড্যানি শোহামের (Dany Shoham) উল্লেখিত বক্তব্য। তিনি অভিযোগ করেছেন যে চীনের "উহান ইনষ্টিটিউট অব ভাইরোলজি " ( wuhan institute of virology) নামক গবেষণাগারে গোপনে জীবাণু অস্ত্র তৈরী করা হয়।তিনি একটা সময় ঐ গবেষণাগারে কাজ করেছিলেন। যদিও ড্যানি শোহামের বক্তব্যের কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি চীন।তবে চীনে যখন ডিসেম্বর-জানুয়ারীর দিকে করোনা ভাইরাস দ্বারা তুমুলভাবে আক্রান্ত সৈই সময় চীন অভিযোগ করেছে আমেরিকা চীনে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে গেছে ।এই সময় ইরান ও চীনের এই অভিযোগকে সমর্থন জানিয়েছে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কম্যান্ডার মেজর জেনারেল হুসাইন সালামি সরাসরি বলেছেন , করোনা ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী একটি জীবাণু অস্ত্র।যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে চীন এবং পরে ইরানের বিরুদ্ধে জীবানু অস্ত্রের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।কিন্তু রাশিয়া থেকে আনঅফিসিয়ালি ইগর নিকুলিন নামের এক রুশ মাইক্রোবায়োলজিষ্ট সেই দেশের জনপ্রিয় টিভি টকশোতে (The Big Game) বলেছেন ব্রিটেনের এক গবেষণাগারে বহুদিন ধরেই নানা জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করছে।
কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র যখন চরমভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে শুরু করলো তখন ডোনাল ট্রাম্প সমানে বলে চললেন যে করোনা ভাইরাস চীনের তৈরী আর বিশ্বের এই পরিস্হিতির জন্য চীনই দায়ী। এইভাবে পরস্পর দোষারোপের খেলা শুরু হয়ে গেল।তবে চীনের সাথে সাথে আমেরিকাও এই দায় এড়াতে পারে না ।কারন উহানের ঐ ল্যাবে আমেরিকারও অর্থ লগ্নি রয়েছে।আমেরিকার থেকে বছরে প্রায় ৩৭ লক্ষ ডলার অনুদান পায় ঐ "উহান ইনষ্টিটিউট অব ভাইরোলজি"।যদি ঐ ল্যব থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে তাহা হলে আমেরিকাও পরোক্ষ ভাবে এই সংক্রমনের সাথে জড়িত।আরো প্রমান মেলে যখন গত বছর (২০১৮) আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী চীনের ঐ উহান ল্যাব পরিদর্শনে এসেছিল এবং তারা এই ল্যাবে করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণার নিরাপত্তার মান নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।তাহলেতো চীনের এই জীবানু হামলার বিষয়ে আমেরিকা জানতো।কিংবা আমেরিকাও এই হামলার তথ্য গোপন করেছে এই ভেবে যে আমেরিকা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে না । যখন বুঝতে পারলো চীন তাদেরকেও ছাড়লো না তখনই শুরু হয়ে গেলো আমেরিকা ও চীনের চোর-পুলিশ খেলা এবং ডোনাল ট্রম্প তাই এতটা নিশ্চিত হয়ে চীনকে অভিযুক্ত করতে পারছে । তাহলে কি আমেরিকাও এই জীবানু হামলার সাথে জড়িত?
করোনা ভাইরাস যে একটি জীবাণু অস্ত্র তার আরো জোড়ালো প্রমান মেলে নিচের দুইটি প্রতিবেদন থেকে ।
প্রথমটি হলঃ ২০০৮ সালের নোবেল বিজয়ী ফরাসী ভাইরোলজিস্ট ডাঃ লুক মন্তেনয়ার (Dr.Luc Montagnier ) সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে বলেছেন -কভিড-১৯ ল্যবেই তৈরী করা হয়েছে।তিনি আরো জানান যে AIDS প্রতিশেধক ভ্যাকসিন তৈরী করতে গিয়ে এই ভাইরাসের জন্ম । HIV -এর গঠনের সাথে নোভেল করোনার প্রচুর মিল । এমনকি ম্যালেরিয়ার জীবাণুর সাথেও করোনার মিল আছে।এই জিনিস বায়ো-ইন্জিনিয়ারিংয়েই সম্ভব ।
দ্বিতীয়তঃ স্বয়ং চীনের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন । তারা বললেন নোভেল করোনা ভাইরাসের জন্ম উহানের কোন সীফুট মার্কেট থেকে নয় , প্রথম করোনা আক্রান্তদের আধিকাংশের এই মার্কেটের সংগে কোন সম্পর্ক নেই।চীন ভুল তথ্য প্রকাশ করেছে এবং তা জেনে শুনেই করেছে যাতে ভাইরাসের উৎস কেউ খু‌ঁজে না পায়।এই তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে এপ্রিল -০৯"২০২০ সালে নিউইউর্ক এপিক টাইমস(New york epoch Times) এর এক তথ্যচিত্রে।তার চেয়েও আরো প্রত্যক্ষ প্রমান পাওয়া যায় যে চীনের উহান ল্যাবে কর্মরত চীনেরই এক মাইক্রোবায়োলজিষ্ট সি জেনংলি (Shi zhengli)২০০৩ সাল থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে ঐ ল্যাবে গবেষণা রত আছেন ।তার এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যেটি তার এক জার্নালে উল্লেখ ও করেছেন যে বাদুরের দেহে যে করোনা ভাইরাস রয়েছে তা মানুষের দেহে সংক্রামিত হয় না।কারন বাদুরের করোন ভাইরাসের মাথায় যে এস প্রোটিন থাকে তা এই করোনা ভাইরাসের এস প্রোটিনের কোন মিল নেই ।সুতারাং এটা ল্যাব ছাড়া এই এস প্রোটিনযুক্ত ভাইরাস তৈরী করা কিভাবে সম্ভব !
উপরোক্ত তথ্য প্রমানগুলো গুজব কিংবা অপপ্রচার যাই হোক না কেন মুলত একটি বিষয় বারবার ঘুরেফিরে চলে আসে যে এই ভাইরাসের সাথে চীনের সম্পৃকতা । চীনকেই ফোকাস করছে সারা বিশ্ব । তাছাড়া চীনকে ফোকাস করার অনেক কারনও চীনের পররাষ্ট্রনীতি,চৈনীক সংস্কৃতি,ভাষা,জাতীয়তাবোধ,শিক্ষা ও গবেষণায় বদ্যমান । তারা তাদের তথ্য অন্য কোন দেশের সাথে শেয়ার করে না । চীন বৈশ্বিক বানিজ্য ও নেতৃিত্ব নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য এই অপকৌশলগত জীবাণু হামলা এটাই সুসপষ্ট ।

জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহার ও ইতিহাসঃ
ইতিহাসঃযুগে যুগে বিভিন্ন মহামারীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে প্রধানত যেটি দেখা যায় এই সব মহামারী পৃথিবীর রাজনৈতিকও সামাজিক পরিস্হিতি পর্যন্ত বদলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।তাই এটাকে মহামারী না বলে জীবাণু হামলা বলাটাই শ্রেয়।মহামারী ও জীবাণু হামলার এক বিষয় নয়।প্রচীন কালে এটাকে মহামারী বললেও বর্তমান সময়ে এসে এটাকে জীবাণু হামলা বলা যায়।তাছাড়া প্রকৃতি থকে উৎপত্তি রোগের প্রাদুর্ভাবকে আমরা মহামারী বলতে পারি কিন্তু পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত রোগ ছড়িয়ে দেওয়াটাকে জীবানু হামলা বলতে হবে। ইতিহাসে শত্রুসৈন্যদের বিরুদ্ধে রোগজীবাণু ছড়িয়ে, বিষাক্ত টক্সিন গ্যাস কিংবা বিষ প্রয়োগ করে জীবাণু যুদ্ধের অনুশীলন করার উদাহরণ আছে প্রচুর। এক গ্রীস ইতিহাসবিদ থুসিডাইডসের ( Thucydides) লেখা "History of the peloponnesian war " পুস্তকে ৪৩০ খৃষ্টাব্দে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছিলো।এই ইতিহাসবিদ গ্রীস সেনাবাহিনীর একজন জেনারেলও ছিলেন।তিনি লেখেছিলেন স্পার্টানদের সাথে গ্রীকদের যুদ্ধ চলাকালিন(৪৩০ খৃষ্টাব্দ) প্লেগ রোগ ছড়িয়ে পরেছিল গ্রীক সেনাবাহিনীর তাবুতে।তাতে হাজার হাজার গ্রীক সৈন্যের মূত্যু হয় মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে।যেটি সৈন্য শিবির থেকে গোটা গ্রীসে ছড়িয়ে পরেছিল এবং মহামারি আকার ধারন করেছিল।আর গীসের এই পরিনতি নিজের চোখে দেখেছিলেন লেখক থুসিডাইডস ।যুদ্ধে পরাজয় সহ পুরো গ্রিসে নেমে এসেছিল বিভিসিকাময় এক পরিস্হিতি।লেখক উক্ত বইটিতে খুব স্পষ্ট করে এই প্লেগ জীবাণুর হঠাৎ গ্রীস সৈন্য শিবিরে ছড়িয়ে পরাকে খুব একটা সহজ ভাবে নিতে পারেন নি, এটি তিনি স্পার্টানদের যুদ্ধে কৌশল বলে মনে করেছিলেন যদিও তার ধারনার পক্ষে কোন বৈজ্ঞানিক ও দালিলিক কোন প্রমান দেখাতে পারেননি। তাছাড়া মধ্যযুগের যুদ্ধে রোগে আক্রান্তদের পানির কুপের মধ্যে ফেলে দিয়ে সেই কুপের পানিতে বিষাক্ততা ছড়িয়ে দিয়ে যুদ্ধ জয়ের ইতিহাস আছে। প্রায় ৩৫০০০ বছর আগে মধ্যপ্রচ্যের হিড়িক জাতির লোকেরা শত্রুপক্ষের এলাকায় জীবাণুযুক্ত ভেড়া বা পশু ছেড়ে দিয়ে আসতো যাতে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে শত্রুপক্ষের সমগ্র জনগোষ্টি সেই জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে মুত্যবরন করতো।এই ভাবে তারা অন্যদেশ তাদের দখলে নিতো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের সময় বৃটিশরা স্কটলেন্ডের একটি দ্বীপে জীবাণু ছড়িয়ে দিয়েছিল।আর জীবানুটি এতই ভয়ঙ্কর ছিল যে পরবর্তী প্রায় ৫০ বছর ঐ দ্বীপটিকে লকডাউন করে রাখা হয়েছল।তাছাড়া ১৯৩০ সালে সেভিয়েত ইউনিয়নের একটি দ্বীপে তাদের জীবাণু অস্ত্র পরীক্ষার কারনে সম্পুর্ন দ্বীপটি চিরতরে মানুষের বসবাসের অযোগ্য ঘোষনা করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জাপানি সৈন্যরা প্রায় এক হাজার চীনা কুপে জীবাণু বাহিত বিষ প্রয়োগ করে কলেরা ও টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব ঘটায়।
তাছাড়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির চিকিৎসক এন্টন ডিলগার গুপ্তচর সেজে ঘোড়া ও খচ্চরের সংক্রামক রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বহন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায় এবং
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ্যালাইড ফোর্সের অশ্ববাহিনীর শক্তির মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে যাতে আমেরিকার ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোর, ভার্জিনিয়া ও নিউইয়র্কের বন্দর থেকে জার্মানে কোন অশ্বচালিত সমরাস্ত্র জার্মানি পর্যন্ত নিয়ে যেতে না পারে।

১৯৩৫-৩৬
বেনিটো মুসোলিনি সম্রাট হাইলি স্ল্যাসির সেনাবাহিনী ধ্বংস করতে ইথিওপিয়ায় মাস্টার্ড গ্যাস বোমা ফেলেছিলেন।
১৯৩৯-১৯৪৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাগরিকদের হত্যা এবং এশিয়ার জাপানি সেনাবাহিনী দ্বারা নাৎসি ক্যাম্পগুলিতে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করা হত।
১৯৪৩
নাৎসিরা ডায়ারনফুর্থ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বন্দীদের জোর করে ট্যাবুন তৈরি করতে বাধ্য করেছিল। শ্রমজীবীরা প্রায়শই মারাত্মক ডোজগুলির সংস্পর্শে আসার পরে আক্রান্ত হন ।
১৯৬১-৭১
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় napalm and the herbicide Agent Orange ব্যবহার করে যা কিনা গাছের পাতা পর্যন্ত ঝরিয়ে দেয় ।
১৯৬৩-৬৭
মিশর ইয়েমেনের রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানকে সমর্থন করার জন্য ইয়েমেনে mustard gas and a nerve agent ব্যবহার করেছে।
১৯৮০
ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় ইরাক ইরান ও ইরাকের কুর্দিশ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ট্যাবুন সহ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে।
২০১৩
সিরিয়ার সেনাবাহিনী সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় বেসামরিকদের বিরুদ্ধে সরিন গ্যাস ব্যবহার করে; শতাধিক নিহত হয়।
করোনা ভাইরাস ও চীনঃ
করোনা ভাইরাসের আবিস্কার ও তৈরী যে চীনই করেছে তার নিন্মক্ত কিছু যুক্তি দেখানো যেতে পারে তবে এগুলো কখনই সঠিক ভাবে প্রমান করে না যে চীন পরিকল্পিত ভাবে তাদের সৃষ্ট এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।এই বিষয়ে প্রবন্ধের শুরুতে বলেছিলাম যে চীন এমন ভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে যে পৃথিবীর কোন বিজ্ঞানী কিংবা কোন দেশের গোয়েন্দাও এই বিষয়টি প্রমান করতে পারবে না।কিন্তু সত্যি গঠনা হল যে চীনই বিশ্বব্যাপি এই ভাইরাস পরিকল্পিত ভাবে ছড়িয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রও বিষয়টি জানতো কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের এমন ভয়াবহ পরিনতির ব্যপারে ধারনাই ছিল না ,এটা অনেকটা চীনের প্লেইং গেইম।
প্রথমতঃ চীনের সীফুট মার্কেট থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে চীন যেটা স্টেইটমেন্ট দিচেছ সেটা ভুল তথ্য কারনঃ চীনারা সাপ,ব্যঙ,ইদুর,বাদুর,তেলাপোকা, ইত্যাদি খেয়ে আসছে আজ থেকে ১০০ বছর আগে থেকেই ।তাহলে এত বছর ধরে এই প্রানীগুলো থেকে কোন রোগ জীবাণু ছড়ায় নাই তা হলে এখন কেন হঠাৎ এই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঘটলো ? যখন নাকি এই ভাইরাস নিয়ে তাদের ল্যাবরেটরিতে সফল গবেষণা হয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ প্রাকৃতিক ভাইরাস খুব সহজে আর এন এ পরিবর্তন করতে পারে না যেখানে নোভেল করোনা ভাইরাস পারছে ।এই কারনে ভারাসটির প্রতিশেধক খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে উঠছে।অথাৎ ভাইরাসটিতে এমনভাবে কাঠামোগত বিন্যাস ঘটানো হয়েছে যাতে তার প্রকৃতি খুব সহজে বিজ্ঞানীরা বুঝতে না পারে। চীনের কাছে এর প্রতিশেধক বলেন কাঠামোগত বিন্যাসের সকল কল কবজা রয়েছে কিন্তু চীন সেটা প্রকাশ করবে না একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ।
তৃতীয়তঃ অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে বিশ্বের এক নাম্বারে আসার জন্য চীনের এই নীল নকসা বাস্তবায়ন করেছে।ইউরোপ সহ বিশ্বের সকল ধনী রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক অবস্হা যখন নাজুক পরিস্হিতির সৃষ্টি হবে তখন নিজে থেকেই এই ভাইরাসের ভেকসিন বাজারে ছেড়ে দিয়ে চীন হাতিয়ে নিবে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।এইভাবে সারা বিশ্ব রাজত্ব করার পরিকল্পনা করেছে চীন।
চতুর্থতঃসমগ্র বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের জ্বরে কাঁপছে তখন চীনে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে সসব কিছু নরমাল।তারা দিব্যি আনন্দ ফুর্তিতে মগ্ন।একমাত্র উহান শহর ব্যতিত চীনের অন্য কোন প্রদেশে তেমন কোন সংক্রামনের সংবাদ পাওয়া যায় নাই।যেখানে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে চীন থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।এমনকি চীনের সাথে সাথে (WHO) বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হাও সাফাই গাইলো যে এই ভাইরাসটি এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমনে কারনে জীবানু ছড়ায় না ।এই বিষয়টি কি চীনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না ?
পঞ্চমতঃ খুবই গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় হচেছে চীনের তথ্য প্রটেকশন পদ্বতি ।অথাৎ চীন তাদের দেশের আভ্যন্তরিন তথ্য অন্য কোন দেশের সাথে শেয়ার করেন না ।নিজেদের ভাষায় নিজেদের নানান তথ্য-প্রযুক্তির সহায়ক কৌশল তারা নিজেরাই তৈরী করে নিয়েছে।সমগ্র পৃথিবী থেকে নিজেদের লুকিয়ে রাখার একমাত্র কৌশল এটা।যেমনঃ গোগুলের (Google)বিপরীতে তারা তৈরী করে নিয়েছে তাদের নিজস্ব সার্স ইন্জিন বাইডু(Baidu) ।দেখা গেছে বাইডু সার্চ ইঞ্জিনটি দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট । এটি মানচিত্র, ক্লাউড স্টোরেজ এমনকি অনুবাদের জন্যও ব্যবহার করা হয়। তাদের সব চালক গাড়ি চালানোর সময়ও বাইডু ম্যাপ ব্যবহার করে। পৃথিবীজোড়া যেখানে ভিডিও কলের জন্য ওয়াটসআপ(WhatsApp),ইমো(Imo),ভাইবার(Viber) ব্যবহার করছে সেখানে চীনার বানিয়েছে তাদের নিজস্ব এপ্যস উইচেট(wechat)।এই উইচেট আমাদের ফেইসবুকের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার হয়।এম্যাজন (Amazon) হলো পৃথিবীর জনপ্রিয় শপিং সাইট কিন্তু সেটাকেও তারা অনুকরন করে আলিবাবা ডট কম(Alibaba.com)বানিয়ে ফেললো ।জিমেইলকেও(Gmail) তারা নিজেদের দেশে ডুকতে দেয়নি,জিমেইল সদৃশ বানিয়ে নিয়েছে কউ কউ ডটকম(qq.com).চীনে উবার নেই। উবারের মতো একটি মাত্র অ্যাপ চলে, যার নাম দিদি(didi)। এছাড়া চীনে টুইটারও চলে না। টুইটারের মতো সিনা ওয়েইবো অনেকের স্মার্টফোনে ব্যবহার হয়। চীনে ইউটিউবও নেই। ইউটিউবের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় আইকিউআই(iqi)। এটি চীনের সবচেয়ে বড় ভিডিও সাইট ।সব কিছু মিলিয়ে চীনারা তাদের নিজস্ব ভার্চুয়াল জগত তৈরি করে নিয়েছে যা বিশ্ব থেকে আলাদা।
সর্বশেষে বলবো রাজনৈতিক আদর্শের কথা। চীনে গত ৭০ বছর ধরে চীনা কমিউনিষ্ট পার্টি একক ভাবে চীনকে এগিয়ে যাচেছে।চীনা কমিউনিষ্ট পার্টি বললাম এই কারনে যে সমগ্র পৃথিবীতে দুইটি ধারার কমিউনিজম চালু রয়েছে।একটি চীনা কমিউনিজম যেটাকে মাওবাদ বলা হয় যদিও চীনের বর্তমান কমিউনিজম থিওরি কট্টর মাওবাদ থেকে অনেকটা সরে এসেছে । র্অন্যটি প্রাক্তন সেভিয়েত ইউনিয়নের মার্কস ও লেলিনবাদ কমিউনিজম।সেভিয়েত কমিউনিজমের পতন হলেও চীনা কমিউনিজম বীর দর্পে এখনও পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াচেছ।সুতারাং রাজনৈতিক দিক দিয়েও চীনারা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশগুলোর রাজনৈতিক ধারা গনতন্ত্র ও মুক্তবাজার অর্থনীতিক ধারার বিপরীত।তাদের রাজনীতি ,সংস্কৃতি ,ভাষা এবং অর্থনৈতিক ধারা সম্পুর্ন তাদের নিজস্ব।কোন উপায় নেই ,তারা না চাইলে তাদের দেশের তথ‌্য অন্য কোন দেশ জানবে।অথচ অবাক বিষয় যে উহানের করোনা ভাইরাস সংক্রামনের সংবাদ ব তথ্য ইচছাকৃত পৃথিবীর সকলকে জানালো শুধুমাত্র বিশ্বব্যপী আতংক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে।
উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে অনেকাংশে নিশ্চিত করেই বলা যায় যে , এই করোনাভাইরাসটি একটি জীবানু অস্ত্র এবং চীন এটি পরিকল্পিত ভাবে পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়েছে একবিংশ শতাব্দীর নতুন বিশ্বের নতুন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরাশক্তির উত্থান পর্ব হিসাবে ।
------------------ O ---------------------
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১৪
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×