****অবিকল মানুষের মত দেখতে কিন্তু মানুষ নয়।এরা মানুষ রুপী পশু।এদেরকে মানুষ বলা হলেও,এরা পশুর থেকেও নির্বোধ।এরা মানুষের রুপ ধারন করে মানুষ্য সমাজে বসবাস করে।এরা মানুষেরই রক্ত খেয়ে জীবন ধারন করে।*****
উপরোক্ত ধারনাটা সাধারনত আমাদের বুর্জোয়া ,সামন্ততান্ত্রিক সামাজিক ব্যবস্হায় শোষক শাসকের মধ্যেকার শোষন , শাসন ও বৈষম্যের যে চিএ ভেসে উঠে তার একটি রুপক বর্ননা।আসলে মানুষ কখনও পশু কিংবা জানোয়ার হতে পারে না।মানুষকে পশু কিংবা জানোয়ার বলাটাও অমানবিক ও অন্যায়।মানুষ স্রষ্টার সৃষ্টির সর্ব শ্রেষ্ঠ জীব।মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস হারালে পৃথিবীর সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিপন্ন হবে।মানুষকে পশুর সাথে তুলনা করে মানবিক বির্পযয়ের পরিবেশ তৈরী করাটা আমাদের সমাজের জন্য অশনি সংকেত।মানুষ কেন পশুর মত আচরন করে সেটা যতটুকুনা মানসিক তার চেয়ে বেশী সামাজিক ও রাজনৈতিক।আমাদের সমাজ ও সামাজিক ব্যবস্হায় এমন সব উপকরন রয়েছে যা কিনা মানুষ পশুর মত আচরন করতে বাধ্য হয় ।তাই সমাজ ও রাজনীতি মানবিকতার ও মানুষ্যত্বের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে।যা বর্তমান ব্যবস্হায় সম্ভব না ।তাই সামগ্রিক সমাজ কাঠামো বদলানো দরকার।এর জন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতির ইতিবাচক উপকরন গুলোর উন্নায়নের সাথে সাথে অথর্নৈতিক ব্যবস্হারও পরিবর্তন হবে ধীরে ধীরে,হঠাৎ করে অথর্নৈতিক পরিবর্তন সংস্কার বিপদ জনক।যেমনটি আমাদের বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির হঠাৎ করে আগমনের সামাজিক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্যনীয়।তথ্য প্রযুক্তির এই হঠাৎ উন্নায়নের জন্য আমাদের সমাজটা তৈরী ছিল না।যে কোন সামাজিক পরিবর্তনের পূর্বে তা গ্রহন করারা মত কাঠামো/পরিবেশ তৈরী করা জরুরী।আমাদের ডিজিটালাইজেশনটা হঠাৎ করে হয়েছে।তার সাথে যুক্ত হয়েছে পুজিঁবাদী ,মুক্তবাজার অর্থনীতির ও আকাশ সংস্কৃতির অবাদ অনুপ্রবেশ।যে কারনে বর্তমান সময়টি একটি অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছে।যে অস্থিরতারই প্রকাশ মানুষের পশুত্ব রুপ।
নিবন্ধ লেখকঃ আবুল কালাম আজাদ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৬