রাতে ঘুমানোর আগে সবগুলো নটিফিকেশন ,ইনবক্স একবার চেক করা । আবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই আরেকবার চেক করা ।তারপর অফিস,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় একেক জায়গায় একেক ভাবে ফেইসবুকিং ,ইন্টারনেট চলছে ত চলছে।এ যেন লাগামহীন ঘোড়া। আসক্তিটা এতই প্রকট যে খাওয়া -দাওয়া,লেখাপড়া,অফিসিয়াল কাজ কর্মে সময় যেন ছোট হয়ে আসছে আর ফেইসবুকিং ,ইন্টারনেটর সময় ক্রমান্নয়ে বেড়েই চলছে।প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিগ থিংক ডটকমের এক জরিপের ফলাফলে জানা গেছে যে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ বছরের তরুন তরুনীরা দৈনিক গড়ে ১৫ ঘন্টা সময় অনলাইনে ব্যয় করেন যার কারনে অনেকগুলো পরিবর্তন এদের মধ্যে লক্ষ্য কর যায়।(১)অতিরিক্ত সময় নষ্ট করা (২)সময় জ্ঞান না থাকা (৩)পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরা ও (৪) অফলাইনে থাকলে এক ধরনের মানসিক বিষণ্নতা/অস্হিরতায় ভোগা।
এই জরিপে অংশ নেওয়া ব্রিটিশ ছাত্রী মেলিসা স্কট মনে করেন, তিনি ইন্টারনেটে আসক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি যতক্ষণ জেগে থাকি সব সময়ই অনলাইনে থাকি। অফলাইনে গেলে আমার মধ্যে হতাশা কাজ করে এবং নিজেকে অসুস্থ মনে হয়।’
এভাবে ভিডিও গেইমে যার আসক্ত ,তারাও বিছিন্ন হয়ে পরছে পরিবার ,বন্দু বান্দব,আত্মীয় স্বজনদের থেকে।যেখানে কিনা ইন্টারনেট সকল যোগাযোগকে সংক্ষিপ্ত করার কথা সেখানে কিনা বিচ্ছিন্নতা,অস্হিরতা,দূরত্ব সৃষ্টি করছে।এই ধরনের আসক্তি নিয়ে ২০১৪ সালে চীনে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয় ‘ওয়েব জাংকি’ নামে। এই তথ্যচিত্রটির নির্মাতা শোশ শাম বলেন, ‘কিশোররা গেম খেলার জন্য স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে। দিন-রাত তারা গেম খেলার জন্য ইন্টারনেট ক্যাফেগুলোতে গিয়ে পড়ে থাকছে।আমাদের বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়।লক্ষ্যনীয় যে শহরে,মফস্বলের পাড়ায় পাড়ায় ইন্টারনেট ক্যাফেগুলোতে ভিড়,মোবাইল কোম্পানী গুলোর এম বি বিক্রির লোভনীয় সব অফার সমুহ ক্রমেই বাড়ছে।পার্কে,মাঠে,রেশ্তোরায়,কলেজে,বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বএই তরুন তরুনীদের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট আসক্তি বেড়েই চলেছে।বয়স্করাও ক্রমশ জড়িয়ে পরছে ফেইসবুুকিং,চেটিং, ইত্যাদির নেশায়।এ যেন আমরা অতি কাছাকাছি থেকেও অনেক দূরে বসবাস করছি পরস্পর থেকে।ক্রমশ এই আসক্তি সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।পর্ন সাইট গুলোর কোন রাষ্ট্রীয় নিয়ম নীতি নাই বলে কিশোর,কিশোরীদের মধ্যে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক গুনে।সামাজিক ভাবে মানষ হয়ে উঠছে অনেকটা অসমাজিক ও অস্হির।এর থেকে মুক্তির উপায় কি???
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৭