মানুষের বিশ্বাস ,আচার-আচরন এবং জ্ঞানের একটি সমন্বিত কাঠামোকে সংস্কৃতি বলা যায় ।ভাষা,সাহিত্য,ধারনা,ধর্ম ওবিশ্বাস ,রীতিনীতি,সামাজিক মুল্যবোধ ও নিয়মকানুন,উৎসব,শিল্পকর্ম এবং দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার হয় এমন জিনিস পএ বা হাতিয়ার ইত্যাদি সব কিছু নিয়েই সংস্কৃতি।এমনকি সমাজের সাথে সম্পৃক্ত মানুষের শিক্ষা ,সামর্থ যে সব মানুষ আয়ক্ত করে কিংবা চর্চা করে সেই সবই সংস্কৃতি।সর্বপরি সংস্কৃতি হচেছ মনুষ্যত্বেরই নির্যাস।বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে বিভিন্ন ভাবে এই সংস্কৃতিকে বুঝানো যায়।যেমন মানুষের প্রতি মানুষের জীবনবোধ বিনির্মানের কলাকৌশল , মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নানান আচার আচরনকে প্রকাশের একটি শৈল্পিক প্রয়াস সংস্কৃতি।সামাজিক ক্ষেএে একটি সমাজের স্বচ্ছ দর্পন। যে দর্পনের দিকে তাকালে সেই সমাজের মানুষের জীবন আচার ,জীবনবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিচ্ছবি দেখা যায়।সমাজ বিজ্ঞানের মতে সংস্কৃতির অর্থ ও প্রয়োগ নানান বিধ হয়ে থাকে এমনকি সংস্কৃতির প্রকৃত ও মান সম্পন্ন সংজ্ঞা নিরুপন ও খুব কঠিন।তবে প্রচীন সভ্যতার ইতিহাস প্রর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমেই প্রতিটি সভ্যতা এগিয়ে গিয়েছে এবং উন্নত জাতির জন্ম হয়েছে।তাই বলতে হবে সংস্কৃতির উন্নত রুপই হল সভ্যতা।এই সভ্যতাই কোন জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়।সুতারাং সভ্যতা বা আধুনিকতা যাই হোক না কেন সংস্কৃতিই একটি সমাজের পূণ্র্যঙ্গ দর্পন যার মাধ্যমে সমাজের সম্পূর্ণ চেহারাটা দেখা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩০