হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম ও কর্মসূচিকে সামনে রেখে ফেসবুকে অনেকরকম স্ট্যাটাস চোখে পড়ছে। এরকম কিছু স্ট্যাটাস নোট করলাম।
ডা. ইমরান এইচ সরকার:
৪ এপ্রিল ২০১৩, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে। প্রতিটি মানুষের অনবদ্য অংশগ্রহণ এ কর্মসূচীকে যেমন করে তুলবে সার্থক, তেমনি জামাত শিবির নিষিদ্ধের অগ্নি দাবিকে নিয়ে যাবে সাফল্যের দোরগোড়ায়। তারুণ্যের জয় অবধারিত। জয় বাংলা।
সঠিক তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে ব্লগারদের গ্রেফতার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকারের এ ভূমিকা খুবই হতাশাজনক। কেউ যদি পবিত্র ধর্ম ইসলামকে অবমাননা করে থাকে তার বিচার হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। কিন্তু যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা ইসলাম অবমাননার সঙ্গে প্রকৃত অর্থে যুক্ত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হয়নি। সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার জন্য মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের গ্রেফতার করলে কেউ তা মেনে নেবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই স্বাধীনতাবিরোধীদের বিপক্ষে যেসব ব্লগে লেখালেখি হয় সেগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে বিটিআরসি। এর যৌক্তিকতা কি; তা হয়ত যারা এসব করছেন তারাও বলতে পারবেন না।
রোকেয়া প্রাচী :
হেফাজতে ইসলাম আর জামাত শিবির যার বন্ধু তার শত্রুর প্রয়োজন হয় না । রাষ্ট্র কে এই কথা বুঝতে হবে । ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল যদি আঁতাত করে আবার ক্ষমতায় যেতে চায়, তাহলে ক্ষমতাসীন দল কে আঁতাত করতে হবে জনগণের সাথে। জনগণের দাবি কে উপেক্ষা করে ক্ষমতায় যাওয়া এত সহজ নয় এখন । সংবিধান যে অধিকার দিয়েছে মুক্ত চিন্তার, কথা বলার , সরকারের এই ব্লগারদের গ্রেফতার কর্মসূচী সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল । তাহলে সরকারকে কে বোঝাবে ? আর হেফাজতে ইসলাম কে সমীহ করার কারণ যদি হয় নির্বাচন , তাহলে আবারও বলি হেফাজতে ইসলাম জামাত ইসলাম কারও বন্ধু হলে শত্রুর প্রয়োজন হয় না । মহামান্য প্রধান মন্ত্রী দয়া করে কারাগারের সংখ্যা বাড়ান । কারণ আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি থামবে না আমাদের লেখনী । থামবে না আমাদের আন্দোলন । চুপ করবে না এদেশের জনগণ। আর ভুলে যাবেন না একুশে আগস্ট এর গ্রেনেড হামলা , উদীচী বোমা হামলা, রমনার বটমূলের বোমা হামলা। আসুন জনগণের সাথে আঁতাত করে জামাত সহ হেফাজতে ইসলামের সহিংস রাজনীতি সন্ত্রাস নিষিদ্ধ করি । যে কোন মূল্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করি । জনগণের দাবী আমাদের ব্লগার ভাইদের মুক্তি দিন । ভয় নেই, জনগণ বুকের রক্ত দিয়ে দেশ বাঁচাবে ।
অঞ্জন রায় :
আমার বাবাকে আমি অভিযুক্ত করছি শৈশবে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনানোর জন্য, কৈশরে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা আমাদের মগজে ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য। তাকে অভিযুক্ত করছি মুক্তিযুদ্ধে করিমপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের পরিচালকের দায়িত্ব পালনের জন্য। দেশটাকে ভালোবেসে ২০ বছর জেলখানায় কাটানোর জন্য।
তবে তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি গত শতকের শেষভাগে মরে যাওয়ার জন্য। যে কারনেই তিনি এই বর্তমান দেখছেন না।
স্বকৃত নোমান :
’৯৬ সালে শিবিরের হাতে মার খেয়ে আহত হয়েছিলাম। ’৯৭ সালে শিবিরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে মামলা খেয়েছিলাম। তিনটি বছর সেই মামলার ঘানি টানতে হয়েছিল। ২০০৪ সালে এলাকার স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দৈনিক আজকের কাগজে রিপোর্ট করায় তিন তিনটি মামলা খেয়ে ছয় দিন জেলে ছিলাম। চার বছর ধরে সেই মামলার হাজিরা দিতে দিতে নাকাল হয়েছিলাম। অতীতের দুঃসহ এসব স্মৃতি ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলাম এতদিন। ভেবেছিলাম, যদি কোনোদিন আত্মজীবনী লিখি, তাহলে লিখব এসব। কিন্তু স্মৃতিগুলো আজ ভীষণভাবে জেগে উঠছে। কারণ, শুনেছি আগামি শুক্রবার হরতাল। আগামি শুক্রবার অতীতের সমস্ত দুঃসহ স্মৃতিকে চাবুক মেরে জাগিয়ে দেব। পিকেটিং করব, মার দেব, মার খাব; দরকার হলে সন্ত্রাসীর খাতায় নাম লিখিয়ে জেলে যাব। গুষ্টি মারি লেখকের মগ্নতায়...।
ইলিয়াস কায়সার :
হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে ইমরানের সাক্ষাত্
পল্টনে সমাবেশ শেষে হেফাজতে ইসলামের সমর্থক ও কর্মীরা দল বেঁধে শাহবাগ দিয়ে যাচ্ছিলেন। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ কয়েকজন ব্লগার তখন শাহবাগে অবস্থান করছিলেন। হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের দেখে ইমরান নিজ থেকেই এগিয়ে যান তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। আজ বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেফাজতের কর্মীদের কাছে ইমরান জানতে চান, আপনারা কোথা থেকে ফিরলেন? এ সময় একজন কর্মী উত্তর দেন, ‘নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে মিছিলে গিয়েছিলাম।’ ইমরান এবার বলে ওঠেন, আচ্ছা, ব্লগার মানে কি জানেন? উত্তরে তাঁরা হেসে ‘না’ সূচক উত্তর দেন।
ইমরান এ সময় নিজের পরিচয় দিলে হেফাজতের কর্মীরা কিছুটা বিস্মিত হয়ে জানতে চান, ‘আপনিই ব্লগার ইমরান’? ইমরান তখন বলেন, ‘হ্যাঁ ভাই, আমি তো একজন মুসলমান। নামাজ পড়ি। আল্লাহর ওপরে আমার পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা আছে।’
এরপর ইমরান হেফাজতের কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তো কাফেরদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। কিন্তু আপনাদের হুজুর আমাদেরকে ভুল বুঝে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হচ্ছেন না। আপনাদের হুজুরকে গিয়ে বলবেন। আমরাও মুসলমান। আমরা ওনার সঙ্গে আলোচনা করে ভুল ভাঙাতে চাই। উনি যাতে আমাদের সেই সুযোগ দেন।’ এই অনুরোধের পর হেফাজতের কর্মীরা গণজাগরণ মঞ্চের এই মুখপাত্রকে আশ্বাস দেন যে, তাঁরা আল্লামা শাহ আহমেদ শাফির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেবেন।
এ প্রসঙ্গে ইমরান এইচ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের কোনো বক্তৃতা ও আলোচনায় ইসলাম বা মহানবী (সা.) নিয়ে কোনো ধরনের কটূক্তি করা হয়নি। আমরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
রিফাত অন্তি :
এই স্ট্যাটাসটি দেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি । আমার মনে হয় হেফাজতে ইসলাম যদি আগামীকাল ঘোষণা দেয় প্রধানমন্ত্রী বোরকা না পড়লে তারা লংমার্চ করবে তবে পরশু থেকে প্রধানমন্ত্রী বোরকা পড়তে শুরু করবেন ।
আহমেদ জুয়েল :
আওয়ামী লীগ একদিকে গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে। ব্লগারদের গ্রেপ্তার করছে, গ্রেপ্তারের তালিকা করছে। এরই সূত্র ধরে ব্লগারদের বিরুদ্ধে হেফাজতের লংমার্চে বাধা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী সংগঠন দিয়ে লংমার্চের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকে আওয়ামী লীগ কী প্রমাণ করতে চাচ্ছে?
চঞ্চল আশরাফ :
রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অত্যন্ত বেদনাহত মন নিয়ে আপনার কাছে চিঠিটি লিখছি। আমরা জানি, যে পরিস্থিতির মধ্যে দেশ চলছে, তাতে সবার মতোই আপনার মনেও শান্তি নেই। সামনে ভোট, সেই চিন্তা আপনাকে এতই আচ্ছন্ন করে ফেলেছে যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অধিকারী বøগারদের একের পর এক গ্রেফতার করে চলেছেন। অথচ, যারা শহীদ মিনার, মন্দির আর প্রতিমা ভাঙলো, বাংলাদেশের পতাকা ছিঁড়ে, পায়ে মাড়িয়ে তাতে আগুন দিলো, পুলিশকে, আপনার দলের কর্মী ও সাধারণ মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করলোÑ তাদের ব্যাপারে নীরবই রইলেন। ভোট আপনার খুব দরকার; কিন্তু ভাবুন ১৯৯৬ আর ২০০৭ সালে আপনাকে কারা ভোট দিয়েছিল? ইসলাম রÿার নামে পাকি¯Íানপন্থি যে অপশক্তি আজ আপনাকে ধমক দিচ্ছে, তাদের কেউ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি, কোনোদিন দেবেও না। প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে ভোট দিয়েছি আমরাই, যারা বাংলাদেশ বুঝি, মুক্তিযুদ্ধ বুঝি, উদারনৈতিক গণতন্ত্র আর দুর্নীতিমুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ বুঝি। আর কিছুই বুঝতে চাই না। খুব দুঃখ হচ্ছে, ১৯৭১ সালে জামায়াত যা চেয়েছিল, ২০১৩ সালে আপনি তা বা¯Íবায়নের জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন। তা হলে ভোটের আগে কেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেছেন? ভেবে খুব লজ্জা পাই যে আপনি বঙ্গবন্ধুর সন্তান। বঙ্গবন্ধু তো ধর্ম ব্যবসায়ী আর মূর্খ কাঠমোলøাদের সহ্য করতে পারতেন না। আজ এই একুশ শতকে আপনি তাদের পÿ নিয়ে দেশপ্রেমিক বøগারদের ওপর চড়াও হয়েছেন। এই কি ডিজিটাল বাংলাদেশ? বলুন প্রধানমন্ত্রী, রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ চাওয়া কি অপরাধ? আর পুলিশের মাথা থেঁতলে দেয়া কি অপরাধ নয়? সারা পৃথিবীতে দেশপ্রেমিক বাঙালি বøগাররা ছড়িয়ে আছেন। ক’জনকে গ্রেফতার করবেন? বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি কতো নষ্ট করবেন? প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আমাকেও আপনি গ্রেফতার করুন।
প্রিতম আহমেদ :
শুনেছি আসিফ মহিউদ্দিন একজন স্বঘোষিত নাস্তিক ৷ ভদ্রলোকের সাথে আমার কখনো পরিচয় হয়নি ৷ কিন্তু তার গ্রেফতারের খবর শুনে আমি একটু ভয় পাচ্ছি ৷ বাংলাদেশে সত্যি সত্যি যদি নাস্তিক নিধন শুরু হয় তাহলে অধিকাংশ নেতানেত্রী, সরকারী আমলা, বেসরকারী ঠিকাদার এরা সবাই গ্রেফতার হবে ৷ দেশ হয়ে পরবে নেতাশুন্য, কারণ লোকঠকানো, ঘুষ খাওয়া, চুরি ও জত্চুরীই হচ্ছে তাদের একমাত্র কাজ ৷ এসব যারা করে তাদেরতো কোনো ধর্ম নেই ৷ একদিকে ভালই হবে ৷ সত্যিকারের নাস্তিকেরা বন্দী হলে বাংলাদেশে ধর্ম মুক্তি পাবে ৷ আচ্ছা, ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারা কি ধার্মিক ??
হাশেম রনী :
অবাক হয়েছি, আরো অবাক হচ্ছিলাম, অবাক হয়েই যাচ্ছিলাম...শেষ পর্যন্ত তাহলে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ হচ্ছে??.........আমরা যারা এই দেশের রাজনৈতিক মঞ্চের নিয়মিত দর্শক, যারা দেশের রাজনৈতিক নাট্যাঙ্গানের নাটকে কখন কোন সিকোয়েন্স দরকার, কোন সিকোয়েন্সের পর কোন সিকোয়েন্স আসতেছে ইত্যাদি বিষয়ে কিঞ্চিত জ্ঞান রাখি, সেই অভিজ্ঞ দর্শকরাই কিনা বেকুব বনে গেলাম??...
না, এই রাত দুইটায় বুঝলাম, নাটকের গতিপথ ঠিকই আছে...নাটক সোজা পথেই রান করতেছে...অনলাইন নিউজের সুবাদে জানলাম হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ ঠেকানোর জন্য পরিকল্পনা ফাইনাল। হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ কারা আটকাবে জানেন?...সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম (যার সদস্য সংখ্যা ৯ এর বেশি নয়), একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (সদস্য সংখ্যা কত?), সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ ২৫টি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। কথা হলো গিয়ে আমরা ভাল করেই জানি এইসব সংগঠনের কর্মীগো সাধ্য নাই হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ আটকায়। কিন্তু তাহলে কি লংমার্চ সত্যিই হতে দিচ্ছে সরকার?..
আরে ধুর মিয়া, আপনার দেহি গিটার হরতালের কথা মনেই নাই.
আসিফ আহমেদ মুন্না :
নাস্তিকতা নিয়ে কিছু কথা--
১. ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিপ্লবীদের "নাস্তিক" বলে পরিচিতি দিয়েছিল ব্রিটিশরা
২. ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের "ভারতের দালাল / হিন্দু / নাস্তিক" বলে প্রচার করেছিল পাকিস্তানি ও তাদের এদেশীয় চামচা বেজন্মা রাজাকাররা।
৩. ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে যারা আন্দোলন করছে তাদের "নাস্তিক" বলে প্রচার করছে জামাত ও তাদের হেফাজতকারী হেফাজতে ইসলাম।
ফুটনোট : অতএব একটা বিষয় পরিস্কার- প্রগতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষের প্রতিশব্দ "নাস্তিক"। তাই আপনাকে কেউ নাস্তিক বললে বিব্রত হবেন না, বরং মুক্তিযুদ্ধে গর্বিত উত্তরাধিকার হিসেবে গর্ব অনুভব করুন।
সানাউল্লাহ লাভলু :
৬ এপ্রিল সর্বাত্মক হরতাল। মাঠে নামতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে। শাহবাগে জড়ো হবে লাখ লাখ তরুণ। "হেফাজতে জামাত"কে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার এই রাজনৈতিক লড়াইটা সময় মতো করলে আজ প্রজন্ম আন্দোলনের কর্মীদের মনোবল কতো দৃঢ় থাকতো!
সরকারের প্রতি আহ্বান, ব্লগারদের মুক্তি দিন। মুক্তচিন্তার বিকাশে বাধা দেবেন না। তরুণদের পাশে দাঁড়ান। ওরা দেশটা বদলে দেবে।
আর সহযোদ্ধারা, মুক্তিযুদ্ধের আলোয় আলোকিত তরুণরা, দেশটা আমাদের সবার। ক্ষোভ, অভিমান ভুলে রাস্তায় নামুন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি এবং শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশ অচল করে জানিয়ে দিন, আমরা জেগে আছি। শাহবাগ ঘুমায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০০