বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার সীমারেখা নদী দিয়েই। যেমন পূর্ব সীমান্তে প্রমত্তা যমুনা, আর পশ্চিমে বাঙ্গালী নদী। মাঝখানে বহমান ইছামতি নদী। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স থেকে মাত্র ২০০গজ দূরে ইছামতি নদীর অবস্থান। এজন্য ধুনট শহরকে ইছামতি জনপদ বলা যেতে পারে। এখানেই হলহলিয়া নদী যোগ হয়েছে ইছামতি নদীর সাথে। বলা যেতে পারে জোড়া নদীর ঘাট। এক সময় এ স্থানটি পানি পথের ঘাট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বর্তমান নদী গুলো মৃত প্রায়। এছাড়া ধুনট উপজেলায় ছিল মানাস নামের আরও একটি নদী। যা মানচিত্র বা পুস্তকে রয়েছে মাত্র। জোড়া নদীর ঘাট এলাকার পূর্বে চরকাদহ নামে একটি গ্রাম রয়েছে। সেখানে স্রোতের চরকা কাটতো বলে ওই গ্রামের নাম করন চরকাদহ হয়েছে। কথিত রয়েছে জোড়া নদীর ঘাট এলাকায় অতিতে সওদাগরদের নৌকায় ধন লুট পাট হয়েছে। এখানে জলদস্যুরা ধন সম্পদ লুট করে থাকতো। এরূপ ধন লুট থেকেই ধুনট নাম করন হয়েছে। এ উপজেলায় রয়েছে পীর-দরবেশের মাজার, নীলকর সাহেবদের ব্যবহৃত এলাকা নীলকুঠি। এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পেশায় কৃষক। বর্তমানের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ রয়েছে এ উপজেলায়। উপজেলা সদরের শহরটি আসলে একটি তৃতীয় শ্রেণীর পৌর শহর। যা স্বল্প আয়তনের। ইতিহাস ও ঐতিহ্য উজ্জল হলেও বর্তমানে এখানে সংরক্ষিত নেই অনেক কিছুই। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অনেক কিছু এগিয়ে গেলেও নানা হিসেবের অংকে এখানকার মানুষ পিছিয়ে পড়ছে প্রায়ই।
আর এ রকম একটি মফস্বল শহর থেকে প্রথমবারের ন্যায় নিয়মিত সাপ্তাহিক খবরের কাগজ বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কাগজটির জন্য সুন্দর নাম প্রয়োজন। আপনার কাছ থেকে এক বা একাধিক নাম কামনা করছি। উপরের বিত্তান্ত থেকে আপনি সাহায্য নিয়ে কয়েকটি নাম মনোনিত করে পাঠিয়ে আপনিও সাহায্য করতে পারেন, আমাদের; বা আমাদের এই মফস্বল শহরের। আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।
আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ
01711713793 / 01719330333 / 01191216643
[email protected]