মাসিক মৌচাকে ঢিল পত্রিকায় ২০১০ সালে আমার দুটো লেখা ছাপা হয়েছিল। পত্রিকায় লেখকদের কনট্যাক্ট নম্বর ছাপার নিয়ম থাকায় পাঠক পাঠিকারা ফোনে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। দেখা যাক, টক মিষ্টি ঝাল স্বাদের সেসব প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল।
‘লাভ লেটার স্বপন ভাই’ নামের প্রথম লেখাটি ছাপা হয়েছিল মে/২০১০ সংখ্যায়। আমার ভার্সিটি জীবনে মেয়েদের সাথে এক সিনিয়র বড় ভাইয়ের প্রেম করবার প্রাণান্তকর অথচ হাস্যকর কিছু কর্মকাণ্ড ছিল লেখাটির বিষয়বস্তু। লেখাটি ছাপা হবার পর একটা এসএমএস পেলাম। প্রেরক লিখেছেন স্বপন ভাইয়ের চরিত্রটা নাকি তাদের কলেজের এক ছাত্রের চরিত্রের সাথে হুবহু মিলে গেছে। মেয়েরা নাকি ছেলেটির মোবাইল কল ধরেনা এবং এসএমএস পেলে না পড়েই ডিলিট করে দেয়। ছেলেটি এখন সনাতন পদ্ধতিতে চিঠিপত্র লিখে প্রেম করার চেষ্টা করছে এবং স্বপন ভাইয়ের মতো ব্যর্থ হচ্ছে। বুঝলাম, স্বপন ভাই সব যুগেই একজন করে থাকে।
একজন পাঠক ফোন করে আমাকে ভীষণ বকাঝকা করলেন। বললেন, এরকম লেখা ঠিক হয়নি। কেন ঠিক হয়নি, আপনি কে বলছেন এসব বার বার জিজ্ঞেস করেও আমি তার কাছ থেকে কোন জবাব পেলাম না। তিনি একতরফা রাগ ঝাল ঝেড়ে ফোনের লাইন কেটে দিলেন। পরদিন তিনি আবার ফোন করলেন। বললেন, গতকালের ব্যবহারের জন্য তিনি দুঃখিত। আমি ভয়ে ভয়ে তার রাগ হবার কারণ জিজ্ঞেস করে যা জানতে পারলাম তাতে বোঝা গেল তার রাগ করার যথেষ্ট কারণ আছে। পাঠক ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তার নামও স্বপন। ‘লাভ লেটার স্বপন ভাই’ পড়ে তার ব্যাচমেটরা তাকে গল্পের শিরোনাম ধরে ডাকা শুরু করেছে। কোন লেখায় বর্ণিত চরিত্রের নামের সাথে বাস্তবের কোন মানুষের নামের মিল থাকতেই পারে। কিন্তু নামের সাথে সাথে কাজকর্মের মিল না থাকলে তো এমনটি হবার কথা নয়। তবে এই কথাটা সাহস করে আমি তাকে বলতে পারলাম না। মিন মিন করে শুধু বললাম, ‘আপনি চুপচাপ থাকুন। দেখবেন বলতে বলতে একসময় ক্লান্ত হয়ে ওরা থেমে গেছে। বোবার শত্রু নাই।’
আমার এই উপদেশ ছেলেটির ভালো লাগলো না। তিনি আবার ফোনের লাইন কেটে দিলেন।
একটা ফোন এলো কুষ্টিয়ার এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে। তিনি পেশায় একজন এ্যাডভোকেট। তাঁর গলায় ওকালতিসুলভ গাম্ভীর্য। তাঁর সাথে আমার প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল এই রকমঃ
‘আপনি কী করেন?’
‘সরকারি চাকরি করতাম। এখন রিটায়ার্ড।’
‘কতদিন থেকে লেখালেখি করেন?’
‘এই কিছুদিন হলো।’
‘ছেলেমেয়ে কয়জন?’
‘দুটো ছেলে।’
‘মেয়ে নাই?’
‘জি না।’
‘হুম! বুড়ো বয়সে ছেলে ছোকরাদের জন্য ভালোই লিখেছেন।’
একটি কম বয়সী মেয়ে ফোন করলো ঢাকা থেকে। তার নিজেরও একটা লেখা ছাপা হয়েছে একই সংখ্যায়। সে খুব উত্তেজিত। বললো, ‘আমি ভাবতেই পারিনি যে আমার লেখা ছাপা হবে। আচ্ছা আঙ্কেল, আপনি কী আমার লেখাটা পড়েছেন?’
বললাম,‘পড়েছি। আমি সব লেখাই মনোযোগ দিয়ে পড়ি।’
‘উফ্! আমার যে কী ভালো লাগছে না! আচ্ছা আঙ্কেল, লেখাটা কেমন হয়েছে বলেন তো? আপনার ভালো লেগেছে? আসলে কী জানেন, লেখাটা আর একটু বড় করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু বেশি বড় হয়ে গেলে যদি না ছাপে, এই ভয়ে খুব শর্ট কার্টে লিখেছি। উফ্! আরও কত কিছু যে লেখার ছিল!’
‘আমি সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, ‘পরের বার লিখবেন।’
‘বলছেন? উফ্ আঙ্কেল,ইউ আর গ্রেট।’ মেয়েটি সালাম দিয়ে ফোন রেখে দিল।
আমাকে ফোন করলো, অথচ আমার লেখা সম্পর্কে একটি কথাও বললো না। ব্যাপারটা কী হলো বুঝার চেষ্টা করছি। মেয়েটি আবার রিং দিল। বললো, ‘আঙ্কেল, একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। আপনার লেখাটা কিন্তু দুর্ধর্ষ হয়েছে।’
আর একটা ফোন এলো একজন পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে। তিনি আমার লেখা পড়ে খুব আনন্দিত হয়েছেন। বললেন, ‘লেখাটা এতো ভালো লেগেছে যে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেছি। অতি চমৎকার লেখা। কিন্তু জনাব, আমার একটা সন্দেহ হচ্ছে। বলবো?’
ওরে বাবা! পুলিশের মনে সন্দেহ? বিপজ্জনক ব্যাপার। ঢোক গিলে বললাম, ‘বলুন।’
‘আমার সন্দেহ হচ্ছে আপনি নিজেই স্বপন ভাই। পাঠকদের কাছে হাসির পাত্র হতে হবে এই ভয়ে অন্যকে স্বপন ভাই সাজিয়ে উল্টোপাল্টা করে লিখেছেন। কী ঠিক বলিনি?’
সেরেছে! এমন সন্দেহ হবার কারণ কী ঠিক বুঝলাম না। অনেক যুক্তি তর্ক দিয়ে তাকে বোঝাবার চেষ্টা করলাম যে আমি স্বপন ভাই নই। কিন্তু তার ওই এক কথা। আসামী ধরার পর পুলিশ যেভাবে হাসে, ফোনের মধ্যে তিনি ঠিক সেভাবে হাসছেন আর বলছেন, ‘সবই বুঝছি ভাই। হাঃ হাঃ হাঃ।’
আমি বললাম, ‘আপনার বোঝার মধ্যে ভুল আছে।’
পুলিশ অফিসার হেসেই খুন। বললেন, ‘আহা! আপনি মাইন্ড করছেন কেন? লেখকরা তো একটু উনিশ বিশ করেই লিখবে। এতে তো দোষের কিছু নাই। আপনার লেখা খুব ভালো লেগেছে। হাঃ হাঃ হাঃ।’ পুলিশ অফিসারের ভালো লাগা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমি তড়িঘড়ি করে ফোনের লাইন কেটে দিলাম।
এবার আমার দ্বিতীয় লেখাটার কথা বলি। ‘যুদ্ধের পর’ শিরোনামে এই লেখাটি ছাপা হয়েছিল অক্টোবর/২০১০ সংখ্যায়। আমার ছোটবেলায় আমার চেয়ে বয়সে বড় এক ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নারীর সাথে রহস্যময় ভালোবাসার সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে এই লেখায়। লেখাটি ছাপা হবার পর প্রথম যার কাছ থেকে ফোন পেলাম তিনি নারায়ণগঞ্জের একজন গৃহবধূ। তিনি লেখার প্রশংসা করলেন এবং অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানতে চাইলেন যে ফোন করে তিনি আমাকে বিরক্ত করছেন কী না। আমি বললাম, ‘না না, আমি মোটেই বিরক্ত হচ্ছি না। ফোন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।।’
ভদ্রমহিলা আমার লেখার বিভিন্ন দিক নিয়ে অনেক কথা বললেন। প্রায় পনের ষোল মিনিট কথা হবার পর আমার সেলফোনের চার্জ ফুরিয়ে গেল এবং সংযোগ কেটে গেল। ফোন চার্জে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ভদ্রমহিলা আবার রিং দিলেন। বললেন, ‘আমার কথাবার্তায় বিরক্ত হয়ে ফোন কেটে দিলেন, তাই না?’
আমি বললাম,’না না, তা’ হবে কেন? আমার মোবাইলের চার্জ ছিল না। বিশ্বাস করুন।’
ভদ্রমহিলা আমার কৈফিয়তে সন্তুষ্ট হয়ে আগের চেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে কথা বলা শুরু করলেন। এভাবে আরও মিনিট দশেক কথা হওয়ার পর আমি বললাম, ‘আপনার কিন্তু অনেক টাকা বিল উঠছে।’
এবার ভদ্রমহিলা দুঃখিত কণ্ঠে বললেন, ‘বলেছিলাম না আপনি বিরক্ত হচ্ছেন। আচ্ছা ভাই, ঠিক আছে। স্লামালেকুম।’
ভদ্রমহিলা সংযোগ কেটে দিলেন। আমি ভীষণ বিব্রত বোধ করলাম। বুঝলাম ব্যাপারটা ঠিক হলো না। এবার আমি নিজেই তাকে রিং দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলাম এবং আমি যে বিরক্ত হইনি সেটা তাকে নানাভাবে বোঝাবার চেষ্টা করতে লাগলাম। এভাবে আরও প্রায় পনের মিনিটের মতো কথা হবার পর আমার প্রি-পেইড এ্যাকাউন্টের সব টাকা ফুরিয়ে গেল এবং সংযোগ কেটে গেল।
ক্লাস টেনে পড়া একটি মেয়ে গাজীপুর থেকে ফোন করে বললো, ‘আচ্ছা, আপনার সেই স্বপ্না দিদি ইন্ডিয়া থেকে আর ফেরেন নি? আপনার সাথে আর দেখা হয়নি?’
আমি বললাম, ‘না, আর দেখা হয়নি।’ মেয়েটি আরও কিছুক্ষণ কথা বললো আমার সাথে। তার কথাবার্তায় মনে হলো সে আমাকে একজন তরুণ বলে ধরে নিয়েছে। তার ভুল ভাঙ্গানোর জন্য আলাপের এক পর্যায়ে আমি ঘটনাটির সময়কাল (১৯৬৫ সাল) সম্পর্কে তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললাম, ‘গল্প পড়ার সময় আপনি হয়তো সময়টা খেয়াল করেন নি। এখন কিন্তু আমার বয়স পঞ্চান্ন ছাপ্পান্ন বছর।’
মেয়েটি থতমত খেয়ে কিছু বলার চেষ্টা করলো। আমি তাকে বিব্রতকর অবস্থা থেকে উদ্ধার করার জন্য বললাম, ‘ইটস্ ওকে মাই চাইল্ড। বি ইজি প্লিজ!’ মেয়েটি কোন রকমে বললো, ‘থ্যাংক ইউ আঙ্কেল।’
সিঙ্গাপুর থেকে ফোন করে এক তরুণ বললো, ‘আবুহেনা সাহেব, আপনার গল্প খুব ভালো হয়েছে। তবে পড়তে গিয়ে প্রথম দিকে মজা পেলেও শেষের দিকে মন খারাপ হয়েছে। আর একটা কথা। আপনার নামটা এতো লম্বা কেন? এটাকে ছোট করা যায় না?’
আমি বললাম, ‘সেটা আমার ছোটবেলায় আকিকার আগে বাবা মাকে বললে হয়তো সম্ভব হতো। এখন এই বয়সে কী আর সম্ভব হবে? স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগে হলেও হতো।’
‘আপনার বাবা মা এই কাজটা ঠিক করেননি। ছেলের নাম কেউ এতো বড় রাখে?’
‘নামে কী আসে যায়?’
‘না না, অনেক কিছু আসে যায়। এতো বড় নাম বলা বা মনে রাখা খুব মুশকিল। নামটা ছোট করে ফেলেন দাদা।’
কীভাবে নাম ছোট করবো বুঝতে না পেরে ফোনের লাইন কেটে দিলাম। তবে তরুণের অভিযোগ মোটেই ফেলনা নয়। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, অনেক পাঠক পাঠিকা আমার নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। যেমন সেদিন একজন ফোন করে বললেন, ‘আপনি কী আবুহেনা মোস্তফা কামাল বলছেন?’ আমি বললাম, ‘জি না, আমি আবুহেনা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলছি।’ আর একজন একই প্রশ্ন করতে গিয়ে আমার নাম উচ্চারণে ব্যর্থ হলেন। আমি তাকে সাহায্য করলে তিনি বললেন, ‘হাঁ হাঁ, এই ভদ্রলোককেই তো চাচ্ছি।’
এবার একটা কেলেঙ্কারির ঘটনা বলি। একদিন আমার পেটে ভীষণ নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে। বেডরুম সংলগ্ন টয়লেটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ সময় সিলেট থেকে এক ভদ্রমহিলার ফোন এলো। তিনি আমার লেখার প্রশংসা করলেন এবং লেখার নানা দিক নিয়ে কথা বলতে লাগলেন। আমি খুব সংক্ষেপে তার কথার জবাব দিচ্ছি আর চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছি টয়লেটের দিকে। এভাবে অনেক কষ্টে তার সাথে কথা শেষ করে সেলফোনটা টেবিলের ওপর রাখতে না রাখতেই সেটা আবার বেজে উঠলো। এবার ময়মনসিংহের এক স্কুল টিচার ফোন করেছেন। ভদ্রলোক লম্বা চওড়া সালাম দিয়ে আমিই সেই ‘যুদ্ধের পর’ লেখাটির লেখক কী না জানতে চাইলেন। হাঁ সূচক জবাব দিয়ে একটু পরে আমি নিজেই রিং ব্যাক করবো বলে তাকে জানালাম। কিন্তু ভদ্রলোক নাছোড়বান্দা। বললেন, ‘ফোনটা রাখবেন না প্লিজ! আপনার সাথে অনেক কথা আছে।’
আমার অবস্থা তখন আক্ষরিক অর্থেই লেজে গোবরে হয়ে যাওয়ার মতো। দাঁতে দাঁত চেপে বললাম, ‘দশ মিনিট পরে কথা বলি!’ ভদ্রলোক আঁতকে উঠে বললেন, ‘না, না, প্লিজ!’
আর সহ্য হলো না। সেলফোন হাতে নিয়েই ঢুকে পড়লাম টয়লেটে। কমোডে বসে হাল্কা হতে হতে কথা বলতে লাগলাম স্কুল টিচারের সাথে। আমার লেখা পড়ে তিনি দারুন ইম্প্রেসড্। তার নিজের জীবনেও একটা ব্যর্থ প্রেমের ঘটনা আছে। সেই ঘটনার ওপর তিনি একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি আমাকে শোনাতে চান। আমি আমতা আমতা করে বললাম, ‘বেশ শোনান।’
দৃশ্যটি একবার কল্পনা করুন। কমোডে বসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে দিতে আমি মোবাইল ফোনে পাঠকের লেখা ব্যর্থ প্রেমের কবিতা শুনছি।
সবশেষে আমার ঘরের কথা কিছু বলি। এর আগে সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায় আমার লেখা একটা গল্প ছাপা হয়েছিল। ঐ গল্প পড়ার পর থেকে আমার দুই ছেলের গল্পের ওপর অরুচি। তারা সারাদিন মোবাইল ফোন আর ল্যাপটপ টেপাটেপি করে। কিন্তু ভুলেও আমার লেখা পড়ে না। তবে তাদের মা লুকিয়ে লুকিয়ে আমার সব লেখাই পড়েন। বাংলার নারী সর্বংসহা। বাজারে যাচ্ছি না, ব্যাংকে বিল দিতে যাচ্ছি না, ঘরে বসে শুধু লেখালেখি করছি আর যখন তখন তাঁকে চায়ের অর্ডার করছি-এসব যন্ত্রণা তিনি হাসিমুখে সহ্য করতে লাগলেন। লেখা ছাপা হলে তিনি আমাকে না দেখিয়ে গোপনে পড়েন। তবে আমি ঠিকই টের পেয়ে যাই। লেখা কেমন হয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি মুখ টিপে হাসেন, কিছু বলেন না। আমি যখন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকি তখন রান্নাঘর থেকে তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘লেখা ভালো হয়েছে।’ এমনিতে আমার স্ত্রী অনেক কথা বলেন। কিন্তু পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হলে কেন জানি তিনি একটু লজ্জা লজ্জা করেন। এ সময় তাঁর মিটি মিটি হাসি বেড়ে যায়, কিন্তু কথাবার্তা কমে যায়। এর কারণ কী, আপনারা বলতে পারবেন?
*************************************************************************
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮